বন্ধুত্ব
ফেসবুক
--- বান্দর।
--- বান্দরনী।
--- তোর বউ।
--- হু, হু তুই।
--- কি বললি?
--- কি বলবি বল....
--- একটা গল্প শোনা।
--- তুই রাত সারে বারো টার সময় কল দিয়েছিস গল্প
শোনার জন্য?
--- হ্যাঁ, তো আর কি? তোর সাথে প্রেম করার
ইচ্ছা আমার নাই....
--- এহ্, আইছে। খালাম্মার মতো চেহারা নিয়া আমার
সাথে প্রেম করতে... যা যা তোর বয়ফ্রেন্ড
রে কল দিয়া ওরে জ্বালা।
--- বেচারা ঘুমাইছে। ডিস্টার্ব করমু না। তুই গল্প
শোনা।
--- আমি পারমু না। আমার কাজ আছে।
--- কি কাজ আছে আমি বুঝি...
--- ভালো, বুঝলেই ভালো।
--- হ্যাঁ, সরি ডিস্টার্ব করার জন্য।
--- যা,যা মাফ করে দিলাম।
--- আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আচ্ছা রাখি। আপনার
প্রেমিকা আবার কল দিয়ে ওয়েটিং পেলে রাগ
করবে।
--- ওই যে শুরু হলো.......
.
.
কোন কথা না বলেই ওপর পাশে কল কেটে
গিয়েছে। এটা আজ নতুন না। নিত্যদিনের কাহিনী।
কথা হচ্ছিলো দুই জন ফ্রেন্ড শাওন এবং মুন এর
মাঝে। এদের কাজ ই হলো ঝগড়া করা। কোন
ইস্যু লাগে না। ঝগড়া হতেও সময় লাগে না আবার মিল
হতেও।
কল কেটে দিয়ে মুন শাওন কে ফেসবুকে ব্লক
দিয়ে দেয়। ম্যাসেজ ব্লক। বলে রাখা ভালো এরা
শুধুই ভারচুয়াল ফ্রেন্ড, নীল সাদা তে পরিচয়। কিন্তু
বন্ধুত অনেক গভীর।
এদিকে শাওন বারবার কল দিয়ে যাচ্ছে তো
যাচ্ছেই। মুন বারবার কেটে দিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত
রিসিভ করে।
--- কি হইছে? প্রব্লেম কি? (মুন)
--- রাগ করিস কেনো? (শাওন)
--- আমি রাগ করি না।
--- আমি চাইলেও রাগ ভাংগাতে পারমু না। কারণ ফোনে
টাকা নাই। ব্লক ছাড়া একটা জিনিশ দিচ্ছি দেখ......
.
ব্লক ছাড়িয়ে মুন দেখতে পায় শাওন ব্ল্যাক শার্ট
পড়ে বাহিরে ঘুরতে গিয়েছিলো তখনের
সেল্ফি। দেখে মুনের রাগ আরো বেড়ে যায়।
কারণ এই বদমাইশ টা ওর লিপস্টিক দিয়ে বাহিরে যাওয়া
বন্ধ করে দিয়েছে। বলেছে তুই লিপস্টিক দিবি শুধু
তোর উনি আর আমি দেখবো অন্য কেউ না। মুন
ও কন্ডিশন দিয়েছে সাদা, এবং কালো রঙ পড়ে ও
বাহিরে যেতে পারবে না। কিন্তু ও দিব্যি ঘুরে
বেড়াচ্ছে....
রিপ্লে না পেয়ে শাওন বুঝতে পারে...
.
--- লিপস্টিকে তোকে ঠিক অপ্সরীর মতো
লাগে। নজর ফেরানো দায়। চাইনা বাহিরের কেউ
সে রুপের সুধা চোখ দিয়ে গ্রাস করুক তাই তো
এই প্রয়াস।
.
ম্যাসেজ দেখেও মুন কিছু বলেনা। কারণ আছে
বলেই না করেছে সে জানতো। এই মানুষ ছাড়া
তো আর কোন ফ্রেন্ড নেই তার।
বিপদেআপদে সে সব সময় তার পাশে
থেকেছে রিয়েল লাইফের তথাকথিত বন্ধুদের
মতো পল্টিবাজী করেনি।
.
.
কিছুক্ষণ পর...
.
--- মেয়ে তুই আমারে মিথ্যা শিখালি,মেয়ে তুই
আমারে নিঃস্ব করিলি....
--- কি হলো তোর প্রব্লেম কি?
--- ব্রেকাপ.....
--- আবারো?
--- হ্যাঁ,আমার কচি কচি গার্লফ্রেন্ড গুলো.. ।
--- চুপ।এইবার ক্যান?
--- তুই থাকতে আমার গফ থাকবো ক্যামনে।
--- অহ্, আচ্ছা।আমাকে ব্লক দিয়ে দিন। ভালো
থাকুন।
--- ওওই যে। চুপ বান্দরনী। গার্লফ্রেন্ড যাবে
আসবে কিন্তু তুই না থাকলে আমি কারে বোকা দিমু?
কারে বলদি বলবো?
--- তুই বলদ। তোর বউ থাকবো না।
--- এহ্, আমার বউ দেখিস সেই রকম সুন্দরী হবে।
তোর থেকেও অনেক সুন্দরী।
--- প্রথমত আমি সুন্দরী নই। এবং আপনার বউ
খালাম্মার মতো হবে।
--- তুই কি আমার চোখ দিয়ে দেখ উত্তর পেয়ে
যাবি।
--- কি বললি?
--- কিছুনা।
.
.
টম &জেরির মতো সম্পর্ক। ঝগড়া ছাড়া কারো
পেট এর ভাত হজম হয় না। শাওন এর ইচ্ছে বিশ্বের
সেরা সুন্দরী বিয়ে করবো কিন্তু ওর ভাগ্যে
আছে এক খালাম্মা। আর মুন? সে তো সৌরভে
সুবাসিনী।
মুন সারাদিন বলবে তোর গফ এমন, তোর গফ ওমন
কিন্তু শাওন যদি ভুলেও মুনের উনি কে কিছু বলে
তো কপালে শনি ভর করে। শাওন কৃষ্ণ ভক্ত।
নিজেকে তার আদর্শে আদর্শিত করতে চায় তাই
ওর গোপির অভাব হয় না। কিন্তু মুন আসার পর
বেচারার সব গোপী দের ভাগিয়ে দিছে।
ছেলেটাও অদ্ভুত। যে কারো কথা শুনে না সে
মুনের সব কথা শুনতে বাধ্য।
মাঝেমধ্যে মুনের সাথে ইচ্ছে করেই ঝগড়া
করে কারণ জানে যে রাগ করে থাকতে দিবে না।
আজ পর্যন্ত যখন যখন ঝগড়া হয়েছে কিংবা মুন রাগ
করেছে তখন নিজে উল্টো রাগ করে বসে
থেকেছে। সব সময় মুন নিজেই রাগ ভাংগায়।
.
--- এই, এই এইটা আমার। (মুন)
--- আইছে, এইটা আমার। বান্দরনী তুই দূরে গিয়া মর।
(শাওন)
--- তুই ভাগ। এই বেবি টা আমার তো আমার।
--- হবো না। দুনিয়ার সব কিউট বেবি কি তুই নিবি না কি?
--- হ্যাঁ, কোন সমস্যা। তোর বউ এর তো হবো
না। বিয়াই করবি খালাম্মা। কিউট বেবি কেমনে হবো?
--- তোর থেকে সুন্দরী হবো। দেইখা নিস।
--- আমার মতই একটা আইনা দেখাইস .........
.
. --- তুই কি বললি? আমি খালাম্মা বিয়ে করমু?
--- হ্যাঁ।
--- আমার বাবু কিউট হবো না?
--- না।
--- তোর বাবু কিউট তো হবে?
--- অবশ্যই....
--- তাইলে তোর টা চুরি করমু। সিউর থাক তুই।
--- এহ্, তাইলে আমি তোরে মনে করছিস আস্ত
রাখমু? একদম খাইয়া ফেলবো...
--- প্লিজ আমারে খায়া ফেল, প্লিজ।
--- শালা বান্দর। মাইর খাবি কিন্তু.....
.
.
কয়েক বছর পর.....
.
.
আজ অনেকদিন পর দুজন দুজনের সামনাসামনি। প্রায়
অনেক মান, অভিমান কাটিয়ে আজ এই সময়। কিন্তু
দুজনেই চুপ। হ্যাঁ,যার সাথে অনেক কথা বলার থাকে
সামনাসামনি সেসব উলটপালট হয়ে যায়। কে, কি কই
থেকে শুরু করবে এর অপেক্ষা। কিন্তু
চোখের ভাষা অনেক কিছুই প্রকাশ করে দেয়।
.
--- শেষ পর্যন্ত খালাম্মাই বিয়ে করলেন? (মুন)
--- আপনি? ভাগ্যে ছিলো। আগেই বলেছিলাম মা-বাবা
যা ঠিক করবে তাই হবে।
--- সিদুরে আপনার স্ত্রী কে অপরুপা লাগছে।
--- আপনার কাজল আজও নেশা লাগিয়ে দিচ্ছে।
--- আপনি করে বলতেছিস ক্যান? বান্দর ফর্মালিটি
করিস?
--- শুরু টা কে করছে? বান্দরনী।
--- যা ভাগ। আমার ছেলে কিউট না?
--- হ্যাঁ,তবে আমার মেয়ের থেকে না।
--- এহ্, পারলে এদের বিয়ে দিয়ে দুজন বেয়াই
বেয়াইন হয়ে যেতাম রে......
--- মাঝে যে ধর্ম,সমাজ নামের অনেক বড়
দেয়াল। এই দেয়াল না থাকলে আজ পরিণতি কিছু অন্য
হতো......
--- সত্যি রে, আল্লাহ্ আমারে বাচাইছে.... । তুই
সনাতনধর্ম এর। তোর মেয়ে রে নিলে একটা
ধমক দিলে তার বাপের কাছে শালিস করবো আর
মাইয়্যার যে বাপ। আল্লাহ্।
--- সেই গুণ টা এখনো অনেক ভালোই আছে।
কথা ঘুরিয়ে নিতে পারিস।
--- চুপ, বান্দর। দেখ তোর গফ মুন্নি।
--- কই?
--- তুই শোধরাবি না।
.
কিছু সম্পর্ক কখনো পাল্টে যায় না। সময়ের
স্রোতে হয়তো নতুন মোড় বা বাক নেয়। কিন্তু
সারা জীবন পাশে থাকে। এর নামই হয়তো বন্ধুত্ব।
--- বান্দর।
--- বান্দরনী।
--- তোর বউ।
--- হু, হু তুই।
--- কি বললি?
--- কি বলবি বল....
--- একটা গল্প শোনা।
--- তুই রাত সারে বারো টার সময় কল দিয়েছিস গল্প
শোনার জন্য?
--- হ্যাঁ, তো আর কি? তোর সাথে প্রেম করার
ইচ্ছা আমার নাই....
--- এহ্, আইছে। খালাম্মার মতো চেহারা নিয়া আমার
সাথে প্রেম করতে... যা যা তোর বয়ফ্রেন্ড
রে কল দিয়া ওরে জ্বালা।
--- বেচারা ঘুমাইছে। ডিস্টার্ব করমু না। তুই গল্প
শোনা।
--- আমি পারমু না। আমার কাজ আছে।
--- কি কাজ আছে আমি বুঝি...
--- ভালো, বুঝলেই ভালো।
--- হ্যাঁ, সরি ডিস্টার্ব করার জন্য।
--- যা,যা মাফ করে দিলাম।
--- আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আচ্ছা রাখি। আপনার
প্রেমিকা আবার কল দিয়ে ওয়েটিং পেলে রাগ
করবে।
--- ওই যে শুরু হলো.......
.
.
কোন কথা না বলেই ওপর পাশে কল কেটে
গিয়েছে। এটা আজ নতুন না। নিত্যদিনের কাহিনী।
কথা হচ্ছিলো দুই জন ফ্রেন্ড শাওন এবং মুন এর
মাঝে। এদের কাজ ই হলো ঝগড়া করা। কোন
ইস্যু লাগে না। ঝগড়া হতেও সময় লাগে না আবার মিল
হতেও।
কল কেটে দিয়ে মুন শাওন কে ফেসবুকে ব্লক
দিয়ে দেয়। ম্যাসেজ ব্লক। বলে রাখা ভালো এরা
শুধুই ভারচুয়াল ফ্রেন্ড, নীল সাদা তে পরিচয়। কিন্তু
বন্ধুত অনেক গভীর।
এদিকে শাওন বারবার কল দিয়ে যাচ্ছে তো
যাচ্ছেই। মুন বারবার কেটে দিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত
রিসিভ করে।
--- কি হইছে? প্রব্লেম কি? (মুন)
--- রাগ করিস কেনো? (শাওন)
--- আমি রাগ করি না।
--- আমি চাইলেও রাগ ভাংগাতে পারমু না। কারণ ফোনে
টাকা নাই। ব্লক ছাড়া একটা জিনিশ দিচ্ছি দেখ......
.
ব্লক ছাড়িয়ে মুন দেখতে পায় শাওন ব্ল্যাক শার্ট
পড়ে বাহিরে ঘুরতে গিয়েছিলো তখনের
সেল্ফি। দেখে মুনের রাগ আরো বেড়ে যায়।
কারণ এই বদমাইশ টা ওর লিপস্টিক দিয়ে বাহিরে যাওয়া
বন্ধ করে দিয়েছে। বলেছে তুই লিপস্টিক দিবি শুধু
তোর উনি আর আমি দেখবো অন্য কেউ না। মুন
ও কন্ডিশন দিয়েছে সাদা, এবং কালো রঙ পড়ে ও
বাহিরে যেতে পারবে না। কিন্তু ও দিব্যি ঘুরে
বেড়াচ্ছে....
রিপ্লে না পেয়ে শাওন বুঝতে পারে...
.
--- লিপস্টিকে তোকে ঠিক অপ্সরীর মতো
লাগে। নজর ফেরানো দায়। চাইনা বাহিরের কেউ
সে রুপের সুধা চোখ দিয়ে গ্রাস করুক তাই তো
এই প্রয়াস।
.
ম্যাসেজ দেখেও মুন কিছু বলেনা। কারণ আছে
বলেই না করেছে সে জানতো। এই মানুষ ছাড়া
তো আর কোন ফ্রেন্ড নেই তার।
বিপদেআপদে সে সব সময় তার পাশে
থেকেছে রিয়েল লাইফের তথাকথিত বন্ধুদের
মতো পল্টিবাজী করেনি।
.
.
কিছুক্ষণ পর...
.
--- মেয়ে তুই আমারে মিথ্যা শিখালি,মেয়ে তুই
আমারে নিঃস্ব করিলি....
--- কি হলো তোর প্রব্লেম কি?
--- ব্রেকাপ.....
--- আবারো?
--- হ্যাঁ,আমার কচি কচি গার্লফ্রেন্ড গুলো.. ।
--- চুপ।এইবার ক্যান?
--- তুই থাকতে আমার গফ থাকবো ক্যামনে।
--- অহ্, আচ্ছা।আমাকে ব্লক দিয়ে দিন। ভালো
থাকুন।
--- ওওই যে। চুপ বান্দরনী। গার্লফ্রেন্ড যাবে
আসবে কিন্তু তুই না থাকলে আমি কারে বোকা দিমু?
কারে বলদি বলবো?
--- তুই বলদ। তোর বউ থাকবো না।
--- এহ্, আমার বউ দেখিস সেই রকম সুন্দরী হবে।
তোর থেকেও অনেক সুন্দরী।
--- প্রথমত আমি সুন্দরী নই। এবং আপনার বউ
খালাম্মার মতো হবে।
--- তুই কি আমার চোখ দিয়ে দেখ উত্তর পেয়ে
যাবি।
--- কি বললি?
--- কিছুনা।
.
.
টম &জেরির মতো সম্পর্ক। ঝগড়া ছাড়া কারো
পেট এর ভাত হজম হয় না। শাওন এর ইচ্ছে বিশ্বের
সেরা সুন্দরী বিয়ে করবো কিন্তু ওর ভাগ্যে
আছে এক খালাম্মা। আর মুন? সে তো সৌরভে
সুবাসিনী।
মুন সারাদিন বলবে তোর গফ এমন, তোর গফ ওমন
কিন্তু শাওন যদি ভুলেও মুনের উনি কে কিছু বলে
তো কপালে শনি ভর করে। শাওন কৃষ্ণ ভক্ত।
নিজেকে তার আদর্শে আদর্শিত করতে চায় তাই
ওর গোপির অভাব হয় না। কিন্তু মুন আসার পর
বেচারার সব গোপী দের ভাগিয়ে দিছে।
ছেলেটাও অদ্ভুত। যে কারো কথা শুনে না সে
মুনের সব কথা শুনতে বাধ্য।
মাঝেমধ্যে মুনের সাথে ইচ্ছে করেই ঝগড়া
করে কারণ জানে যে রাগ করে থাকতে দিবে না।
আজ পর্যন্ত যখন যখন ঝগড়া হয়েছে কিংবা মুন রাগ
করেছে তখন নিজে উল্টো রাগ করে বসে
থেকেছে। সব সময় মুন নিজেই রাগ ভাংগায়।
.
--- এই, এই এইটা আমার। (মুন)
--- আইছে, এইটা আমার। বান্দরনী তুই দূরে গিয়া মর।
(শাওন)
--- তুই ভাগ। এই বেবি টা আমার তো আমার।
--- হবো না। দুনিয়ার সব কিউট বেবি কি তুই নিবি না কি?
--- হ্যাঁ, কোন সমস্যা। তোর বউ এর তো হবো
না। বিয়াই করবি খালাম্মা। কিউট বেবি কেমনে হবো?
--- তোর থেকে সুন্দরী হবো। দেইখা নিস।
--- আমার মতই একটা আইনা দেখাইস .........
.
. --- তুই কি বললি? আমি খালাম্মা বিয়ে করমু?
--- হ্যাঁ।
--- আমার বাবু কিউট হবো না?
--- না।
--- তোর বাবু কিউট তো হবে?
--- অবশ্যই....
--- তাইলে তোর টা চুরি করমু। সিউর থাক তুই।
--- এহ্, তাইলে আমি তোরে মনে করছিস আস্ত
রাখমু? একদম খাইয়া ফেলবো...
--- প্লিজ আমারে খায়া ফেল, প্লিজ।
--- শালা বান্দর। মাইর খাবি কিন্তু.....
.
.
কয়েক বছর পর.....
.
.
আজ অনেকদিন পর দুজন দুজনের সামনাসামনি। প্রায়
অনেক মান, অভিমান কাটিয়ে আজ এই সময়। কিন্তু
দুজনেই চুপ। হ্যাঁ,যার সাথে অনেক কথা বলার থাকে
সামনাসামনি সেসব উলটপালট হয়ে যায়। কে, কি কই
থেকে শুরু করবে এর অপেক্ষা। কিন্তু
চোখের ভাষা অনেক কিছুই প্রকাশ করে দেয়।
.
--- শেষ পর্যন্ত খালাম্মাই বিয়ে করলেন? (মুন)
--- আপনি? ভাগ্যে ছিলো। আগেই বলেছিলাম মা-বাবা
যা ঠিক করবে তাই হবে।
--- সিদুরে আপনার স্ত্রী কে অপরুপা লাগছে।
--- আপনার কাজল আজও নেশা লাগিয়ে দিচ্ছে।
--- আপনি করে বলতেছিস ক্যান? বান্দর ফর্মালিটি
করিস?
--- শুরু টা কে করছে? বান্দরনী।
--- যা ভাগ। আমার ছেলে কিউট না?
--- হ্যাঁ,তবে আমার মেয়ের থেকে না।
--- এহ্, পারলে এদের বিয়ে দিয়ে দুজন বেয়াই
বেয়াইন হয়ে যেতাম রে......
--- মাঝে যে ধর্ম,সমাজ নামের অনেক বড়
দেয়াল। এই দেয়াল না থাকলে আজ পরিণতি কিছু অন্য
হতো......
--- সত্যি রে, আল্লাহ্ আমারে বাচাইছে.... । তুই
সনাতনধর্ম এর। তোর মেয়ে রে নিলে একটা
ধমক দিলে তার বাপের কাছে শালিস করবো আর
মাইয়্যার যে বাপ। আল্লাহ্।
--- সেই গুণ টা এখনো অনেক ভালোই আছে।
কথা ঘুরিয়ে নিতে পারিস।
--- চুপ, বান্দর। দেখ তোর গফ মুন্নি।
--- কই?
--- তুই শোধরাবি না।
.
কিছু সম্পর্ক কখনো পাল্টে যায় না। সময়ের
স্রোতে হয়তো নতুন মোড় বা বাক নেয়। কিন্তু
সারা জীবন পাশে থাকে। এর নামই হয়তো বন্ধুত্ব।
No comments