Bus
অনেক্ষন হলো বাসে বসে আছি।বাস ছারার নাম
নেই।শুধু এখন ছারি পরে ছারি এটাই বাস স্টাফ দের
বক্তব্য।আমার একটা অভ্যাস আছে।বাসে বসে
কানে ইয়ার ফোন দিয়ে গান শুনার।
তাই অভ্যাস টা ধরে রাখতেই কানে ইয়ারফোন দিয়ে
মাথা ঝোকাচ্ছি।
গানটা শুনতে খারাপ লাগছে না,
"নেশা কেটে গেলে তুমিও কেটে
যাবে...............".
আর্টসেলের অন্যতম একটা সেরা গান।
কেনো জানি মনে হয় গানটার মধ্যে কিছু মিশে
আছে।
.
গানের তালে তালে মাথা ঝোকাচ্ছি হঠাৎ মনে
হলো কেউ ডাকছে।তাকিয়ে দেখি স্টাফ দাড়িয়ে
আছে।আমি জিজ্ঞাসা সূচক দৃষ্টিতে তাকালাম কিন্তু তার
ভাব দেখে মনে হলো আমি এলিয়েন।
এরপর দেখি একটা মেয়ে রাগের দৃষ্টিতে তাকিয়ে
আছে।
মেয়েটি:কোন জগতে থাকেন?এতোবার ডাকার
পরেও শুনেন না?
আমি:নেশা কেটে গেলে তুমি ও কেটে
যাবে......
:কি??মাথা ঠিকাছে।
:না মস্তিষ্ক ঠিকাছে।
আসলে গানের তালে ছিলাম তাই মুখ দিয়ে গানটাই
বেরিয়ে গেছে।।।
আবার কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে মাথা ঝোকাচ্ছি।
.
ড্রাইভারদের অন্যতম একটা গুন হঠাৎ জোরে
ব্রেক করা।অনেক সময় দেখা যায় সামনের
পেসেঞ্জার পিছনে চলে যায় ব্রেকের গুনে।
গান শোনতেছি হঠাৎ ব্রেক।কোনরকম ভারসাম্য
সামলালাম।হঠাৎ পাশের মেয়েটির দিকে চোখ
গেলো।
মেয়েটিকে দেখে আমি কিছু সময়ের জন্য
ভাবনার জগতে পারি দিলাম।
এটাই কি সেই অহনা।না মনটা কেমন জানি দোটানায়
পরে গেলো।
চটজলদি ফেসবুকে লগ ইন করে অহনার আইডি
তে গেলাম।।।।
হ্যা এটাই অহনা।অহনার ফেসবুকের ছবির সাথে
পুরো মিলে যাচ্ছে।কিছুক্ষনের জন্য অহনার
দিকে তাকিয়ে রইলাম।অজানা একটা মায়া কাজ করলো।
হারিয়ে গেলাম স্মৃতির অতলে।
-------
-----প্রায় ১ বছর আগে,
একদিন এঞ্জেল অহনা নামক একটি আইডি থেকে
ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট আসে।
আমার আবার অভ্যাস ভালো আইডি হারানোর ভয়ে
রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করি না।আর মেয়েদের নাম
থাকলে ভাবি ফেইক আইডি।এর যথেষ্ট কারন
আছে।
ফেসবুকে এখন শুধুই ফেকের জয়গান।মাঝে
মাঝে ফিল্টার মেসেজ আর মেসেজ রিকুয়েষ্ট
চেক করি।
অনেক দিন পরে রিকুয়েষ্ট মেসেজ চেক
করলাম।একটা আইডি থেকে ১৭ টা রিকুয়েস্ট
মেসেজ।
মেসেজের কি বাহার!?মেসেজগুলো পরে আমি
তো ৮ম আশ্চর্য হয়ে গেলাম।
মেসেজ গুলো ছিলো এইরকম:
"অই ছেলে এতো ভাব কেন?
"আপনার মতো লেখক আমার আইডিতে অভাব
নেই।
"ভাব কম নেন।নয়তো মাইর ও খাইতে পারেন।
সকল মেসেজ গুলো ছিলো এই টাইপের ই।কি
আর করার এক্সেপ্ট করলাম।এক্সেপ্ট করার সাথে
সাথেই মেসেজ"এতো ভাব নেন কেনো??"?
আমি"ভাবের কি দেখলেন?"আর রিপ্লাই দেয় নি।
ভেবেছিলাম বেচে গেছি কিন্তু না রাতে আবার
শুরু।অনেক্ষন পরে বুঝাইতে সক্ষম হইলাম আমি
মেসেজ রিকুয়েষ্ট চেক করি নাই।যাই হোক
অবশেষে ভাব নেই কথাটা থেকে মুক্ত করিলাম
নিজেকে।
.
গল্প পোস্ট দেয়ার সাথে সাথেই দেখতাম অহনার
লাইক আর কমেন্ট।মনে হয় রোবট।রোবট না
হইলে এলিয়েন।কারন এরা ছাড়া সব পোস্টে কেউ
এতো তারাতারি মতামত দিতে পারে না।
.
আস্তে আস্তে অহনার সাথে বন্ধুত্ব হয়।
ইনবক্সেই কথা হতা সব সময়।শুধু বন্ধুত্ব বললে ভুল
হবে কারন তার চেয়ে একটু বেশি ই ছিলো।।।।।।
সারাদিন ইনবক্সে চ্যাটিং হতো।বেশিরভাগ সময় শুধু
ঝগড়া হতো।বেশ কিছুদিন কাটে এভাবেই।
ভেবেছিলাম এবার নাম্বারটা চেয়ে নিবো।তবে
এর আগেই পুরো দৃশ্যটাই পাল্টে যায়।একদিন
ফেসবুকে ঢুকে দেখি অহনার মেসেজ"হা হা হা!
আপনাকে নাকি কেউ পটাতে পারে না।মু হা হা হা
ভালো থাকবেন"।
এর পর আর কখনো অহনার আইডিতে তার নামের
পাশে সবুজ বাতি জ্বলে নি।
বেশ কিছুর রহস্যের জন্ম দিয়ে গেছে সে।এর
কিছু দিন পরেই আমার নামে বিভিন্ন পেজে বাজে
রিপোর্ট দেখি।
আমি নাকি মেয়েদের সাথে ইনবক্সে লুচ্চামি করি!
প্রমান হিসেবে অহনার সাথে চ্যাটিং করার কিছু
স্ক্রীনশর্ট।।।।অনেক প্রশ্ন ছিলো অহনাকে
করার কিন্তু খুজে পাই নি আর।
--------
.
আজ যখন পেয়েছি এবার প্রশ্ন গুলোর উত্তর
খুজবো।আমি ই আগে ডাক দিলাম তাকে,
আমি:অহনা কেমন আছেন?
অহনা:আপনি আমার না জানলেন কিভাবে???
আমি:শুধু নাম!অনেক রহস্যের সমাধান আটকে
রয়েছে।
অহনা:কে আপনি?
আমি:কে,এইচ,তুষার।
অহনা:কি???আ আ আপনি।
আমি:হ্যা আমি।এখনো কি মানুষ কে ধোকা দেন।
অহনা:মানে কি বলছেন বুঝতেছি না।
আমি:হা হা হা ছলনা তো ভালোই করতে পারেন।
.
আর কিছু বললাম না।একটু দম নিয়ে নিক।পরে আবার
জিজ্ঞেস করা যাবে।
কিছুক্ষন বাদে জিজ্ঞেস করলাম
আমি:একটা সত্যি কথা বলবেন?
অহনা:বলুন।
আমি:আপনাকে কে বলছে আমার সাথে এমন
করতে?
অহনা:আপনাদের ই একজন।
আমি:মানে?
অহনা:আপনার কাছের বন্ধু ই।সোহেল (হিমাদ্রী
হিমু) উনি বলছিলেন যাতে আপনার লেখা লেখি
থেমে যায়।আমি করতে চাইনি বাট একটা কারনে বাধ্য
হইছিলাম উনি আমার বি,এফ ছিলেন।
আমি:সোহেল!!!
অহনা:হ্যা।আমাকে মাফ করবেন।
.
আর কিছু বলি নাই।আমার বিশ্বাস হচ্ছে না সোহেল!!!
কি দরকার ছিলো ওর এটা করার আমাকে বললেই
পারতো।বন্ধু হয়ে বন্ধুর সাথে এটা কোনো
মানুষ করতে পারে না।ওকে জিজ্ঞেস করেও লাভ
হবে না হয়তো স্বীকার করবে না।আর আমি
জিজ্ঞেস ও করবো না।চাই না বন্ধুত্ব টা নস্ট
করতে।সোহেলের সাথে আমার বন্ধুত্ব অনেক
দিনের।।।এটাই বন্ধুত্ব!!!দোয়া করি বন্ধু তুই উন্নতির
চরম শিখরে পৌছে যা।
.
[কল্পকৃত।চেষ্টা করেছি একটি দিক তুলে ধরার
জন্য
নেই।শুধু এখন ছারি পরে ছারি এটাই বাস স্টাফ দের
বক্তব্য।আমার একটা অভ্যাস আছে।বাসে বসে
কানে ইয়ার ফোন দিয়ে গান শুনার।
তাই অভ্যাস টা ধরে রাখতেই কানে ইয়ারফোন দিয়ে
মাথা ঝোকাচ্ছি।
গানটা শুনতে খারাপ লাগছে না,
"নেশা কেটে গেলে তুমিও কেটে
যাবে...............".
আর্টসেলের অন্যতম একটা সেরা গান।
কেনো জানি মনে হয় গানটার মধ্যে কিছু মিশে
আছে।
.
গানের তালে তালে মাথা ঝোকাচ্ছি হঠাৎ মনে
হলো কেউ ডাকছে।তাকিয়ে দেখি স্টাফ দাড়িয়ে
আছে।আমি জিজ্ঞাসা সূচক দৃষ্টিতে তাকালাম কিন্তু তার
ভাব দেখে মনে হলো আমি এলিয়েন।
এরপর দেখি একটা মেয়ে রাগের দৃষ্টিতে তাকিয়ে
আছে।
মেয়েটি:কোন জগতে থাকেন?এতোবার ডাকার
পরেও শুনেন না?
আমি:নেশা কেটে গেলে তুমি ও কেটে
যাবে......
:কি??মাথা ঠিকাছে।
:না মস্তিষ্ক ঠিকাছে।
আসলে গানের তালে ছিলাম তাই মুখ দিয়ে গানটাই
বেরিয়ে গেছে।।।
আবার কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে মাথা ঝোকাচ্ছি।
.
ড্রাইভারদের অন্যতম একটা গুন হঠাৎ জোরে
ব্রেক করা।অনেক সময় দেখা যায় সামনের
পেসেঞ্জার পিছনে চলে যায় ব্রেকের গুনে।
গান শোনতেছি হঠাৎ ব্রেক।কোনরকম ভারসাম্য
সামলালাম।হঠাৎ পাশের মেয়েটির দিকে চোখ
গেলো।
মেয়েটিকে দেখে আমি কিছু সময়ের জন্য
ভাবনার জগতে পারি দিলাম।
এটাই কি সেই অহনা।না মনটা কেমন জানি দোটানায়
পরে গেলো।
চটজলদি ফেসবুকে লগ ইন করে অহনার আইডি
তে গেলাম।।।।
হ্যা এটাই অহনা।অহনার ফেসবুকের ছবির সাথে
পুরো মিলে যাচ্ছে।কিছুক্ষনের জন্য অহনার
দিকে তাকিয়ে রইলাম।অজানা একটা মায়া কাজ করলো।
হারিয়ে গেলাম স্মৃতির অতলে।
-------
-----প্রায় ১ বছর আগে,
একদিন এঞ্জেল অহনা নামক একটি আইডি থেকে
ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট আসে।
আমার আবার অভ্যাস ভালো আইডি হারানোর ভয়ে
রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করি না।আর মেয়েদের নাম
থাকলে ভাবি ফেইক আইডি।এর যথেষ্ট কারন
আছে।
ফেসবুকে এখন শুধুই ফেকের জয়গান।মাঝে
মাঝে ফিল্টার মেসেজ আর মেসেজ রিকুয়েষ্ট
চেক করি।
অনেক দিন পরে রিকুয়েষ্ট মেসেজ চেক
করলাম।একটা আইডি থেকে ১৭ টা রিকুয়েস্ট
মেসেজ।
মেসেজের কি বাহার!?মেসেজগুলো পরে আমি
তো ৮ম আশ্চর্য হয়ে গেলাম।
মেসেজ গুলো ছিলো এইরকম:
"অই ছেলে এতো ভাব কেন?
"আপনার মতো লেখক আমার আইডিতে অভাব
নেই।
"ভাব কম নেন।নয়তো মাইর ও খাইতে পারেন।
সকল মেসেজ গুলো ছিলো এই টাইপের ই।কি
আর করার এক্সেপ্ট করলাম।এক্সেপ্ট করার সাথে
সাথেই মেসেজ"এতো ভাব নেন কেনো??"?
আমি"ভাবের কি দেখলেন?"আর রিপ্লাই দেয় নি।
ভেবেছিলাম বেচে গেছি কিন্তু না রাতে আবার
শুরু।অনেক্ষন পরে বুঝাইতে সক্ষম হইলাম আমি
মেসেজ রিকুয়েষ্ট চেক করি নাই।যাই হোক
অবশেষে ভাব নেই কথাটা থেকে মুক্ত করিলাম
নিজেকে।
.
গল্প পোস্ট দেয়ার সাথে সাথেই দেখতাম অহনার
লাইক আর কমেন্ট।মনে হয় রোবট।রোবট না
হইলে এলিয়েন।কারন এরা ছাড়া সব পোস্টে কেউ
এতো তারাতারি মতামত দিতে পারে না।
.
আস্তে আস্তে অহনার সাথে বন্ধুত্ব হয়।
ইনবক্সেই কথা হতা সব সময়।শুধু বন্ধুত্ব বললে ভুল
হবে কারন তার চেয়ে একটু বেশি ই ছিলো।।।।।।
সারাদিন ইনবক্সে চ্যাটিং হতো।বেশিরভাগ সময় শুধু
ঝগড়া হতো।বেশ কিছুদিন কাটে এভাবেই।
ভেবেছিলাম এবার নাম্বারটা চেয়ে নিবো।তবে
এর আগেই পুরো দৃশ্যটাই পাল্টে যায়।একদিন
ফেসবুকে ঢুকে দেখি অহনার মেসেজ"হা হা হা!
আপনাকে নাকি কেউ পটাতে পারে না।মু হা হা হা
ভালো থাকবেন"।
এর পর আর কখনো অহনার আইডিতে তার নামের
পাশে সবুজ বাতি জ্বলে নি।
বেশ কিছুর রহস্যের জন্ম দিয়ে গেছে সে।এর
কিছু দিন পরেই আমার নামে বিভিন্ন পেজে বাজে
রিপোর্ট দেখি।
আমি নাকি মেয়েদের সাথে ইনবক্সে লুচ্চামি করি!
প্রমান হিসেবে অহনার সাথে চ্যাটিং করার কিছু
স্ক্রীনশর্ট।।।।অনেক প্রশ্ন ছিলো অহনাকে
করার কিন্তু খুজে পাই নি আর।
--------
.
আজ যখন পেয়েছি এবার প্রশ্ন গুলোর উত্তর
খুজবো।আমি ই আগে ডাক দিলাম তাকে,
আমি:অহনা কেমন আছেন?
অহনা:আপনি আমার না জানলেন কিভাবে???
আমি:শুধু নাম!অনেক রহস্যের সমাধান আটকে
রয়েছে।
অহনা:কে আপনি?
আমি:কে,এইচ,তুষার।
অহনা:কি???আ আ আপনি।
আমি:হ্যা আমি।এখনো কি মানুষ কে ধোকা দেন।
অহনা:মানে কি বলছেন বুঝতেছি না।
আমি:হা হা হা ছলনা তো ভালোই করতে পারেন।
.
আর কিছু বললাম না।একটু দম নিয়ে নিক।পরে আবার
জিজ্ঞেস করা যাবে।
কিছুক্ষন বাদে জিজ্ঞেস করলাম
আমি:একটা সত্যি কথা বলবেন?
অহনা:বলুন।
আমি:আপনাকে কে বলছে আমার সাথে এমন
করতে?
অহনা:আপনাদের ই একজন।
আমি:মানে?
অহনা:আপনার কাছের বন্ধু ই।সোহেল (হিমাদ্রী
হিমু) উনি বলছিলেন যাতে আপনার লেখা লেখি
থেমে যায়।আমি করতে চাইনি বাট একটা কারনে বাধ্য
হইছিলাম উনি আমার বি,এফ ছিলেন।
আমি:সোহেল!!!
অহনা:হ্যা।আমাকে মাফ করবেন।
.
আর কিছু বলি নাই।আমার বিশ্বাস হচ্ছে না সোহেল!!!
কি দরকার ছিলো ওর এটা করার আমাকে বললেই
পারতো।বন্ধু হয়ে বন্ধুর সাথে এটা কোনো
মানুষ করতে পারে না।ওকে জিজ্ঞেস করেও লাভ
হবে না হয়তো স্বীকার করবে না।আর আমি
জিজ্ঞেস ও করবো না।চাই না বন্ধুত্ব টা নস্ট
করতে।সোহেলের সাথে আমার বন্ধুত্ব অনেক
দিনের।।।এটাই বন্ধুত্ব!!!দোয়া করি বন্ধু তুই উন্নতির
চরম শিখরে পৌছে যা।
.
[কল্পকৃত।চেষ্টা করেছি একটি দিক তুলে ধরার
জন্য
No comments