শেষ রাতের কান্না
অফিসের কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছে রিধিতা। তখনই ফোন টা বেজে উঠে।
আহনাব এর কল।
কল টা দেখেই বিরক্তে লাল হয়ে যায় রিধিতা।
রিসিভ করেই-
রিধিতা- ঘন্টায় কয়বার কল করো? তোমার অফিসে কাজ না থাকতে পারে আমার আছে।
আর একবার যদি কল দাও তাহলে ফোন বন্ধ করে দিবো।
আহনাব- সরি, মিস করছি তাই কল দিয়েছি।
রিধিতা- কুত্তার বাচ্চা তুই মর।
কল কেটে দেয় রিধিতা।
আহনাব এর কল।
কল টা দেখেই বিরক্তে লাল হয়ে যায় রিধিতা।
রিসিভ করেই-
রিধিতা- ঘন্টায় কয়বার কল করো? তোমার অফিসে কাজ না থাকতে পারে আমার আছে।
আর একবার যদি কল দাও তাহলে ফোন বন্ধ করে দিবো।
আহনাব- সরি, মিস করছি তাই কল দিয়েছি।
রিধিতা- কুত্তার বাচ্চা তুই মর।
কল কেটে দেয় রিধিতা।
অফিস থেকে বের হতে হতে ৮ টা হয়ে যায়।
তাই রিধিতা বাইরে থেকে ডিনার করে নেয়।
১০ টায় বাসায় এসে দেখে আহনাব তার জন্য খাবার নিয়ে বসে আসে।
খেয়ে এসেছি বলেই ফ্রেশ হতে চলে যায়।
ফ্রেশ হয়ে এসেই ঘুমিয়ে পড়ে।
আহনাবও এসে শুয়ে পড়ে। তবে ঘুম তার চোখে নেই।
তাই রিধিতা বাইরে থেকে ডিনার করে নেয়।
১০ টায় বাসায় এসে দেখে আহনাব তার জন্য খাবার নিয়ে বসে আসে।
খেয়ে এসেছি বলেই ফ্রেশ হতে চলে যায়।
ফ্রেশ হয়ে এসেই ঘুমিয়ে পড়ে।
আহনাবও এসে শুয়ে পড়ে। তবে ঘুম তার চোখে নেই।
এভাবেই তাদের দিন পার হয়ে যাচ্ছে।
রিধিতা জানে না আহনাব কবে অফিস যায় কবে বাসায় ফিরে আর আহনাব জানে না রিধিতা কখন বাসায় ফিরবে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে টায়ার্ড বলে সারাদিন রিধিতা বাসায় ঘুমায় আর আহনাব পার্কের বেঞ্চে বসে থাকে।
ঐ দিনই বলতে গেলে তাদের এক সাথে খাওয়া হয়।
বিয়ে হয়েছে বছর দুই হলো তবু তারা সন্তান নেই নিয়।
একবার আহনাব বলেছিলো তবে রিধিতা অফিসের কাজ এই সেই বলে রাজি হয়নি।
তাই আর বলেনি। আসলে রিধিতা কে সে অনেক ভয় পাই।
এত টা ভয় পায় যে ভালবাসি কথা টা তাকে হিসাব করে, রিধিতার মুড বুঝে বলতে হয় পাচে রিধিতা বুঝি রেগে যায় এই ভেবে।
রিধিতা জানে না আহনাব কবে অফিস যায় কবে বাসায় ফিরে আর আহনাব জানে না রিধিতা কখন বাসায় ফিরবে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে টায়ার্ড বলে সারাদিন রিধিতা বাসায় ঘুমায় আর আহনাব পার্কের বেঞ্চে বসে থাকে।
ঐ দিনই বলতে গেলে তাদের এক সাথে খাওয়া হয়।
বিয়ে হয়েছে বছর দুই হলো তবু তারা সন্তান নেই নিয়।
একবার আহনাব বলেছিলো তবে রিধিতা অফিসের কাজ এই সেই বলে রাজি হয়নি।
তাই আর বলেনি। আসলে রিধিতা কে সে অনেক ভয় পাই।
এত টা ভয় পায় যে ভালবাসি কথা টা তাকে হিসাব করে, রিধিতার মুড বুঝে বলতে হয় পাচে রিধিতা বুঝি রেগে যায় এই ভেবে।
ব্যস্ততা আর সময়ের কৃপণতায় তাদের মাঝেও দূরত্ব বাড়তে থাকে।
আজকাল আহনাব একটু বেশী কল করছে। আর তাতেই বিরক্ত রিধিতা।
তাই আজ থেকে সে ঠিক করলো অফিসে গেলে আহনাবের নাম্বার টা ব্ল্যাকলিস্টে রাখবে।
সকাল ৯ টায় বের হয় রিধিতা। বের হওয়ার সাথে সাথেই আহনাবের নাম্বার টা ব্ল্যাকলিস্টে দেয়। যেনো হাফ ছেড়ে বাঁচলো।
আজকাল আহনাব একটু বেশী কল করছে। আর তাতেই বিরক্ত রিধিতা।
তাই আজ থেকে সে ঠিক করলো অফিসে গেলে আহনাবের নাম্বার টা ব্ল্যাকলিস্টে রাখবে।
সকাল ৯ টায় বের হয় রিধিতা। বের হওয়ার সাথে সাথেই আহনাবের নাম্বার টা ব্ল্যাকলিস্টে দেয়। যেনো হাফ ছেড়ে বাঁচলো।
সন্ধ্যা ৭ টা।
আজ তাড়াতাড়ি বের হতে পারছে রিধিতা তাই মনে মনে খুশী।
তবে বাসায় আহনাবের পেইন কথা গুলো মনে আসতেই রাগ চলে আসে তার।
আজ সারাদিনে কল আসেনি ও। যদিও ব্ল্যাকলিস্টে নাম্বার আগেও দিয়েছিলো তখন কারো না কারো নাম্বার থেকে কল করে ঠিকই "ভালবাসি" কথা টা বলত। আজ তাও করেনি।
তাই মনে মনে অনেক খুশী রিধিতা।
আজ তাড়াতাড়ি বের হতে পারছে রিধিতা তাই মনে মনে খুশী।
তবে বাসায় আহনাবের পেইন কথা গুলো মনে আসতেই রাগ চলে আসে তার।
আজ সারাদিনে কল আসেনি ও। যদিও ব্ল্যাকলিস্টে নাম্বার আগেও দিয়েছিলো তখন কারো না কারো নাম্বার থেকে কল করে ঠিকই "ভালবাসি" কথা টা বলত। আজ তাও করেনি।
তাই মনে মনে অনেক খুশী রিধিতা।
বাসায় এসে দেখে লক। তার মানে আহনাব বাসায় নেই।
এক্সট্রা কি দিয়ে দরজা খুলে বাসায় ডুকে দেখে টেবিলে মাথা রেখে আহনাব ঘুম। তারমানে ভেতর থেকে লক করে ঘুমাচ্ছে।
এটা দেখে মনে মনে অনেক রাগ উঠে রিধিতার। নিজে তো ঠিকই ঘুমায় কিন্তু তাকে ঠিক মত ঘুমাতে দেয় না।
ফ্রেশ হয়ে এসে রিধিতা দেখে আহনাব এখনো ঐভাবে ঘুম।
রাগ আরো বাড়ে রিধিতার। টেনে তুলতে গিয়ে দেখে আহনাবের শরীর টা ঠান্ডায় জমে গেছে। মাথা টা তুলে ধরতেই ধপাশ করে সেটা টেবিলে পড়ে যায়।
হঠাৎ এ অবস্থায় কিছু টা ভড়কে যায় রিধিতা।
তাড়াতাড়ি আহনাবের নার্ভ দেখে কোনো পাল্স পায় না। তাও বারবার চেক করছে। পাগলের মত। কিন্তু না, কোনো সাড়া নেই।
আহনাবের হাতে কলম, সামনে একটা চিঠির মত কিছু লিখা-
রিধিতা,
জানি না এই চিঠি টা তোমার হাতে কখনো পড়বে কিনা, কিংবা সময় হবে কিনা এটা পড়ার।
আজ তুমি ভিষণ ব্যস্ত আর একটা সময় ছিল আমি হাজার ব্যস্ততার মাঝেও তুমি একা বলে তোমাকে সময় দিয়েছি। অথচ আজ ২ মাস আমি অফিসে যাচ্ছি না তা তুমি জানই না। সারাদিন বাসায় থাকছি। তাও একা।
জানো সেদিন কেনো এতবার কল করেছি?
তখন আমি ডাক্তারের কাছে ছিলাম। তুমি কাজ নিয়ে এতটাই বিজি যে আমি যে অসুস্থ তা তুমি খবরও রাখো না।
রিপোর্টে আমার ব্রেণ টিউমার ধরা পড়ে।
যেকোনো মুহূর্তে আমি মারা যেতে পারি। এটা জানাতেই সেদিন তোমাকে কল দিয়েছি এতবার। কিন্তু তুমি আমাকে কুত্তার বাচ্চা বলে কল কেটে দিয়েছ।
তাতে আমার দুঃখ নেই। আমার ভয় মরার সময় তোমাকে পাশে পাবো কিনা সেটা ভেবে।
আমি মরে গেলে তোমাকে হয়ত আর কষ্ট করে আমার কল নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। তোমাকে বিরক্ত করার জন্য ও আমি থাকবো না।
ভালবাসা টা এখন তোমার কাছে আর দশটা সাধারন বিষয়ের মত হয়ে গেছে। তাই আমি বিরক্তের কারণ।
চিন্তা করো না আর তো কিছু দিন, তারপর তুমি ঝামেলা মুক্ত।
আজও আমার নাম্বার টা ব্ল্যাকলিস্টে রে ...... "
এক্সট্রা কি দিয়ে দরজা খুলে বাসায় ডুকে দেখে টেবিলে মাথা রেখে আহনাব ঘুম। তারমানে ভেতর থেকে লক করে ঘুমাচ্ছে।
এটা দেখে মনে মনে অনেক রাগ উঠে রিধিতার। নিজে তো ঠিকই ঘুমায় কিন্তু তাকে ঠিক মত ঘুমাতে দেয় না।
ফ্রেশ হয়ে এসে রিধিতা দেখে আহনাব এখনো ঐভাবে ঘুম।
রাগ আরো বাড়ে রিধিতার। টেনে তুলতে গিয়ে দেখে আহনাবের শরীর টা ঠান্ডায় জমে গেছে। মাথা টা তুলে ধরতেই ধপাশ করে সেটা টেবিলে পড়ে যায়।
হঠাৎ এ অবস্থায় কিছু টা ভড়কে যায় রিধিতা।
তাড়াতাড়ি আহনাবের নার্ভ দেখে কোনো পাল্স পায় না। তাও বারবার চেক করছে। পাগলের মত। কিন্তু না, কোনো সাড়া নেই।
আহনাবের হাতে কলম, সামনে একটা চিঠির মত কিছু লিখা-
রিধিতা,
জানি না এই চিঠি টা তোমার হাতে কখনো পড়বে কিনা, কিংবা সময় হবে কিনা এটা পড়ার।
আজ তুমি ভিষণ ব্যস্ত আর একটা সময় ছিল আমি হাজার ব্যস্ততার মাঝেও তুমি একা বলে তোমাকে সময় দিয়েছি। অথচ আজ ২ মাস আমি অফিসে যাচ্ছি না তা তুমি জানই না। সারাদিন বাসায় থাকছি। তাও একা।
জানো সেদিন কেনো এতবার কল করেছি?
তখন আমি ডাক্তারের কাছে ছিলাম। তুমি কাজ নিয়ে এতটাই বিজি যে আমি যে অসুস্থ তা তুমি খবরও রাখো না।
রিপোর্টে আমার ব্রেণ টিউমার ধরা পড়ে।
যেকোনো মুহূর্তে আমি মারা যেতে পারি। এটা জানাতেই সেদিন তোমাকে কল দিয়েছি এতবার। কিন্তু তুমি আমাকে কুত্তার বাচ্চা বলে কল কেটে দিয়েছ।
তাতে আমার দুঃখ নেই। আমার ভয় মরার সময় তোমাকে পাশে পাবো কিনা সেটা ভেবে।
আমি মরে গেলে তোমাকে হয়ত আর কষ্ট করে আমার কল নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। তোমাকে বিরক্ত করার জন্য ও আমি থাকবো না।
ভালবাসা টা এখন তোমার কাছে আর দশটা সাধারন বিষয়ের মত হয়ে গেছে। তাই আমি বিরক্তের কারণ।
চিন্তা করো না আর তো কিছু দিন, তারপর তুমি ঝামেলা মুক্ত।
আজও আমার নাম্বার টা ব্ল্যাকলিস্টে রে ...... "
এর পর লিখা টা অসমাপ্ত। রিধিতা আহনাব কে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কান্না শুরু করে।
বারবার বিলাপ করে কান্না করতে করতে তাকে ফিরে আসতে বলে।
তবে আহনাব যে না ফিরার দেশের যাত্রী। চোখের জলে কি আর সে পথ জলাবদ্ধতা হয়।
ছোট একটা ভালবাসার সংসার। ব্যস্ততা এমনই ছিল যে মরার সময় পাশে থেকে সাহস দিবে তো দূর পানিও পেলো না।
বারবার বিলাপ করে কান্না করতে করতে তাকে ফিরে আসতে বলে।
তবে আহনাব যে না ফিরার দেশের যাত্রী। চোখের জলে কি আর সে পথ জলাবদ্ধতা হয়।
ছোট একটা ভালবাসার সংসার। ব্যস্ততা এমনই ছিল যে মরার সময় পাশে থেকে সাহস দিবে তো দূর পানিও পেলো না।
অনুযোগঃ- কম বেশী আমরা সবাই কাপল। কেউ বিবাহিত কিংবা ইন রিলেশনশিপে আছেন।
তাদের প্রতি আমার অনুরোধ, কাজ,অফিস,টাকা এসব আসবে যাবে কিন্তু সময় একবার ই যায় আর ফিরে না।
ব্যস্ততার মাঝেও প্রিয় মানুষটার জন্য ২ মিনিট বেরর করা খুব কঠিন না।
২ মিনিটে কিছু হয় না, তবে সেই ২ মিনিটই পারে আপনাদের কাছে আনতে।
তাদের প্রতি আমার অনুরোধ, কাজ,অফিস,টাকা এসব আসবে যাবে কিন্তু সময় একবার ই যায় আর ফিরে না।
ব্যস্ততার মাঝেও প্রিয় মানুষটার জন্য ২ মিনিট বেরর করা খুব কঠিন না।
২ মিনিটে কিছু হয় না, তবে সেই ২ মিনিটই পারে আপনাদের কাছে আনতে।
দূরে গেলেই দূরত্ব বাড়ে, আর বাড়ে হতাশা,
সময় দিলে বাড়ে প্রেম সময় দিলেই বাড়ে ভালবাসা।
সময় দিলে বাড়ে প্রেম সময় দিলেই বাড়ে ভালবাসা।
No comments