না ফেরার বেলা
"জানিস,লোপা..??
মাঝে মাঝে মন চায়,গভীর রাতে লোকটার গলা টিপে মেরে ফেলি..."
মাঝে মাঝে মন চায়,গভীর রাতে লোকটার গলা টিপে মেরে ফেলি..."
রাত দুটোর সময় আমার স্বামীর পাশ থেকে উঠে গিয়ে আমি আমার বান্ধবী লোপাকে ফোন করে এই কথাটা বলতে আমার এতো টুকুও বুক কাঁপলো না...
ওপাশ থেকে আমার বান্ধবী আঁৎকে ধমক দেওয়া কণ্ঠে বলে উঠলো--
"খবরদার,নোভা... তুই এসব বাজে চিন্তা ছেড়ে দে..রাইয়ান ভাই,খুব ভালো..সময় আছে শুধরে যা..ভালো থাকবি..."
ওপাশ থেকে আমার বান্ধবী আঁৎকে ধমক দেওয়া কণ্ঠে বলে উঠলো--
"খবরদার,নোভা...
আমার খুব রাগ হয়ে গেল..আমি রাগ করেই ফোনটা কেটে দিলাম..রাইয়ানের সাথে আমার বিয়ে হয়েছে,ছয় মাস..আমার যেদিন পালিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো আকাশের সাথে..আমার বাবা বুঝতে পেরে আমাকে ধরে বেঁধে উনার সাথে বিয়ে দিয়েছে..আমি তাকে সব খুলে বলেছিলাম,
উনি তারপরেও আমাকে বিয়ে করেছে...
এই কারণে লোকটাকে আমি কিছুতেই সহ্য করতে পারিনা..আরো বেশি রাগ হয়,যখন দেখি উনি আমাকে ভালোবাসছেন...
উনি তারপরেও আমাকে বিয়ে করেছে...
এই কারণে লোকটাকে আমি কিছুতেই সহ্য করতে পারিনা..আরো বেশি রাগ হয়,যখন দেখি উনি আমাকে ভালোবাসছেন...
মানুষ টাকে বলতে হবে,খুব ভালো টাইপের..তা না হলে,বিয়ের কনে ভেগে যাওয়ার কথা শুনেও বিয়ে করতে চায়..ব্যাপার টা আসলেই বিরাট কিছু..
রাইয়ান আমার আব্বার স্টুডেন্ট ছিলো..
খুব ভালো করেই জানি,আব্বার কথাতেই এই বিয়ে হয়েছিলো..
রাইয়ান আমার আব্বার স্টুডেন্ট ছিলো..
খুব ভালো করেই জানি,আব্বার কথাতেই এই বিয়ে হয়েছিলো..
আমি ভালোবাসি শুধু আকাশকেই...
আকাশ এখনো একটা চাকরী পায়নি..ওর চাল চুলোর ঠিক নাই,আর আগে নেশা করতো বলে আব্বা আমাদের প্রেমের কথা জানতে পেরে তড়িঘড়ি করছিলো আমার বিয়ের..বুঝতে পেরেই আমি আকাশের কাছে পালিয়ে যাওয়ার প্ল্যান বানিয়েছিলাম..আব ্বা সেটাও ধরতে পেরে ঐ দিনই আমাকে তার পুরোনো স্টুডেন্ট এর সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়...
আকাশ এখনো একটা চাকরী পায়নি..ওর চাল চুলোর ঠিক নাই,আর আগে নেশা করতো বলে আব্বা আমাদের প্রেমের কথা জানতে পেরে তড়িঘড়ি করছিলো আমার বিয়ের..বুঝতে পেরেই আমি আকাশের কাছে পালিয়ে যাওয়ার প্ল্যান বানিয়েছিলাম..আব
আমি এখনো আকাশের সাথে কথা বলি..
রাইয়ান অফিসে যাওয়ার পর..
ওর চাকরি পাওয়ার সাথে সাথেই আমি আকাশের কাছে চলে যাবো..
যদিও আমি রাইয়ানকে বুঝতে দেই না..
জানি না,রাইয়ান এগুলো বোঝে কিনা..
রাইয়ান অফিসে যাওয়ার পর..
ওর চাকরি পাওয়ার সাথে সাথেই আমি আকাশের কাছে চলে যাবো..
যদিও আমি রাইয়ানকে বুঝতে দেই না..
জানি না,রাইয়ান এগুলো বোঝে কিনা..
আজ রাইয়ান মারাত্মক একটা অপরাধ করেছে..
আমার পছন্দের এক গাদা বেলী ফুলের মালা নিয়ে এসেছে..তারপর থেকেই তার উপরে আমি খুব রেগে আছি..কি দরকার লোকটার এসব করার...?
আমি তো তার সাথে থাকবো না..
সে এসব করে কেন আমার সামনে ভালো হতে যায়...!তার এতো ভালো হওয়া দেখলে আমার গা জ্বালা করে খুব....
আমার পছন্দের এক গাদা বেলী ফুলের মালা নিয়ে এসেছে..তারপর থেকেই তার উপরে আমি খুব রেগে আছি..কি দরকার লোকটার এসব করার...?
আমি তো তার সাথে থাকবো না..
সে এসব করে কেন আমার সামনে ভালো হতে যায়...!তার এতো ভালো হওয়া দেখলে আমার গা জ্বালা করে খুব....
ফোনটা হাতে নিয়ে আকাশকে টেক্সট পাঠালাম..
--ঘুমিয়ে গেছো তুমি???
কিছুক্ষণ পরে রিপ্লাই আসলো..
--নাহ.ঘুম আসছে না আমার..
আমি মনে মনে একটু দরদ করে ওকে আবার টেক্সট দিলাম--
--কেন ঘুম আসছে না সোনা..??
আকাশ রিপ্লাই দিলো--
--তোমার জামাই ঘুমাইছে???
আমি মনে মনে বিরক্তির সাথে লিখলাম--
--তো ঘুমোবেনা??তার তো কোন জ্বালা নেই...
আকাশ আর রিপ্লাই দিলো না..
--ঘুমিয়ে গেছো তুমি???
কিছুক্ষণ পরে রিপ্লাই আসলো..
--নাহ.ঘুম আসছে না আমার..
আমি মনে মনে একটু দরদ করে ওকে আবার টেক্সট দিলাম--
--কেন ঘুম আসছে না সোনা..??
আকাশ রিপ্লাই দিলো--
--তোমার জামাই ঘুমাইছে???
আমি মনে মনে বিরক্তির সাথে লিখলাম--
--তো ঘুমোবেনা??তার তো কোন জ্বালা নেই...
আকাশ আর রিপ্লাই দিলো না..
আমি আবার আরেকটা টেক্সট করলাম--
--তুমি তাড়াতাড়ি একটা চাকরী দেখো না..।
অল্প বেতন হোক।।তাও চলবে..আমি তোমার কাছে চলে আসতে চাই...
--তুমি তাড়াতাড়ি একটা চাকরী দেখো না..।
অল্প বেতন হোক।।তাও চলবে..আমি তোমার কাছে চলে আসতে চাই...
এবারও কোন উত্তর আসলো না..
আমি কলও দিলাম আকাশকে কয়েকবার..
কিন্তু ধরলো না..বুঝে নিলাম,আকাশ ঘুমিয়ে পড়েছে..ও তো এমনি...ঘুম আসলে কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে পড়ে....
আমি কলও দিলাম আকাশকে কয়েকবার..
কিন্তু ধরলো না..বুঝে নিলাম,আকাশ ঘুমিয়ে পড়েছে..ও তো এমনি...ঘুম আসলে কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে পড়ে....
আমি তাই আর টেক্সট দিলাম না...
মোবাইলটা হাত থেকে নামিয়ে "পাগল ছেলেটা.." বলে পেছনের টেবিলে রাখতে গেলাম..
দেখি আমার স্বামী এসে পাশে দাঁড়িয়েছে..
আমি হালকা চমকে উঠলাম..
সে আমাকে প্রশ্ন করলো--
--"তুমি কি কারো সাথে কথা বলছো,নোভা..??"
আমি ঘাড় ঘুরিয়ে উত্তর দিলাম..
--না তো..কেন??
--এখন এখানে আসতেই তোমার মুখে ফিসফিস শুনলাম তো..তাই।।.
--আরে নাহ..একার সাথে একা কি জানি বিড়বিড় করছিলাম..আপনি উঠে এসেছেন যে??
--ওহ..আমি একটু পানি খাবো...(বলেই সে পানির জগ থেকে এক গ্লাস পানি ঢেলে ঢকঢক করে খেয়ে ফেললো..)
মোবাইলটা হাত থেকে নামিয়ে "পাগল ছেলেটা.." বলে পেছনের টেবিলে রাখতে গেলাম..
দেখি আমার স্বামী এসে পাশে দাঁড়িয়েছে..
আমি হালকা চমকে উঠলাম..
সে আমাকে প্রশ্ন করলো--
--"তুমি কি কারো সাথে কথা বলছো,নোভা..??"
আমি ঘাড় ঘুরিয়ে উত্তর দিলাম..
--না তো..কেন??
--এখন এখানে আসতেই তোমার মুখে ফিসফিস শুনলাম তো..তাই।।.
--আরে নাহ..একার সাথে একা কি জানি বিড়বিড় করছিলাম..আপনি উঠে এসেছেন যে??
--ওহ..আমি একটু পানি খাবো...(বলেই সে পানির জগ থেকে এক গ্লাস পানি ঢেলে ঢকঢক করে খেয়ে ফেললো..)
আমি চুপ করে বসে থাকলাম..
সে খুব সুন্দর করে প্রশ্ন করলো--
--তুমি এখনো এখানে কি করছো..ঘুম আসছে না..???
--নাহ..ঘুম আসছে না...
সে খুব সুন্দর করে প্রশ্ন করলো--
--তুমি এখনো এখানে কি করছো..ঘুম আসছে না..???
--নাহ..ঘুম আসছে না...
সে ব্যস্ত হয়ে আমার কপালে হাত দিলো খুব আলতো করে,
--তোমার শরীর খারাপ লাগছে না তো???
--তোমার শরীর খারাপ লাগছে না তো???
আমি বিরক্ত হয়ে আস্তে করে হাত সরিয়ে দিলাম...
বললাম--
--নাহ..ঠিক আছি আমি...
বললাম--
--নাহ..ঠিক আছি আমি...
সে বললো--
--আচ্ছা,চলো..আম ি তোমার কপালে হাত বুলিয়ে দেই..তুমি ঘুমিয়ে পড়ো..
--না..আপনি ঘুমিয়ে পড়েন..আমি একটু পরে আসছি।।
--তাহলে থাক..আমিও তোমার সাথে বসি ততক্ষণ..একা একা তোমার খারাপ লাগবে..
--আচ্ছা,চলো..আম
--না..আপনি ঘুমিয়ে পড়েন..আমি একটু পরে আসছি।।
--তাহলে থাক..আমিও তোমার সাথে বসি ততক্ষণ..একা একা তোমার খারাপ লাগবে..
রাইয়ানের সাথে গল্প করার একটুও ইচ্ছা করছে না বলে,আমি ঘুমোতে যেতে রাজী হলাম..
তারপর বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম..ইচ্ছে করে চোখ বন্ধ করে থাকলাম..
বুঝতে পারছিলাম,রাইয়ান সত্যি করে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলো....
আমি কথা বলার ভয়ে ঘুমের ভান করে পড়ে থাকলাম..তারপর সত্যি সত্যি কখন ঘুমিয়ে পড়েছি জানি না..
তারপর বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম..ইচ্ছে করে চোখ বন্ধ করে থাকলাম..
বুঝতে পারছিলাম,রাইয়ান
আমি কথা বলার ভয়ে ঘুমের ভান করে পড়ে থাকলাম..তারপর সত্যি সত্যি কখন ঘুমিয়ে পড়েছি জানি না..
সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি রান্নাঘরে গেলাম খাবার তৈরী করতে..রাইয়ানও বোধ হয় উঠে পড়েছে এতোক্ষণে.. অফিস যাবে সে কিছুক্ষণের ভেতরই...
হঠাৎ করেই সে আমার নাম ধরে ডাকতে ডাকতে বের হয়ে এলো রান্নাঘরে...তার ফোন পাওয়া যাচ্ছে না,আমার ফোন থেকে কল দিয়ে খুঁজবে..
আমার তখন ডাল চুলায়..
তাড়াহুড়ো করে বললাম-
"আমার ফোন,সোফার উপরে..নিয়ে কল দেন..."
আমার তখন ডাল চুলায়..
তাড়াহুড়ো করে বললাম-
"আমার ফোন,সোফার উপরে..নিয়ে কল দেন..."
বলেই আমি রান্নার দিকে ফিরলাম আবার..
কয়েক মুহুর্ত পরে,ডাল উতলানো দেখে হঠাৎ খেয়াল হলো..
আমি তো আকাশের সাথে গতকালের চ্যাট তো ডিলেট করিনি..রাইয়ানকে তো বললাম,আমার ফোন ধরতে..ও যদি দেখে ফেলে...
আমি চটজলদি ঘরে গিয়ে দেখি.
"রাইয়ানের এক হাত আমার ফোন,আরেক হাতে তার ফোন..গভীর মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে দেখছে.."
কয়েক মুহুর্ত পরে,ডাল উতলানো দেখে হঠাৎ খেয়াল হলো..
আমি তো আকাশের সাথে গতকালের চ্যাট তো ডিলেট করিনি..রাইয়ানকে
আমি চটজলদি ঘরে গিয়ে দেখি.
"রাইয়ানের এক হাত আমার ফোন,আরেক হাতে তার ফোন..গভীর মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে দেখছে.."
আমি থমকে গেলাম ওখানেই..
বুকের ভেতর ধড়ফড় শুরু হয়ে গেলো..
রাইয়ান আমার দিকে একবার তাকালো..আর কেমন নীরব সুরে বললো--
"আমি পেয়েছি আমার ফোন..."
বুকের ভেতর ধড়ফড় শুরু হয়ে গেলো..
রাইয়ান আমার দিকে একবার তাকালো..আর কেমন নীরব সুরে বললো--
"আমি পেয়েছি আমার ফোন..."
কথাটা সে বলেই কেমন মলিন একটা হাসি দিয়ে,ফোন দুটোকে বিছানায় রেখে ওয়াশরুমে গেল..
ওর মুখটা দেখে আমার বুকের ভেতর ধক করে উঠলো..সে ওয়াশরুমে যাওয়ার পর আমি ফোনটা জলদি হাতে নিয়ে দেখলাম,আকাশের একটা ম্যাসেজ-
"নোভা,খুব শ্রীঘ্রই তোমাকে আনবো..তোমার জামাই চলে গেলে ফোন দাও..আমি অপেক্ষা করছি..."
ওর মুখটা দেখে আমার বুকের ভেতর ধক করে উঠলো..সে ওয়াশরুমে যাওয়ার পর আমি ফোনটা জলদি হাতে নিয়ে দেখলাম,আকাশের একটা ম্যাসেজ-
"নোভা,খুব শ্রীঘ্রই তোমাকে আনবো..তোমার জামাই চলে গেলে ফোন দাও..আমি অপেক্ষা করছি..."
আমি এক মুহুর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেলাম..
ডাল পোড়ার বিশ্রী গন্ধ নাকে আসলো তখন....
ওয়াশ রুমের দরজা তখনো খোলেনি রাইয়ান..
ডাল পোড়ার বিশ্রী গন্ধ নাকে আসলো তখন....
ওয়াশ রুমের দরজা তখনো খোলেনি রাইয়ান..
দ্বিতীয় পর্বঃ
আমি এক মুহুর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেলাম..
ডাল পোড়ার বিশ্রী গন্ধ নাকে আসলো তখন....
ওয়াশ রুমের দরজা তখনো খোলেনি রাইয়ান..
ডাল পোড়ার বিশ্রী গন্ধ নাকে আসলো তখন....
ওয়াশ রুমের দরজা তখনো খোলেনি রাইয়ান..
আমি মূর্তির মতন দাঁড়িয়েই থাকলাম...
বেশ কিছুক্ষণ পরে,রাইয়ান বের হলো ওয়াশরুম থেকে..আমি ওর দিকে তাকিয়ে দেখলাম
চোখ-মুখ একেবারে লাল টকটকে হয়ে আছে..
আমাকে দেখেই ও সহজ ভাবে একটা হাসি দেওয়ার চেষ্টা করলো..ওর স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টায় হাসি দেওয়া দেখেই আমার বুঝতে বাকি রইলো না যে,
সে সব কিছু বুঝে গেছে...
বেশ কিছুক্ষণ পরে,রাইয়ান বের হলো ওয়াশরুম থেকে..আমি ওর দিকে তাকিয়ে দেখলাম
চোখ-মুখ একেবারে লাল টকটকে হয়ে আছে..
আমাকে দেখেই ও সহজ ভাবে একটা হাসি দেওয়ার চেষ্টা করলো..ওর স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টায় হাসি দেওয়া দেখেই আমার বুঝতে বাকি রইলো না যে,
সে সব কিছু বুঝে গেছে...
আমি চুপ করে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়েই থাকলাম..
সে আমার দিকে না তাকিয়ে আস্তে আস্তে ঘরের ভেতর হাঁটছে আর এক এক করে সে গোছাচ্ছে অফিস যাবে বলে...
শার্টটা পরার সময় বলে ধীরে গলায় বলে উঠলো-
"আমাকে খেতে দিবে না,নোভা..??"
সে আমার দিকে না তাকিয়ে আস্তে আস্তে ঘরের ভেতর হাঁটছে আর এক এক করে সে গোছাচ্ছে অফিস যাবে বলে...
শার্টটা পরার সময় বলে ধীরে গলায় বলে উঠলো-
"আমাকে খেতে দিবে না,নোভা..??"
আমি অপরাধীর মতই আস্তে উত্তর দিলাম--
"হুম..."
বলেই আমি ঘর থেকে বের হয়ে এলাম..
রান্নাঘরে গিয়ে দেখি ডালের হাড়ি উতলে সব ডাল পড়ে ভেসে গেছে চুলা..তাড়াতাড়ি করে চুলা বন্ধ করে দিলাম..আমার খুব খারাপ লাগছে...
"এভাবেই কেন ধরা পড়তে হবে...?
এখন তাকে কি বলবো...!!
কি বলা উচিত আমার.."
"হুম..."
বলেই আমি ঘর থেকে বের হয়ে এলাম..
রান্নাঘরে গিয়ে দেখি ডালের হাড়ি উতলে সব ডাল পড়ে ভেসে গেছে চুলা..তাড়াতাড়ি করে চুলা বন্ধ করে দিলাম..আমার খুব খারাপ লাগছে...
"এভাবেই কেন ধরা পড়তে হবে...?
এখন তাকে কি বলবো...!!
কি বলা উচিত আমার.."
এসবই ভাবছিলাম আর খারাপ লাগছিলো..
আমি রান্না করতে পারছিলাম না..
আগে যা রান্না করেছিলাম,ওটুকু নিয়েই খাবারের টেবিলে দিলাম...একটা চেয়ার টেনে ধপ করে বসে থাকলাম...কিছুই ভাবতে পারছি না,আমি..
আমি রান্না করতে পারছিলাম না..
আগে যা রান্না করেছিলাম,ওটুকু নিয়েই খাবারের টেবিলে দিলাম...একটা চেয়ার টেনে ধপ করে বসে থাকলাম...কিছুই ভাবতে পারছি না,আমি..
কয়েক মুহুর্ত পর খেয়াল করলাম,
আমার ফোন টা বাজছে...
আমি শুনতে পাচ্ছি,কিন্তু উঠতে পারছি না একেবারেই....
তখন দেখি আমার ফোন টা হাতে করে রাইয়ান সামনে এসে দাঁড়িয়েছে..ফোনট ার স্ক্রীণে আগে চোখ পড়লো...
আকাশ কল করছে..আমি ফোনটা হাতে নিলাম কাঁপা হাতে..খুব সাহস করে তাকালাম রাইয়ানের দিকে..ওর চাহনীর দিকে তাকিয়ে আমার বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠলো..কি যে যন্ত্রণা ওর চোখে মুখে..যেটা লুকানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে ওর মুখের মলিন হাসি দিয়ে...
আমার ফোন টা বাজছে...
আমি শুনতে পাচ্ছি,কিন্তু উঠতে পারছি না একেবারেই....
তখন দেখি আমার ফোন টা হাতে করে রাইয়ান সামনে এসে দাঁড়িয়েছে..ফোনট
আকাশ কল করছে..আমি ফোনটা হাতে নিলাম কাঁপা হাতে..খুব সাহস করে তাকালাম রাইয়ানের দিকে..ওর চাহনীর দিকে তাকিয়ে আমার বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠলো..কি যে যন্ত্রণা ওর চোখে মুখে..যেটা লুকানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে ওর মুখের মলিন হাসি দিয়ে...
আমার চোখেও পানি চলে এলো..
ফোনটা নেওয়ার পর রাইয়ান আমাকে বললো---
"তুমি খেয়ে নিও নোভা..আমার অফিসে দেরী হয়ে গেছে..আমি এক্ষুণি বের হয়ে যাচ্ছি.."
ফোনটা নেওয়ার পর রাইয়ান আমাকে বললো---
"তুমি খেয়ে নিও নোভা..আমার অফিসে দেরী হয়ে গেছে..আমি এক্ষুণি বের হয়ে যাচ্ছি.."
আমার উত্তরের অপেক্ষা করলো না..
বের হয়ে গেল বাসা থেকে..আমি সত্যিই বুঝছিলাম না,আমার কি করা উচিত..কি কথা বলা উচিত..তারপরও আমি চাইছিলাম,রাইয়ান আমার সাথে কথা বলে যাক...
বের হয়ে গেল বাসা থেকে..আমি সত্যিই বুঝছিলাম না,আমার কি করা উচিত..কি কথা বলা উচিত..তারপরও আমি চাইছিলাম,রাইয়ান
সে চলে যাওয়ার পর আমি স্থির হয়েই বসে থাকলাম..অফিসে পৌছে প্রতিদিন কল আসে তার..আজ কোন কল এলো না..আমি নিজে তাকে কল দিলাম..দেখলাম ফোন বন্ধ..
এতোদিনের মাঝে প্রথম রাইয়ানের ফোন বন্ধ পেলাম...এদিকে আকাশ ফোনের পরে ফোনে দিচ্ছিলো..কিন্ত ু ধরতে ইচ্ছে করছিলো না..অপরাধীদের মতই চুপচাপ করে বসে থাকল..
অনেক ক্ষণ পর রাইয়ানের নাম্বার থেকে একটা টেক্সট আসলো..
"নোভা,রেডি হয়ে থেকো..
তোমাকে কেউ নিতে আসবে..."
এতোদিনের মাঝে প্রথম রাইয়ানের ফোন বন্ধ পেলাম...এদিকে আকাশ ফোনের পরে ফোনে দিচ্ছিলো..কিন্ত
অনেক ক্ষণ পর রাইয়ানের নাম্বার থেকে একটা টেক্সট আসলো..
"নোভা,রেডি হয়ে থেকো..
তোমাকে কেউ নিতে আসবে..."
আমি উত্তর দিলাম--
"কে আসবে...?"
"কে আসবে...?"
তার কাছ থেকে কোন উত্তর এলো না..
এভাবেই দুপুর গড়িয়ে গেল...
দুপুরের দিকে আমার বাসার কলিং বেল বেজে উঠলো..খুলে দিয়ে দেখি আমার আব্বা এসছে.সাথে আমার বোন...
এভাবেই দুপুর গড়িয়ে গেল...
দুপুরের দিকে আমার বাসার কলিং বেল বেজে উঠলো..খুলে দিয়ে দেখি আমার আব্বা এসছে.সাথে আমার বোন...
আমি ওদের দেখে চমকে গেলাম...
বুঝতে বাকি রইলো না যে রাইয়ান সব কিছু আমার পরিবারকে জানিয়ে দিয়েছে...
আমি ভয়ে কেমন জানি করছি..আব্বা তো আমাকে মেরেই ফেলবে বোধ হয়...
বুঝতে বাকি রইলো না যে রাইয়ান সব কিছু আমার পরিবারকে জানিয়ে দিয়েছে...
আমি ভয়ে কেমন জানি করছি..আব্বা তো আমাকে মেরেই ফেলবে বোধ হয়...
আব্বা খুব গম্ভির গলায় প্রশ্ন করলো..
--কিরে...??? ঘটনা কি।..??
--কিরে...??? ঘটনা কি।..??
আমি মাথা নিচু করে থাকলাম..উত্তর দিলাম না...
ভয়ে কান্না করতে লাগলাম..
আমার বোন আমাকে ধরতে এলো..আব্বা হাত সরায়ে দিলো ওর...আমার আরো জোরে কান্না আসলো...
আব্বা আর কোন কথা না বলেই বললো--
"তোর ব্যাগ পত্র কই...??বাড়ি নিয়ে যাবো চল তোকে..."
ভয়ে কান্না করতে লাগলাম..
আমার বোন আমাকে ধরতে এলো..আব্বা হাত সরায়ে দিলো ওর...আমার আরো জোরে কান্না আসলো...
আব্বা আর কোন কথা না বলেই বললো--
"তোর ব্যাগ পত্র কই...??বাড়ি নিয়ে যাবো চল তোকে..."
আমি কান্নার মাঝেই বিস্ময়ভাবে তাকালাম আব্বার দিকে..আমি তো তাহলে আকাশের কাছে যেতে পারবো না..আব্বা আমাকে বন্দি করে রাখবে...
আমি থরথর করে কাঁপছি...
ঠিক সে সময়ে রাইয়ান ফিরলো বাসায়...
রাইয়ানকে দেখে আব্বা কেমন জানি চুপ হয়ে গেল..আমার বোনকে আদেশ দিলো..
আমার ব্যাগ গুছিয়ে আনতে...
আমি থরথর করে কাঁপছি...
ঠিক সে সময়ে রাইয়ান ফিরলো বাসায়...
রাইয়ানকে দেখে আব্বা কেমন জানি চুপ হয়ে গেল..আমার বোনকে আদেশ দিলো..
আমার ব্যাগ গুছিয়ে আনতে...
আমি রাইয়ানের দিকে তাকালাম..
লজ্জা ভেঙে বলে উঠলাম---
"আমি যাবো না..."
ঐ মুহুর্তে আমি হয়তো দুনিয়ার সব থেকে স্বার্থপর
মেয়ে ছিলাম..আকাশের জন্য আমার ভালো মন্দের কোন হুশই ছিলো না...
লজ্জা ভেঙে বলে উঠলাম---
"আমি যাবো না..."
ঐ মুহুর্তে আমি হয়তো দুনিয়ার সব থেকে স্বার্থপর
মেয়ে ছিলাম..আকাশের জন্য আমার ভালো মন্দের কোন হুশই ছিলো না...
আব্বা একথা শোনার সাথে সাথেই আমার গালে সজোরে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলো..
রাইয়ান সাথে সাথে আমার সামনে এসে আমাকে আড়াল করে দাঁড়ালো আব্বা আর আমার মাঝে..
"বাবা,ওর গায়ে হাত তুলেন না.।
আমি সহ্য করতে পারবো না..."
রাইয়ান সাথে সাথে আমার সামনে এসে আমাকে আড়াল করে দাঁড়ালো আব্বা আর আমার মাঝে..
"বাবা,ওর গায়ে হাত তুলেন না.।
আমি সহ্য করতে পারবো না..."
আমি কথাটা শুনে রাইয়ানের মুখের দিকে তাকালাম..এতো বড় ধোকা খেয়েও সে কিভাবে বললো--আমার আঘাত তার সহ্য হবে না..আমি তো তার সাথে অন্যায় করেছি,করছি এখনো..
আব্বা তার হাত সরিয়ে নিলো..
রাইয়ানও সরে গেল আমার সামনে থেকে..
আব্বা তার হাত সরিয়ে নিলো..
রাইয়ানও সরে গেল আমার সামনে থেকে..
কষ্ট লাগলো আমার কেমন জানি..
অদ্ভুত এক অনুভূতি....
আমার বোন ব্যাগ নিয়ে চলে এলো..
আমার কথার কোন মূল্য নেই..
আমি তো শুধু কেদেই যাচ্ছিলাম..
আব্বা কোন কথা না বলেই আমার কাছে এসে আমার হাত ধরলো আর বললো--
"চল,এখন..এখানে থাকার যোগ্যতা তোর নেই."
অদ্ভুত এক অনুভূতি....
আমার বোন ব্যাগ নিয়ে চলে এলো..
আমার কথার কোন মূল্য নেই..
আমি তো শুধু কেদেই যাচ্ছিলাম..
আব্বা কোন কথা না বলেই আমার কাছে এসে আমার হাত ধরলো আর বললো--
"চল,এখন..এখানে থাকার যোগ্যতা তোর নেই."
তৃতীয় পর্বঃ
কষ্ট লাগলো আমার কেমন জানি..
অদ্ভুত এক অনুভূতি....
আমার বোন ব্যাগ নিয়ে চলে এলো..
আমার কথার কোন মূল্য নেই..
আমি তো শুধু কেদেই যাচ্ছিলাম..
আব্বা কোন কথা না বলেই আমার কাছে এসে আমার হাত ধরলো আর বললো--
"চল,এখন..এখানে থাকার যোগ্যতা তোর নেই."
অদ্ভুত এক অনুভূতি....
আমার বোন ব্যাগ নিয়ে চলে এলো..
আমার কথার কোন মূল্য নেই..
আমি তো শুধু কেদেই যাচ্ছিলাম..
আব্বা কোন কথা না বলেই আমার কাছে এসে আমার হাত ধরলো আর বললো--
"চল,এখন..এখানে থাকার যোগ্যতা তোর নেই."
আব্বা আমার আর কোন কথাই শুনলো না..
রাইয়ান একটা বার তাকালো না আমার দিকে..
আব্বা আমাকে দরজা পর্যন্ত নিয়ে যেতে না যেতেই রাইয়ান আব্বাকে ডাক দিলো--
"আব্বা,আমার একটা অনুরোধ রাখবেন..
নোভার গায়ে যেন কোন আঘাত না পড়ে..."
রাইয়ান একটা বার তাকালো না আমার দিকে..
আব্বা আমাকে দরজা পর্যন্ত নিয়ে যেতে না যেতেই রাইয়ান আব্বাকে ডাক দিলো--
"আব্বা,আমার একটা অনুরোধ রাখবেন..
নোভার গায়ে যেন কোন আঘাত না পড়ে..."
এই কথাটা শুনে আব্বার চোখে পানি চলে এলো..
রাইয়ানের চোখ মুখ শক্ত..
আমার বুকের ভেতর কেমন জানি মোচড় দিয়ে উঠলো...আব্বা মাথা নেড়ে আমাকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে চলে এলো...
রাইয়ানের চোখ মুখ শক্ত..
আমার বুকের ভেতর কেমন জানি মোচড় দিয়ে উঠলো...আব্বা মাথা নেড়ে আমাকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে চলে এলো...
অপরাধী আমি..
সবাই আমার জন্য অশান্তি ভোগ করছে..
আমাকে বাসায় নিয়ে গিয়েই আমার ঘরে নিয়ে যাওয়া হলো..
আমার মা আমার কাছে আসতেই সজোরে একটা চড় কষিয়ে দিলো..আমি প্রচণ্ড ব্যাথা পেলাম..
সাথে কান্নাও চলে এলো..মা চেঁচিয়ে বললো--
"পোড়াকপালি,এতো সুখের ঘর নষ্ট করলি..
তুই এই বাড়িতে এসছিস কেন...??"
বলেই আবার হাত উঁচু করে আমাকে মারতে এলো..
সবাই আমার জন্য অশান্তি ভোগ করছে..
আমাকে বাসায় নিয়ে গিয়েই আমার ঘরে নিয়ে যাওয়া হলো..
আমার মা আমার কাছে আসতেই সজোরে একটা চড় কষিয়ে দিলো..আমি প্রচণ্ড ব্যাথা পেলাম..
সাথে কান্নাও চলে এলো..মা চেঁচিয়ে বললো--
"পোড়াকপালি,এতো সুখের ঘর নষ্ট করলি..
তুই এই বাড়িতে এসছিস কেন...??"
বলেই আবার হাত উঁচু করে আমাকে মারতে এলো..
আব্বা তখন মায়ের সামনে এসে দাঁড়ালো..
ওকে মেরো না..আমি জামাইকে কথা দিয়ে এসছি,
ওর গায়ে কোন আঘাত পাবে না...
ওকে মেরো না..আমি জামাইকে কথা দিয়ে এসছি,
ওর গায়ে কোন আঘাত পাবে না...
আমার মা এটা শুনেই মুখে কাপড় গুজে কান্না শুরু করে দিয়ে বের হয়ে গেল ঘর থেকে..
আমাকে ঘরে রেখে সবাই বের হয়ে গেল..
খুব একা লাগছিলো আমার..
আমি কিছুক্ষণ পরে,আমার মোবাইল টা নিয়ে আকাশকে ফোন করলাম..আকাশ ধরলো না...
আমি অনেক গুলো টেক্সট পাঠালাম একের পর এক সব কিছুর বিবরণ দিয়ে....
আমাকে ঘরে রেখে সবাই বের হয়ে গেল..
খুব একা লাগছিলো আমার..
আমি কিছুক্ষণ পরে,আমার মোবাইল টা নিয়ে আকাশকে ফোন করলাম..আকাশ ধরলো না...
আমি অনেক গুলো টেক্সট পাঠালাম একের পর এক সব কিছুর বিবরণ দিয়ে....
আকাশ বোধ হয় ব্যস্ত.... কোন উত্তর দিলো না...
অনেকক্ষণ পরে উত্তর দিলো..
আমার সাথে কেউ কথা বলছিলো না..
আমার ঘরে কেউ আসছিলোও না...
আমার খুব কষ্ট হচ্ছিলো..
আমি আকাশকে টেক্সট পাঠালাম..
"তুমি কাল সকালেই আমাকে নিয়ে যাবে..আমি আর থাকতে পারবো না এখানে.।"
অনেকক্ষণ পরে উত্তর দিলো..
আমার সাথে কেউ কথা বলছিলো না..
আমার ঘরে কেউ আসছিলোও না...
আমার খুব কষ্ট হচ্ছিলো..
আমি আকাশকে টেক্সট পাঠালাম..
"তুমি কাল সকালেই আমাকে নিয়ে যাবে..আমি আর থাকতে পারবো না এখানে.।"
আকাশ রিপ্লাই দিলো--
"ঠিক আছে..তুম সব কিছু রেডি করে রাখো..আমি কাল সকালে বললে তুমি বের হয়ে আসবা..আমি তোমাকে নিয়ে অনেক দূরে চলে যাবো...
"ঠিক আছে..তুম সব কিছু রেডি করে রাখো..আমি কাল সকালে বললে তুমি বের হয়ে আসবা..আমি তোমাকে নিয়ে অনেক দূরে চলে যাবো...
আমি একটু শান্তি পেলাম...
ঘরের দরজা দিয়ে চুপ করে রুমে বসে থাকলাম..
সারারাত খুব কেঁদেছি..কেউ একটুও খোঁজ নেয়নি.আমি খুব খারাপ।।এখানে থাকার যোগ্যতা নাই.....কাল সকাল হলেই চলে যাবো আমার আকাশের সাথে...
ঘরের দরজা দিয়ে চুপ করে রুমে বসে থাকলাম..
সারারাত খুব কেঁদেছি..কেউ একটুও খোঁজ নেয়নি.আমি খুব খারাপ।।এখানে থাকার যোগ্যতা নাই.....কাল সকাল হলেই চলে যাবো আমার আকাশের সাথে...
শেষ পর্বঃ
সারারাত ঘুম হয়নি এক ফোটা...
কেউ একবার আমার খোঁজ নিতেও আসেনি.
একটুও ঘুমাইনি... খুব কেঁদেছি...
কখনো আর ফিরে আসবো না,এই ভেবেই কেঁদেছি..
মাঝে মাঝে অবশ্য রাইয়ানের কথাও মনে পড়েছে...
এভাবেই সারা রাত পার হয়ে গিয়েছিলো.।।।
কেউ একবার আমার খোঁজ নিতেও আসেনি.
একটুও ঘুমাইনি... খুব কেঁদেছি...
কখনো আর ফিরে আসবো না,এই ভেবেই কেঁদেছি..
মাঝে মাঝে অবশ্য রাইয়ানের কথাও মনে পড়েছে...
এভাবেই সারা রাত পার হয়ে গিয়েছিলো.।।।
শেষরাতে উঠে আমার ব্যাগ গুছিয়ে রাখলাম..
ব্যাগ গোছানোর পরে ব্যাগটাকে দরজার কাছে রেখে দিলাম..খুব ভোরে আকাশ ফোন করলেই আমি চলে যাবো আকাশের কাছে...
ব্যাগ গোছানোর পরে ব্যাগটাকে দরজার কাছে রেখে দিলাম..খুব ভোরে আকাশ ফোন করলেই আমি চলে যাবো আকাশের কাছে...
নিজের বিছানায় গেলাম শেষবারের মতন..
আছড়ে পড়ে কাঁদলাম কিছুক্ষণ...
ক্লান্ত হয়ে কখন যে চোখ লেগে গেলো আমার বুঝতেই পারিনি..চোখ মেলেই দেখি সকাল হয়ে গেছে..খুব চমকে আমি ফোনটা হাতেই দেখি সকাল আটটা বেজে গেছে...
আছড়ে পড়ে কাঁদলাম কিছুক্ষণ...
ক্লান্ত হয়ে কখন যে চোখ লেগে গেলো আমার বুঝতেই পারিনি..চোখ মেলেই দেখি সকাল হয়ে গেছে..খুব চমকে আমি ফোনটা হাতেই দেখি সকাল আটটা বেজে গেছে...
মনের ভেতর খটকা লাগলো,
এতো সকাল হয়ে গেছে অথচ,একটাও কল আসেনি কেন আকাশের??
আমি তাড়াহুড়ো করে ওকে ফোন করলাম..
কল দেওয়ার সাথে সাথে দেখি ওর মোবাইল বন্ধ...
কয়েকবার চেষ্টা করলাম..কিন্তু ফোন বন্ধ...
ওর বাকি নাম্বার গুলোতেও ট্রাই করলাম,
সব গুলোই বন্ধ....
এতো সকাল হয়ে গেছে অথচ,একটাও কল আসেনি কেন আকাশের??
আমি তাড়াহুড়ো করে ওকে ফোন করলাম..
কল দেওয়ার সাথে সাথে দেখি ওর মোবাইল বন্ধ...
কয়েকবার চেষ্টা করলাম..কিন্তু ফোন বন্ধ...
ওর বাকি নাম্বার গুলোতেও ট্রাই করলাম,
সব গুলোই বন্ধ....
খুব অভিমান হলো ওর উপর..
কি হইছে না হইছে,কিছুই বললো না.।
উল্টো ফোন বন্ধ করে রেখেছে...
খুব অস্থির হওয়ার ব্যাপার হলেও আমি অনেক কষ্টে নিজেকে স্থির রাখলাম..কয়েক মুহুর্ত পরপর শুধু ফোন দিতে থাকলাম..
কি হইছে না হইছে,কিছুই বললো না.।
উল্টো ফোন বন্ধ করে রেখেছে...
খুব অস্থির হওয়ার ব্যাপার হলেও আমি অনেক কষ্টে নিজেকে স্থির রাখলাম..কয়েক মুহুর্ত পরপর শুধু ফোন দিতে থাকলাম..
হঠাৎ দরজায় কড়া নড়ে উঠলো..
শুনতে পেলাম,মা ডেকে বলছে--
ক্ষিদে লাগলে বের হয়ে আসতে..
আমি জানি আমি অন্যায় করেছি.
মা আমাকে ভালো করে ডাকলো না..
এই অভিমান নিয়ে বসে থাকলাম..বের হলাম না..
কেউ আর ডাকলোও না..ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমি যেন ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছিলাম..
অনেক বার চেষ্টা করতেই থাকলাম..
ফোন টা বন্ধ সেটাই দেখছিলাম..একসময় বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ি আবার..ক্লান্তু শরীর,ক্লান্তু মন.. আবার ঘুমিয়ে পড়লাম..এরপর ঘুম ভাংলো একেবারে সন্ধ্যায়..চোখ মেলেই ফোন হাতে নিয়ে আশ্চর্য হয়ে গেলাম..এতোক্ষণে ও একটা কল আসেনি..আমি ফোন দিলাম..বরাবরের মতন এবারো বন্ধই পেলাম..এবার আমার মনের ভেতর বড়সড় রকমের ধাক্কা খেলাম..
এ কেমন ব্যাপার..!!
যার কাছে আজ আমার থাকার কথা,তার কোন মাথা ব্যাথাই নেই...??
শুনতে পেলাম,মা ডেকে বলছে--
ক্ষিদে লাগলে বের হয়ে আসতে..
আমি জানি আমি অন্যায় করেছি.
মা আমাকে ভালো করে ডাকলো না..
এই অভিমান নিয়ে বসে থাকলাম..বের হলাম না..
কেউ আর ডাকলোও না..ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমি যেন ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছিলাম..
অনেক বার চেষ্টা করতেই থাকলাম..
ফোন টা বন্ধ সেটাই দেখছিলাম..একসময়
এ কেমন ব্যাপার..!!
যার কাছে আজ আমার থাকার কথা,তার কোন মাথা ব্যাথাই নেই...??
অভিমানে কান্না আসছিলো...
খেয়াল করলাম আমার ক্ষিদা পেয়েছে..
আমি কোনরকম দরজাটা খুলেই চুপিচুপি রান্নাঘর থেকে খাবার নিয়ে এসে নিজের রুমে খেলাম.
কি কষ্টের জীবন হয়ে গেলো আমার অপরাধে...!
আমার বাবা,মা,বোন একটা বারও উঁকি দিয়ে দেখলো না...যার জন্য এতো কিছু এমনকি সেও একটা খোঁজ নিলো না...
খাবার মুখে দিতেই কেঁদে উঠলাম...
এই সময় মোবাইলে একটা টেক্সট আসলো--
"হয়তো,সময়টা খুব বেশি কঠিন..
তবুও বলবো,নিজের খেয়াল রেখো..
আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে...."
খেয়াল করলাম আমার ক্ষিদা পেয়েছে..
আমি কোনরকম দরজাটা খুলেই চুপিচুপি রান্নাঘর থেকে খাবার নিয়ে এসে নিজের রুমে খেলাম.
কি কষ্টের জীবন হয়ে গেলো আমার অপরাধে...!
আমার বাবা,মা,বোন একটা বারও উঁকি দিয়ে দেখলো না...যার জন্য এতো কিছু এমনকি সেও একটা খোঁজ নিলো না...
খাবার মুখে দিতেই কেঁদে উঠলাম...
এই সময় মোবাইলে একটা টেক্সট আসলো--
"হয়তো,সময়টা খুব বেশি কঠিন..
তবুও বলবো,নিজের খেয়াল রেখো..
আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে...."
রাইয়ানের টেক্সট ছিলো..
আমি হুহু করে কেঁদে উঠলাম...
অন্তত একটা মানুষ তো আমার কথা ভেবেছে..
উত্তর দেওয়ার মুখ নেই আমার।।তাই দেইনি..
আমি হুহু করে কেঁদে উঠলাম...
অন্তত একটা মানুষ তো আমার কথা ভেবেছে..
উত্তর দেওয়ার মুখ নেই আমার।।তাই দেইনি..
খাওয়া শেষ করে ফোন দিতেই আছি আকাশের বন্ধ নাম্বারে...একটা বারও অন পাইলাম না...
নীরব যন্ত্রণাতেই রাত হয়ে এলো...ধীরে ধীরে কষ্ট গুলো বাড়ছে...ফোন হাতে নিয়েই ঘুমিয়ে গেলাম আবার.....
ভোরের দিকে ছটফট করতে করতে আমার ঘুম ভেংগে গেল...ফোন করতেই দেখি,ফোনটা এবার অন আছে..ধরলো না...আমার আর ধৈর্য্য ধরছে না.একটা কল শেষ হতেই আরেকটা কল দিতে লাগলাম..টানা তের বার ফোন করার পর,কলটা রিসিভ হলো.....
আমি হ্যালো আকাশ,বলেই কেঁদে উঠলাম...
অভিমান,কষ্টে কান্না যেন থামছেই না....
কান্না থামলো যখন ওপাশে থেকে কেউ একজন বললো--
"নোভা,আমাকে চিনতে পারছো..?"
আমি চমকে উত্তর দিলাম--
"সিয়াম ভাইয়া..??"(আকাশ ের বেস্ট ফ্রেণ্ড)
" হুম..আপু..শোন তোমাকে কিছু কথা বলি,স্থির হয়ে শুনবা...
"হ্যাঁ ভাইয়া বলেন..
"তোমার বিয়ের পর আকাশ অনেক কষ্ট পেয়েছিলো..ওর কষ্ট সহ্য করতে না পেরে,ওর বাবা মা ওর জন্য একটা মেয়ে ঠিক করেছিলো ওর সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য..আকাশের চাকরীর অপেক্ষায় ছিলো এতোদিন সবাই..গতকাল আকাশে চাকরী পেয়েছে একটা..এখন ওর বাসার মানুষ,ওই মেয়েকেই বিয়ে করতে বলতেছে..এদিকে তুমি এই অবস্থায় চলে এসছো..আকাশ তো গতকাল থেকে চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে.এখন বল,কি করা যায়..."
নীরব যন্ত্রণাতেই রাত হয়ে এলো...ধীরে ধীরে কষ্ট গুলো বাড়ছে...ফোন হাতে নিয়েই ঘুমিয়ে গেলাম আবার.....
ভোরের দিকে ছটফট করতে করতে আমার ঘুম ভেংগে গেল...ফোন করতেই দেখি,ফোনটা এবার অন আছে..ধরলো না...আমার আর ধৈর্য্য ধরছে না.একটা কল শেষ হতেই আরেকটা কল দিতে লাগলাম..টানা তের বার ফোন করার পর,কলটা রিসিভ হলো.....
আমি হ্যালো আকাশ,বলেই কেঁদে উঠলাম...
অভিমান,কষ্টে কান্না যেন থামছেই না....
কান্না থামলো যখন ওপাশে থেকে কেউ একজন বললো--
"নোভা,আমাকে চিনতে পারছো..?"
আমি চমকে উত্তর দিলাম--
"সিয়াম ভাইয়া..??"(আকাশ
" হুম..আপু..শোন তোমাকে কিছু কথা বলি,স্থির হয়ে শুনবা...
"হ্যাঁ ভাইয়া বলেন..
"তোমার বিয়ের পর আকাশ অনেক কষ্ট পেয়েছিলো..ওর কষ্ট সহ্য করতে না পেরে,ওর বাবা মা ওর জন্য একটা মেয়ে ঠিক করেছিলো ওর সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য..আকাশের চাকরীর অপেক্ষায় ছিলো এতোদিন সবাই..গতকাল আকাশে চাকরী পেয়েছে একটা..এখন ওর বাসার মানুষ,ওই মেয়েকেই বিয়ে করতে বলতেছে..এদিকে তুমি এই অবস্থায় চলে এসছো..আকাশ তো গতকাল থেকে চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে.এখন বল,কি করা যায়..."
আমি নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না..মনে হলো আমার মাথায় পুরো আকাশটাই ভেংগে পড়েছে,পায়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছে..
আকাশ আমাকে ধোঁকা দিচ্ছে আমি বুঝতে পারছি খুব ভালো...নিজের অবস্থাকে চেপে রেখে আমি প্রশ্ন করলাম--
"আকাশ কোথায় ভাইয়া..?"
"আমার পাশেই আছে,আপু..ও সব শুনছে..কথা বলবে...?"
আমি ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নিলাম---বললাম
"আমি তোমার জন্য আমার ঘর উজাড় করেছিলাম আকাশ..তুমি তো আমার বেঁচে থাকাটাও কেড়ে নিলে..সুখী হও...."
আকাশ আমাকে ধোঁকা দিচ্ছে আমি বুঝতে পারছি খুব ভালো...নিজের অবস্থাকে চেপে রেখে আমি প্রশ্ন করলাম--
"আকাশ কোথায় ভাইয়া..?"
"আমার পাশেই আছে,আপু..ও সব শুনছে..কথা বলবে...?"
আমি ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নিলাম---বললাম
"আমি তোমার জন্য আমার ঘর উজাড় করেছিলাম আকাশ..তুমি তো আমার বেঁচে থাকাটাও কেড়ে নিলে..সুখী হও...."
বলেই কেটে দিলাম ফোনটা...
মরা কান্নার মত কান্না শুরু করে দিলাম..
অনেক বার কল আসলো ওই নাম্বার থেকে...
ধরলাম না..কোনদিন ধরবোও না..একটা টেক্সট আসলো--
"প্লিজ,নিজের কোন ক্ষতি করে আমাদেরকে ঝামেলায় ফেলো না..."
মরা কান্নার মত কান্না শুরু করে দিলাম..
অনেক বার কল আসলো ওই নাম্বার থেকে...
ধরলাম না..কোনদিন ধরবোও না..একটা টেক্সট আসলো--
"প্লিজ,নিজের কোন ক্ষতি করে আমাদেরকে ঝামেলায় ফেলো না..."
আমার নিজের উপর খুব ঘৃণা হলো...
নিজেকে শেষ করে ফেলতে ইচ্ছে করলো..।
এক মুহুর্তেই নিজের গায়ের ওড়না টা টেনে, সিলিং ফ্যানের সাথে বেধে ফেললাম..আজই মরবো আমি..
যার জন্য সবাইকে কষ্ট দিলাম,সেই আমাকে ধোঁকা দিলো..কাউকে শেষবার দেখতেও চাই না.যদি আমি দুর্বল হয়ে যাই....
নিজেকে শেষ করে ফেলতে ইচ্ছে করলো..।
এক মুহুর্তেই নিজের গায়ের ওড়না টা টেনে, সিলিং ফ্যানের সাথে বেধে ফেললাম..আজই মরবো আমি..
যার জন্য সবাইকে কষ্ট দিলাম,সেই আমাকে ধোঁকা দিলো..কাউকে শেষবার দেখতেও চাই না.যদি আমি দুর্বল হয়ে যাই....
বিছানায় উঠে বসলাম..চেয়ারে উঠার আগে আকাশকে একটা টেক্সট দিবো এরই মাঝে একটা টেক্সট আসলো----
"নোভা...মানুষ না বুঝে অনেক রকমের ভুল করতে পারে..এটাও যদি তোমার অমন ভুল হয়ে থাকে,আমি অপেক্ষা করবো তোমার ফিরে আসার..আমি তোমাকে শুধু নিজের বউ করিনি,এই সাতমাসে তিলতিল করে সবটুকু ভালোবাসা তোমাকে দিয়ে দিয়েছি..কখনো আমাকে তোমার প্রয়োজন হলে,দ্বিতীয় বার ভাববে না..শুধু একবার ডাকবে..আমি তোমাকে নিয়ে আসবো...ততোদিন ভালো থেকো,নিজের খেয়াল রেখো..."
রাইয়ানের টেক্সটটা পড়ে আমার মনের ভেতর অনুশোচনার যন্ত্রণা বয়ে গেলো..যে মানুষটাকে বিনা অপরাধে এতোটা শাস্তি দিলাম,সেই কিনা আমাকে এতোটা চায়...আমি ক্ষমা পেতে চাই, তার পায়ে লুটিয়ে ক্ষমা পেতে চাই...আমি কোন কিছু না ভেবেই বেহায়া হতে চাইলাম,তাকে লিখলাম--
"একটা বার দেখে যান আমাকে.."
"একটা বার দেখে যান আমাকে.."
কোন রিপ্লাই আসলো না...
আমি চুপ করে বসে থাকলাম..ভোর সাড়ে চারটা বেজে গেছে....বেশ কিছুক্ষণ পরে শুনলাম,আমার ঘরের দরজায় কেউ খুব জোরে কড়া নাড়ছে..
আব্বা আম্মাক ভেবে দরজা খুলতেই দেখি রাইয়ান....আমি মুখ লুকিয়ে মাথা নিচু করে ফেললাম..সে ঘরে ঢুকেই আমাকে জড়িয়ে ধরলো...
ধরেই সে হাউমাউ করে কান্না শুরু করলো--
"তুমি আসতে চাইলেই,সেদিন তোমাকে আটকানো আমার উচিত ছিলো..."
আমি চুপ করে বসে থাকলাম..ভোর সাড়ে চারটা বেজে গেছে....বেশ কিছুক্ষণ পরে শুনলাম,আমার ঘরের দরজায় কেউ খুব জোরে কড়া নাড়ছে..
আব্বা আম্মাক ভেবে দরজা খুলতেই দেখি রাইয়ান....আমি মুখ লুকিয়ে মাথা নিচু করে ফেললাম..সে ঘরে ঢুকেই আমাকে জড়িয়ে ধরলো...
ধরেই সে হাউমাউ করে কান্না শুরু করলো--
"তুমি আসতে চাইলেই,সেদিন তোমাকে আটকানো আমার উচিত ছিলো..."
আমি তাকে ছেড়ে তার পায়ে লুটিয়ে পড়লাম--
"আমাকে মাফ করে দিন আপনি..আপনার ক্ষমা পাওয়া পর্যন্ত আমি আপনার পায়ে ঠাঁই চাই...."
"আমাকে মাফ করে দিন আপনি..আপনার ক্ষমা পাওয়া পর্যন্ত আমি আপনার পায়ে ঠাঁই চাই...."
উনি আমাকে উঠিয়ে বুকের সাথে লাগিয়ে কান্নার মাঝে একটু হালকা হেসে বলে উঠলো--
"তাহলে,কোনদিন ক্ষমা করবো না..."
"তাহলে,কোনদিন ক্ষমা করবো না..."
নরকের যন্ত্রণা ভোগ করে কোথাও থেকে যেন একটু স্বর্গের সুখ অনুভুত হলো...
No comments