এলার্ম ঘড়ি
লেখকঃ স্বপ্ন বালক..
আমি:-মীম একটু শুনো...!
মীম :হুম, কিছু বলবে...?
আমি:-- অনেক জুরুরি কিছু বলতে চাই,
কিন্তু তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে
খুব তাড়া আছে তোমার...!
মীম:--হুম একটু তাড়া আছে,
আম্মু কল করে বলছে তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে,
তাই এখন বাসায় যাবো...!
আমি-- ও আচ্ছা, তাহলে থাক...!
আমি না'হয় অন্য কোনোদিন জুরুরি কথাটা বলবো...!
মীম:-আরে বলোনা আকাশ,
আমি ১০-১৫মিনিট দেরি করে বাসায় পৌছালে
কোনো প্রবলেম হবেনা...!
তুমি তাড়াতাড়ি বলো কি বলতে চাও...!
আমি:--মীম,
আমি জানিনা তুমি আমার কথাগুলো কিভাবে নিবে,
কিন্তু বিশ্বাস করো আমি খুব বেশি তোমার প্রতি
দূর্বল হয়ে পড়েছি...!
আমি জানিনা আমি তোমাকে কেনো এত্ত মিস করি...!
আমি জানিনা তোমাকে ছাড়া
আমার কেনো কিছু ভাল্লাগেনা...!
আমি শুধু জানি- যতক্ষন তুমি আমার পাশে থাকো
আমি সুখ অনুভব করি...!
তোমার সাথে সময় কাটাতে আমার ভাল লাগে...!
তোমার হাসি আমার ভাল লাগে...!
আর আমি এই ভাল লাগাটুকু
সারাজীবন ধরে রাখতে চাই...!
আমি জানি না এটার নাম ভালবাসা কি'না...!
যদি এটার নাম ভালবাসা হয় তাহলে হুম,
আমি তোমাকে ভালবাসি....!!!
(আমার মুখে এসব কথা শুনে চমকে উটলো মীম),
সে কখনো কল্পনাও করেনি
আকাশ তাকে প্রপোজ করবে...!
এই ছেলেটাকে সে একদম ই এরকম ভাবতনা...!)
মীম: আকাশ,
আমি তোমাকে সবার থেকে একটু আলাদা ভাবতাম...!
কিন্তু আজকের দিনে তুমি ৫৫ নাম্বার
ছেলে হিসাবে আমাকে প্রপোজ করলে..!
আমি তোমার কাছ থেকে এটা~~~~
আমি: মীম, থামো, মীমের কথা শেষ হবার আগেই
মীমকে থামিয়ে দিলাম...!
দুরের কোনো মসজিদে আজান শুনতে পাচ্ছে আকাশ...!
আকাশের মুখে হুট করে কেমন জানি
অস্তিরতা দেখতে পেলো মীম...!
মীম মনে মনে বলে- কি আজব....!
ছেলেটা এরকম অস্তির হয়ে যাচ্ছে কেনো...?
একটু আগেই তো একদম ভাল ছিলো...!
হুট করে মীম খেয়াল করলো
আকাশ তার প্যান্টের ভিতর থেকে
একটা টুপি বের করে মাথায় দিলো...!!
আমি:-মীম, আজান দিচ্ছে...!
আমাকে নামাজে যেতে হবে...!
তুমি এখানে ১৫মিনিট ওয়েইট করো...!
আমি নামাজ পড়ে এসে তোমার সাথে কথা বলছি...!
আর তোমার বেশি তাড়া থাকলে
তুমি চলে যেতে পারো...!
কথাটা বলেই মীমকে কোনো কথা বলার সুজোগ না দিয়ে
আকাশ উল্টো দিকে হাটা শুরু করে দেয়...!!
মীম অপলক দৃষ্টিতে ছেলেটার চলে যাওয়া দেখছে...!
এই যুগের এতো স্মার্ট একটা ছেলে হওয়া সত্বেও
ওর মনে কত্ত ভয় আল্লাহর জন্য...!
আজান দেওয়ার সাথে সাথে ছেলেটার
এরকম চেঞ্জ হয়ে যাওয়া...!
মীমকে কোনো কথা বলার সুজোগ না দিয়ে
এরকম নামাজে চলে যাওয়া...!
মীম এসব কিছু চিন্তা করতে থাকে...!
২০ মিনিট পর....!!
--মীম"" (আকাশ ডাক দেয়)
-- (মীম এখনো চিন্তায় মগ্ন)
--মীমআআআআ...!
মীম:-- ও আকাশ, চলে আসছো তুমি...??
-আমি:-হুম, কি নিয়ে এতো চিন্তায় ডুবে ছিলে..?
মীম: --তেমন কিছুনা, বাদ দাও...!
আচ্ছা তোমার উত্তর শুনবেনা...??
আমি: --উত্তর তো শুনা হয়ে গেছে...!
মীম:--কি শুনছো...?
আমি:--ওইযে তুমি আমাকে ভালবাসো না,
আগে আমাকে ভালো ভাবতে,
এখন খারাপ ভাববে ওইগুলো...!!
মীম:--মাথা শুনছো,, মুন্ডু শুনছো...!
আচ্ছা আকাশ ১টা প্রশ্ন করি তোমায়...?
আমি:--হুম করো...!
মীম: --তুমি কি প্রতিদিন-ই ৫ওয়াক্ত নামাজ পড়ো..?
আমি:__হুম...! আমার মা বলেছেন
যেকোনো কাজেই থাকিনা কেনো
আজান শুনা মাত্রই যেনো মসজিদে চলে যাই...!!
মীম:--বিয়ের পরেও এরকম ৫ওয়াক্ত নামাজ পড়বে..?
আমি:--বিয়ের পরে মানে...?
কার বিয়ে...? (অবাক হয়ে প্রশ্ন করে আকাশ...!)
মীম:--আরে বুদ্ধ, আমার বিয়ে,তোমার বিয়ে,,
আমাদের বিয়ে...!!!
আমি: হুম পড়বো'তো...!
(আকাশ মুচকি হেসে উত্তর দেয়...!)
মীম:-কিন্তু আকাশ,
তোমাকে বিয়ে করার আগে আমার একটা শর্ত আছে...!
আমি:-শর্ত... কি শর্ত....?
মীম:--প্রতিদিন ৫ওয়াক্ত নামাজ পড়ে
আমার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চাইতে হবে...!
পারবে...?
আমি: --হিহিহি, অবশ্যই...!
কিন্তু তোমাকে বিয়ে করার আগে আমারও
একটা শর্ত আছে...!
মীম:--তোমার শর্ত.. কি শর্ত...?
(ভয়ে ভয়ে আস্তে আস্তে জিজ্ঞাস করে মীম)
আমি: প্রতিদিন তোমাকেকে নামায পরতে হবে..!
আর...!!
মীম: হুম পরবো..! আর কি...?
আমি:-- প্রতিদিন সকালে এলার্মের বোরিং শব্দে
ঘুম থেকে উটে ফজরের নামাজে যেতে চাই না...!
প্রতিদিন তোমার মিষ্টি কন্ঠে ঘুম থেকে উটে
ফজরের নামাজে যেতে চাই...!
তোমাকে আমার এলার্ম ঘড়ি হতে হবে, পারবে...??
মীম:-হুম অবশ্যই পারবো...!
(মুচকি হেসে উত্তর দেয় মীম...!)
তারপর এভাবেই শুরু হয় আকাশ+মীম
একসাথে পথচলা...!
হাজার টাকার গয়না কিংবা দামি দামি গিফট
উপহার দেওয়ার নাম ভালবাসা না...!
ভালবাসার মানুষটাকে আল্লাহ ভাল রাখুক,
এটা দোয়া করার নাম-ই হচ্ছে ভালবাসা...!
মীম :হুম, কিছু বলবে...?
আমি:-- অনেক জুরুরি কিছু বলতে চাই,
কিন্তু তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে
খুব তাড়া আছে তোমার...!
মীম:--হুম একটু তাড়া আছে,
আম্মু কল করে বলছে তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে,
তাই এখন বাসায় যাবো...!
আমি-- ও আচ্ছা, তাহলে থাক...!
আমি না'হয় অন্য কোনোদিন জুরুরি কথাটা বলবো...!
মীম:-আরে বলোনা আকাশ,
আমি ১০-১৫মিনিট দেরি করে বাসায় পৌছালে
কোনো প্রবলেম হবেনা...!
তুমি তাড়াতাড়ি বলো কি বলতে চাও...!
আমি:--মীম,
আমি জানিনা তুমি আমার কথাগুলো কিভাবে নিবে,
কিন্তু বিশ্বাস করো আমি খুব বেশি তোমার প্রতি
দূর্বল হয়ে পড়েছি...!
আমি জানিনা আমি তোমাকে কেনো এত্ত মিস করি...!
আমি জানিনা তোমাকে ছাড়া
আমার কেনো কিছু ভাল্লাগেনা...!
আমি শুধু জানি- যতক্ষন তুমি আমার পাশে থাকো
আমি সুখ অনুভব করি...!
তোমার সাথে সময় কাটাতে আমার ভাল লাগে...!
তোমার হাসি আমার ভাল লাগে...!
আর আমি এই ভাল লাগাটুকু
সারাজীবন ধরে রাখতে চাই...!
আমি জানি না এটার নাম ভালবাসা কি'না...!
যদি এটার নাম ভালবাসা হয় তাহলে হুম,
আমি তোমাকে ভালবাসি....!!!
(আমার মুখে এসব কথা শুনে চমকে উটলো মীম),
সে কখনো কল্পনাও করেনি
আকাশ তাকে প্রপোজ করবে...!
এই ছেলেটাকে সে একদম ই এরকম ভাবতনা...!)
মীম: আকাশ,
আমি তোমাকে সবার থেকে একটু আলাদা ভাবতাম...!
কিন্তু আজকের দিনে তুমি ৫৫ নাম্বার
ছেলে হিসাবে আমাকে প্রপোজ করলে..!
আমি তোমার কাছ থেকে এটা~~~~
আমি: মীম, থামো, মীমের কথা শেষ হবার আগেই
মীমকে থামিয়ে দিলাম...!
দুরের কোনো মসজিদে আজান শুনতে পাচ্ছে আকাশ...!
আকাশের মুখে হুট করে কেমন জানি
অস্তিরতা দেখতে পেলো মীম...!
মীম মনে মনে বলে- কি আজব....!
ছেলেটা এরকম অস্তির হয়ে যাচ্ছে কেনো...?
একটু আগেই তো একদম ভাল ছিলো...!
হুট করে মীম খেয়াল করলো
আকাশ তার প্যান্টের ভিতর থেকে
একটা টুপি বের করে মাথায় দিলো...!!
আমি:-মীম, আজান দিচ্ছে...!
আমাকে নামাজে যেতে হবে...!
তুমি এখানে ১৫মিনিট ওয়েইট করো...!
আমি নামাজ পড়ে এসে তোমার সাথে কথা বলছি...!
আর তোমার বেশি তাড়া থাকলে
তুমি চলে যেতে পারো...!
কথাটা বলেই মীমকে কোনো কথা বলার সুজোগ না দিয়ে
আকাশ উল্টো দিকে হাটা শুরু করে দেয়...!!
মীম অপলক দৃষ্টিতে ছেলেটার চলে যাওয়া দেখছে...!
এই যুগের এতো স্মার্ট একটা ছেলে হওয়া সত্বেও
ওর মনে কত্ত ভয় আল্লাহর জন্য...!
আজান দেওয়ার সাথে সাথে ছেলেটার
এরকম চেঞ্জ হয়ে যাওয়া...!
মীমকে কোনো কথা বলার সুজোগ না দিয়ে
এরকম নামাজে চলে যাওয়া...!
মীম এসব কিছু চিন্তা করতে থাকে...!
২০ মিনিট পর....!!
--মীম"" (আকাশ ডাক দেয়)
-- (মীম এখনো চিন্তায় মগ্ন)
--মীমআআআআ...!
মীম:-- ও আকাশ, চলে আসছো তুমি...??
-আমি:-হুম, কি নিয়ে এতো চিন্তায় ডুবে ছিলে..?
মীম: --তেমন কিছুনা, বাদ দাও...!
আচ্ছা তোমার উত্তর শুনবেনা...??
আমি: --উত্তর তো শুনা হয়ে গেছে...!
মীম:--কি শুনছো...?
আমি:--ওইযে তুমি আমাকে ভালবাসো না,
আগে আমাকে ভালো ভাবতে,
এখন খারাপ ভাববে ওইগুলো...!!
মীম:--মাথা শুনছো,, মুন্ডু শুনছো...!
আচ্ছা আকাশ ১টা প্রশ্ন করি তোমায়...?
আমি:--হুম করো...!
মীম: --তুমি কি প্রতিদিন-ই ৫ওয়াক্ত নামাজ পড়ো..?
আমি:__হুম...! আমার মা বলেছেন
যেকোনো কাজেই থাকিনা কেনো
আজান শুনা মাত্রই যেনো মসজিদে চলে যাই...!!
মীম:--বিয়ের পরেও এরকম ৫ওয়াক্ত নামাজ পড়বে..?
আমি:--বিয়ের পরে মানে...?
কার বিয়ে...? (অবাক হয়ে প্রশ্ন করে আকাশ...!)
মীম:--আরে বুদ্ধ, আমার বিয়ে,তোমার বিয়ে,,
আমাদের বিয়ে...!!!
আমি: হুম পড়বো'তো...!
(আকাশ মুচকি হেসে উত্তর দেয়...!)
মীম:-কিন্তু আকাশ,
তোমাকে বিয়ে করার আগে আমার একটা শর্ত আছে...!
আমি:-শর্ত... কি শর্ত....?
মীম:--প্রতিদিন ৫ওয়াক্ত নামাজ পড়ে
আমার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চাইতে হবে...!
পারবে...?
আমি: --হিহিহি, অবশ্যই...!
কিন্তু তোমাকে বিয়ে করার আগে আমারও
একটা শর্ত আছে...!
মীম:--তোমার শর্ত.. কি শর্ত...?
(ভয়ে ভয়ে আস্তে আস্তে জিজ্ঞাস করে মীম)
আমি: প্রতিদিন তোমাকেকে নামায পরতে হবে..!
আর...!!
মীম: হুম পরবো..! আর কি...?
আমি:-- প্রতিদিন সকালে এলার্মের বোরিং শব্দে
ঘুম থেকে উটে ফজরের নামাজে যেতে চাই না...!
প্রতিদিন তোমার মিষ্টি কন্ঠে ঘুম থেকে উটে
ফজরের নামাজে যেতে চাই...!
তোমাকে আমার এলার্ম ঘড়ি হতে হবে, পারবে...??
মীম:-হুম অবশ্যই পারবো...!
(মুচকি হেসে উত্তর দেয় মীম...!)
তারপর এভাবেই শুরু হয় আকাশ+মীম
একসাথে পথচলা...!
হাজার টাকার গয়না কিংবা দামি দামি গিফট
উপহার দেওয়ার নাম ভালবাসা না...!
ভালবাসার মানুষটাকে আল্লাহ ভাল রাখুক,
এটা দোয়া করার নাম-ই হচ্ছে ভালবাসা...!
No comments