"ভালোবাসার প্রতিদান"
আজ রহিতের জীবনে অনেক আনন্দের একটা দিন…কেননা সকল জঞ্জাল পেরিয়ে আজ সুমনাকে একবারে আপন করে পেয়েছে!
আজ তাদের বিয়ের দিন…এর আগে তারা পালিয়ে বিয়ে করে…কারণ ফ্যামিলি তাদের সম্পর্কটা মেনে নেয়নি!
……
………
রহিতের কাছে মনে হচ্ছে,এইতো সেদিন…সুমনার সাথে কলেজে দেখা…তারপর কথা বার্তা…আস্তে আস্তে কাছে আসা!
মেয়েটা খুব চুপচাপ স্বভাবের ছিলো…কাউকে কিছু বলতো না! কলেজের গাছ তলায় চুপ করে বসে থাকতো মুখ ভার করে! অন্য মেয়েরা যখন আড্ডায় ব্যাস্ত থাকতো তখন ও গাছতলায় বসে একা একা কি জেনো ভাবতো! বর্তমান সময়ে এমন মেয়ে দেখাই যায়না!
……
………
বাহিরের হুলস্থুল শুনে বাস্তবে ফিরে আসলো রহিত!
রহিতের বাবা দুবছর আগে গত হয়েছে…তাইতো আজ এই বিয়ের সকল কিছু ওকেই করতে হচ্ছে! যদিও আজ শুধু খাওয়া দাওয়া হচ্ছে …তাছাড়া তার আত্বীয় এর মধ্যেও কোন পুরুষ মানুষ নেই! খাওয়া দাওয়া সবার ঠিকমতো হচ্ছে কিনা তা দেখতে হচ্ছে রহিত কেই! বাহিরে গিয়ে দেখলো কি হয়েছে …কিসের এতো হুলুস্থুল!
বাহিরে গিয়ে দেখে…
বিয়ের গেইটের সামনে একটা পাগলের মত লোককে সবাই মারদোর করছে!
চুলগুলো উস্কো খুসকো বড় বড় পাগলটার…
শার্ট এর একটা হাতা কনুই পর্যন্ত গুছানো আর ময়লা!
রহিত সবাইকে থামিয়ে পাগলটার কাছে যায়! তারপর প্লেটে করে খাবার দেয় সে পাগলটা কে!
আজ রহিত কোনো ঝামেলা চায়না!
কারণ আজ তার অনেক আনন্দের দিন!
পাগলটাকে খাবার দেওয়ায় …পাগলটা খাবার গুলো আঙ্গুল দিয়ে নাড়াচাড়া করে আর কি জেনো বিলাপ করতে থাকে!
এরপর আস্তে করে সেখান থেকে পাগলটা উঠে রাস্তায় পথ ধরে হেটে চলে যায়!
রহিত ও ফিরে আসে বাসায়!
আজ অনেক আত্বীয় স্বজন এসেছে অনুষ্ঠানে!
সুমনা তাদের সাথে কথা বার্তা বলছে হাসিমুখে!
মেয়েটা এমনেও হাসে খুব কম!
কিন্তু হাসিটা তার অনেক সুন্দর!
অনেক কষ্টে রহিত মেয়েটার মন জয় করে! ……
………
মেয়েটা যখন মুখ ভার করে কলেজের গাছ তলায় বসে থাকতো …
রহিত ও তার পাশে বসে থাকতো …আর অনেক কিছু বলে মেয়েটাকে হাসানোর চেষ্টা করতো!
……
……
সুমনা সম্পর্কে যেতে চায়নি রহিতের সাথে।
বারবার রহিতকে বলতো যে তার ফেমিলি সম্পর্ক মেনে নেবেনা!
তারপরও তাকে অনেক কিছু বলে সম্পর্কে রাজি করায় রহিত।
……
………
বিয়ের অনেকদিন চলে যাওয়ার পর…রহিত আর সুমনার জীবন ভালোই চলতে থাকে!
সারাদিন অফিস করে ক্লান্ত হয়ে যখন বাসায় ফিরে সুমনার মুখ টা দেখতো …
তখন রহিতের সকল ক্লান্ত দূর হয়ে যেতো!
সপ্তাহে শুক্রবারে দুজন ঘুরতে যেতো …
তাছাড়া মাঝে মাঝে তারা একে অপরকে খাইয়ে দিতো নিজের হাতে!
অনেক সুখের দিন ছিলো তাদের …
………
………কিন্তু হঠাৎই তাদের সুখের দিন যেনো ফুরিয়ে আসলো!
একদিন অফিসে থাকা অবস্থায় রহিতের মোবাইলে ফোন আসে বাসা থেকে!
সুমনা কেমন জেনো চিৎকার করে বুঝি অজ্ঞান হয়ে যায়!
অফিস থেকে তারাতারি রহিত বাসায় ফিরে যায়!
বাসায় গিয়ে দেখে সুমনা বিছনায় শোয়া চোখ বন্ধ করে!
তারপর অনেক ডাক্তার দেখানো হয় সুমনাকে …কিন্তু কিছুই হয়না!
প্রায়ই সুমনা এমন করে …হঠাৎ করে চিৎকার করে উঠে!
কাকে জেনো সুমনা দেখতে পায় …কার ছায়া জেনো সুমনাকে হাতছানি দেয়!
সুমনাকে জিজ্ঞেস করলে…কিছুই বলেনা …মেয়েটা!
অনেক কবিরাজ দেখানো হয় মেয়েটাকে!
কিন্তু এতেও কিছু হয়না!
দিনে দিনে মেয়েটা শুকিয়ে যাচ্ছে কেমন!
বড্ড কষ্ট রহিতের…মেয়েটার জন্য!
মেয়েটাকে যে সে অনেক ভালোবাসে!
……
……
একদিন শুক্রবার বিকেলে রহিত বিছানায় শুয়ে থাকে আর তখন সুমনা বাসার জানালাটা লাগাতে যায় …আর তখনই হঠাৎ সুমনা আবার আগের মতো চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়!
তারপর রহিত মেয়েটাকে ধরে বিছানায় শুয়ে দেয়…অস্থির হয়ে যায় রহিত!
মেয়েটার মুখে পানি ছিটিয়ে হোশ ফেরানো হয়!
রহিত সেদিন সুমনাকে জোর করে ধরে…বলে যে কি হয়েছে তোমার. ?
আজ তোমাকে বলতেই হবে!
তখন সুমনা কান্না করে দেয় …আর বলে যে রহিত …তোমার আগে আমার জীবনে অন্য একটি ছেলে এসেছিলো!
কথাটা শুনে রহিত স্তব্ধ হয়ে যায় …
সুমনা বলতে থাকে…ছেলেটাকেই আমি দেখতে পাই আর অজ্ঞান হয়ে যাই!
ছেলেটার সাথে সম্পর্ক ছিলো দুবছরের!
……
………
অনেক ভালোবাসতো ছেলেটা আমায়!
ছেলেটার সাথে পরিচয় হয় ফেসবুকে…ছেলেটার নাম ছিলো অভ্র!
মেসেজ এ কথা বলতে বলতে আমরা দুর্বল হয়ে যাই!
তারপর ছেলেটা প্রপোজ করলে আর না করতে পারিনি!
তারপরই আমাদের দুজনের পথচলা একসাথে!
ঘুরতে যাওয়া…একসাথে ফুসকা খাওয়া!
অনেক রঙ্গিন ছিলো দিন গুলো!
অনেক পাগল ছিলো ছেলেটা আমার জন্য!
যখন আমি রাগ করে থাকতাম …ছেলেটা আমার বাসার সামনে এসে দাড়িয়ে থাকতো!
এমন ও হয়েছে টানা দু তিনদিন বাসার সামনে দাড়িয়ে ছিলো আমার রাগ ভাঙ্গানোর জন্য!
কিন্তু ছেলেটা আমার প্রতি কখনো রাগ করেনি!
যখন ফুসকা খেতে যেতাম …ছেলেটা আমাকে মুখে তুলে খাইয়ে দিতো!
……
……
আমাদের সেই সুখের দিন শেষ হয়ে আসলো যখন আমার বাসায় পাত্র পক্ষ দেখতে আসলো!
আমি তখন ইন্টার 1st yr এর ছাত্রী ছিলাম!
তখন ওকে বলেছিলাম আমাকে ভুলে যেতে…কেননা আমার ফেমিলি কখনো এই সম্পর্ক মেনে নিবেনা!
ছেলেটা আমার সামনে অনেক কান্না করেছিলো!
আর বলেছিলো …প্লিজ তোমার ফেমিলিকে বুঝিয়ে বলো …আর না হয় চলো আমরা পালিয়ে যাই!
কিন্তু আমি বলেছিলাম …আমি আমার ফেমিলিকে কষ্ট দিতে পারবোনা …যে ফেমিলি আমাকে এতো বড় করেছে ছোট থেকে!
তারপর ছেলেটা বলে …ঠিক আছে সুমনা …
তুমি অনেক ভালো থেকো…অনেক সুখী হও জীবনে!
তারপর ও চলে যায় আমাকে ছেড়ে …
ওইদিন পাত্রপক্ষ দেখতে আসে ঠিকই কিন্তু আমার ভাইয়া …আমার আব্বুকে বলে বুঝিয়ে দেয় যে আমি পড়াশোনা জেনো চালিয়ে যাই আর বিয়ে পড়াশোনা শেষ হলেই দিবে!
এরপর আমি ছেলেটার সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি …ফোন দিলে সুইচ অফ পেতাম আর ফেসবুকেও …ও আমাকে ব্লোক দেয়!
এরপর থেকেই আমি কলেজে মুখ ভার করে বসে থাকতাম …আর কারো সাথেই কথা বলতাম না!
ঠিক সেই মুহুর্তেই রহিত তোমার সাথে আমার দেখা!
তারপর তোমার সাথে চলা …আর আস্তে আস্তে তোমায় ভালোবেসে ফেলা!
আমি অন্যায় করেছি রহিত!
প্লিজ আমায় তুমি শাস্তি দাও!
…
……
এসব শুনতে শুনতে কখন যে রহিতের চোখেও পানি এসে যায়…সে খেয়ালই করেনি!
তারপর রহিত বলে…তোমার ছেলেটার কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত!
নয়তো আমরা জীবনে সুখী হতে পারবোনা!
ছেলেটির অভিশাপে আমরা দুজন শেষ হয়ে যাবো!
আজ তাদের বিয়ের দিন…এর আগে তারা পালিয়ে বিয়ে করে…কারণ ফ্যামিলি তাদের সম্পর্কটা মেনে নেয়নি!
……
………
রহিতের কাছে মনে হচ্ছে,এইতো সেদিন…সুমনার সাথে কলেজে দেখা…তারপর কথা বার্তা…আস্তে আস্তে কাছে আসা!
মেয়েটা খুব চুপচাপ স্বভাবের ছিলো…কাউকে কিছু বলতো না! কলেজের গাছ তলায় চুপ করে বসে থাকতো মুখ ভার করে! অন্য মেয়েরা যখন আড্ডায় ব্যাস্ত থাকতো তখন ও গাছতলায় বসে একা একা কি জেনো ভাবতো! বর্তমান সময়ে এমন মেয়ে দেখাই যায়না!
……
………
বাহিরের হুলস্থুল শুনে বাস্তবে ফিরে আসলো রহিত!
রহিতের বাবা দুবছর আগে গত হয়েছে…তাইতো আজ এই বিয়ের সকল কিছু ওকেই করতে হচ্ছে! যদিও আজ শুধু খাওয়া দাওয়া হচ্ছে …তাছাড়া তার আত্বীয় এর মধ্যেও কোন পুরুষ মানুষ নেই! খাওয়া দাওয়া সবার ঠিকমতো হচ্ছে কিনা তা দেখতে হচ্ছে রহিত কেই! বাহিরে গিয়ে দেখলো কি হয়েছে …কিসের এতো হুলুস্থুল!
বাহিরে গিয়ে দেখে…
বিয়ের গেইটের সামনে একটা পাগলের মত লোককে সবাই মারদোর করছে!
চুলগুলো উস্কো খুসকো বড় বড় পাগলটার…
শার্ট এর একটা হাতা কনুই পর্যন্ত গুছানো আর ময়লা!
রহিত সবাইকে থামিয়ে পাগলটার কাছে যায়! তারপর প্লেটে করে খাবার দেয় সে পাগলটা কে!
আজ রহিত কোনো ঝামেলা চায়না!
কারণ আজ তার অনেক আনন্দের দিন!
পাগলটাকে খাবার দেওয়ায় …পাগলটা খাবার গুলো আঙ্গুল দিয়ে নাড়াচাড়া করে আর কি জেনো বিলাপ করতে থাকে!
এরপর আস্তে করে সেখান থেকে পাগলটা উঠে রাস্তায় পথ ধরে হেটে চলে যায়!
রহিত ও ফিরে আসে বাসায়!
আজ অনেক আত্বীয় স্বজন এসেছে অনুষ্ঠানে!
সুমনা তাদের সাথে কথা বার্তা বলছে হাসিমুখে!
মেয়েটা এমনেও হাসে খুব কম!
কিন্তু হাসিটা তার অনেক সুন্দর!
অনেক কষ্টে রহিত মেয়েটার মন জয় করে! ……
………
মেয়েটা যখন মুখ ভার করে কলেজের গাছ তলায় বসে থাকতো …
রহিত ও তার পাশে বসে থাকতো …আর অনেক কিছু বলে মেয়েটাকে হাসানোর চেষ্টা করতো!
……
……
সুমনা সম্পর্কে যেতে চায়নি রহিতের সাথে।
বারবার রহিতকে বলতো যে তার ফেমিলি সম্পর্ক মেনে নেবেনা!
তারপরও তাকে অনেক কিছু বলে সম্পর্কে রাজি করায় রহিত।
……
………
বিয়ের অনেকদিন চলে যাওয়ার পর…রহিত আর সুমনার জীবন ভালোই চলতে থাকে!
সারাদিন অফিস করে ক্লান্ত হয়ে যখন বাসায় ফিরে সুমনার মুখ টা দেখতো …
তখন রহিতের সকল ক্লান্ত দূর হয়ে যেতো!
সপ্তাহে শুক্রবারে দুজন ঘুরতে যেতো …
তাছাড়া মাঝে মাঝে তারা একে অপরকে খাইয়ে দিতো নিজের হাতে!
অনেক সুখের দিন ছিলো তাদের …
………
………কিন্তু হঠাৎই তাদের সুখের দিন যেনো ফুরিয়ে আসলো!
একদিন অফিসে থাকা অবস্থায় রহিতের মোবাইলে ফোন আসে বাসা থেকে!
সুমনা কেমন জেনো চিৎকার করে বুঝি অজ্ঞান হয়ে যায়!
অফিস থেকে তারাতারি রহিত বাসায় ফিরে যায়!
বাসায় গিয়ে দেখে সুমনা বিছনায় শোয়া চোখ বন্ধ করে!
তারপর অনেক ডাক্তার দেখানো হয় সুমনাকে …কিন্তু কিছুই হয়না!
প্রায়ই সুমনা এমন করে …হঠাৎ করে চিৎকার করে উঠে!
কাকে জেনো সুমনা দেখতে পায় …কার ছায়া জেনো সুমনাকে হাতছানি দেয়!
সুমনাকে জিজ্ঞেস করলে…কিছুই বলেনা …মেয়েটা!
অনেক কবিরাজ দেখানো হয় মেয়েটাকে!
কিন্তু এতেও কিছু হয়না!
দিনে দিনে মেয়েটা শুকিয়ে যাচ্ছে কেমন!
বড্ড কষ্ট রহিতের…মেয়েটার জন্য!
মেয়েটাকে যে সে অনেক ভালোবাসে!
……
……
একদিন শুক্রবার বিকেলে রহিত বিছানায় শুয়ে থাকে আর তখন সুমনা বাসার জানালাটা লাগাতে যায় …আর তখনই হঠাৎ সুমনা আবার আগের মতো চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়!
তারপর রহিত মেয়েটাকে ধরে বিছানায় শুয়ে দেয়…অস্থির হয়ে যায় রহিত!
মেয়েটার মুখে পানি ছিটিয়ে হোশ ফেরানো হয়!
রহিত সেদিন সুমনাকে জোর করে ধরে…বলে যে কি হয়েছে তোমার. ?
আজ তোমাকে বলতেই হবে!
তখন সুমনা কান্না করে দেয় …আর বলে যে রহিত …তোমার আগে আমার জীবনে অন্য একটি ছেলে এসেছিলো!
কথাটা শুনে রহিত স্তব্ধ হয়ে যায় …
সুমনা বলতে থাকে…ছেলেটাকেই আমি দেখতে পাই আর অজ্ঞান হয়ে যাই!
ছেলেটার সাথে সম্পর্ক ছিলো দুবছরের!
……
………
অনেক ভালোবাসতো ছেলেটা আমায়!
ছেলেটার সাথে পরিচয় হয় ফেসবুকে…ছেলেটার নাম ছিলো অভ্র!
মেসেজ এ কথা বলতে বলতে আমরা দুর্বল হয়ে যাই!
তারপর ছেলেটা প্রপোজ করলে আর না করতে পারিনি!
তারপরই আমাদের দুজনের পথচলা একসাথে!
ঘুরতে যাওয়া…একসাথে ফুসকা খাওয়া!
অনেক রঙ্গিন ছিলো দিন গুলো!
অনেক পাগল ছিলো ছেলেটা আমার জন্য!
যখন আমি রাগ করে থাকতাম …ছেলেটা আমার বাসার সামনে এসে দাড়িয়ে থাকতো!
এমন ও হয়েছে টানা দু তিনদিন বাসার সামনে দাড়িয়ে ছিলো আমার রাগ ভাঙ্গানোর জন্য!
কিন্তু ছেলেটা আমার প্রতি কখনো রাগ করেনি!
যখন ফুসকা খেতে যেতাম …ছেলেটা আমাকে মুখে তুলে খাইয়ে দিতো!
……
……
আমাদের সেই সুখের দিন শেষ হয়ে আসলো যখন আমার বাসায় পাত্র পক্ষ দেখতে আসলো!
আমি তখন ইন্টার 1st yr এর ছাত্রী ছিলাম!
তখন ওকে বলেছিলাম আমাকে ভুলে যেতে…কেননা আমার ফেমিলি কখনো এই সম্পর্ক মেনে নিবেনা!
ছেলেটা আমার সামনে অনেক কান্না করেছিলো!
আর বলেছিলো …প্লিজ তোমার ফেমিলিকে বুঝিয়ে বলো …আর না হয় চলো আমরা পালিয়ে যাই!
কিন্তু আমি বলেছিলাম …আমি আমার ফেমিলিকে কষ্ট দিতে পারবোনা …যে ফেমিলি আমাকে এতো বড় করেছে ছোট থেকে!
তারপর ছেলেটা বলে …ঠিক আছে সুমনা …
তুমি অনেক ভালো থেকো…অনেক সুখী হও জীবনে!
তারপর ও চলে যায় আমাকে ছেড়ে …
ওইদিন পাত্রপক্ষ দেখতে আসে ঠিকই কিন্তু আমার ভাইয়া …আমার আব্বুকে বলে বুঝিয়ে দেয় যে আমি পড়াশোনা জেনো চালিয়ে যাই আর বিয়ে পড়াশোনা শেষ হলেই দিবে!
এরপর আমি ছেলেটার সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি …ফোন দিলে সুইচ অফ পেতাম আর ফেসবুকেও …ও আমাকে ব্লোক দেয়!
এরপর থেকেই আমি কলেজে মুখ ভার করে বসে থাকতাম …আর কারো সাথেই কথা বলতাম না!
ঠিক সেই মুহুর্তেই রহিত তোমার সাথে আমার দেখা!
তারপর তোমার সাথে চলা …আর আস্তে আস্তে তোমায় ভালোবেসে ফেলা!
আমি অন্যায় করেছি রহিত!
প্লিজ আমায় তুমি শাস্তি দাও!
…
……
এসব শুনতে শুনতে কখন যে রহিতের চোখেও পানি এসে যায়…সে খেয়ালই করেনি!
তারপর রহিত বলে…তোমার ছেলেটার কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত!
নয়তো আমরা জীবনে সুখী হতে পারবোনা!
ছেলেটির অভিশাপে আমরা দুজন শেষ হয়ে যাবো!
……
আচ্ছা ছেলেটাকে আমরা খুজে বের করবো আগে …!
তোমার কাছে কি ছেলেটার কোন ছবি আছে ?
সুমনা বললো হ্যা আছে!
রহিত বললো …তাহলে দেখাও আমাকে!
তারপর সুমনা তার মোবাইল গ্যালারি থেকে ছেলেটার ছবি দেখায়!
ছেলেটার ছবি দেখে রহিত কয়েক মিনিট চুপ হয়ে যায়!
সুমনা বলে কি হয়েছে রহিত. ?
ওকে তুমি চিনো ???
হ্যাঁ …আমাদের বিয়ের অনুষ্ঠানে ও এসেছিলো!!!!!
সুমনা বললো মানে ???
বিয়ের অনুষ্ঠানে যে একটা পাগল এসেছিলো …ওইটাই ওই ছেলেটি!!!
তারপর দুজনই চুপ হয়ে যায়………
,……
………
কিছুদিন পর দুজনই ছেলেটার খোজ করতে থাকে!
অনেক কষ্টে ছেলেটার বাসা পায় খুজে …
বাসার দরজায় কড়া নাড়ানোর পর একজন বয়স্ক মহিলা দরজা খুলে দেয়!
সুমনা মহিলাটাকে জিজ্ঞেস করে…মা অভ্র বাসায় আছে ……?
প্রশ্নটা শুনে মহিলাটি তার কাপড়ের আচল দিয়ে মুখ ডেকে ফুফিয়ে কান্না করে দেয়!
সুমনা বললো কি হয়েছে মা ?
মহিলাটা বললো অভ্র এক সপ্তাহ আগে রোড এক্সিডেন্ট এ মারা গেছে …
ছেলেটা আমার হঠাৎ করেই পাগল হয়ে যায় …রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতো!
কিন্তু আমার ছেলেটা তো এমন ছিলো না!
কি এমন হলো ছেলেটার হঠাৎ করে…
মা হয়েও বুঝতে পারলামনা……
………
…………
তিনটি মানুষ এখন একটি কবরের পাশে দাড়িয়ে আছে!
কবরটির মাথায় সুন্দর করে নাম লেখা "অভ্র"
……একটি মেয়ে চিৎকার করে শুধু বলছে …অভ্র তোমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগটাও আমাকে একবার দিলে না ?
জানি আমি অনেক অন্যায় করেছি তোমার প্রতি !
তোমাকে ভালোবাসার পরও অন্য একজনকে ভালোবেসে ফেলি…তুমি অনেক বলেছিলে …তোমার সাথে পালিয়ে যেতে…কিন্তু আমি যাইনি …অথচ অন্য একটা মানুষের সাথে ঠিকই পালিয়ে যেতে পেরেছি!
অভ্র আমাকে ক্ষমা করো প্লিজ!
……
……
তোমার ভালোবাসার প্রতিদান আমি দিতে পারিনি অভ্র! দিতে পারিনি!
পাশে দাড়িয়ে থাকা রাহাতের ও চোখ টা বারবার ঝাপসা হয়ে আসছে আজ!
একটা মানুষ কতটা ভালোবাসতে পারে তা
এই অভ্রের কথা জানতে না পারলে সে বুঝতেই পারতোনা!
……
……
রাহাত আর সুমনা দুজনই বাসায় ফিরছে অশ্রু শিক্ত নয়নে!
হঠাৎই অভ্রের বাসার পিছনে একটা চিরকুট পেলো!
চিরকুটটা খুলেই বুঝতে পারলো এটা অভ্রের হাতের লেখা!
গোটা গোটা অক্ষরে লেখা চিরকুটটা!
চিরকুট এ লেখা ……
আচ্ছা ছেলেটাকে আমরা খুজে বের করবো আগে …!
তোমার কাছে কি ছেলেটার কোন ছবি আছে ?
সুমনা বললো হ্যা আছে!
রহিত বললো …তাহলে দেখাও আমাকে!
তারপর সুমনা তার মোবাইল গ্যালারি থেকে ছেলেটার ছবি দেখায়!
ছেলেটার ছবি দেখে রহিত কয়েক মিনিট চুপ হয়ে যায়!
সুমনা বলে কি হয়েছে রহিত. ?
ওকে তুমি চিনো ???
হ্যাঁ …আমাদের বিয়ের অনুষ্ঠানে ও এসেছিলো!!!!!
সুমনা বললো মানে ???
বিয়ের অনুষ্ঠানে যে একটা পাগল এসেছিলো …ওইটাই ওই ছেলেটি!!!
তারপর দুজনই চুপ হয়ে যায়………
,……
………
কিছুদিন পর দুজনই ছেলেটার খোজ করতে থাকে!
অনেক কষ্টে ছেলেটার বাসা পায় খুজে …
বাসার দরজায় কড়া নাড়ানোর পর একজন বয়স্ক মহিলা দরজা খুলে দেয়!
সুমনা মহিলাটাকে জিজ্ঞেস করে…মা অভ্র বাসায় আছে ……?
প্রশ্নটা শুনে মহিলাটি তার কাপড়ের আচল দিয়ে মুখ ডেকে ফুফিয়ে কান্না করে দেয়!
সুমনা বললো কি হয়েছে মা ?
মহিলাটা বললো অভ্র এক সপ্তাহ আগে রোড এক্সিডেন্ট এ মারা গেছে …
ছেলেটা আমার হঠাৎ করেই পাগল হয়ে যায় …রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতো!
কিন্তু আমার ছেলেটা তো এমন ছিলো না!
কি এমন হলো ছেলেটার হঠাৎ করে…
মা হয়েও বুঝতে পারলামনা……
………
…………
তিনটি মানুষ এখন একটি কবরের পাশে দাড়িয়ে আছে!
কবরটির মাথায় সুন্দর করে নাম লেখা "অভ্র"
……একটি মেয়ে চিৎকার করে শুধু বলছে …অভ্র তোমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগটাও আমাকে একবার দিলে না ?
জানি আমি অনেক অন্যায় করেছি তোমার প্রতি !
তোমাকে ভালোবাসার পরও অন্য একজনকে ভালোবেসে ফেলি…তুমি অনেক বলেছিলে …তোমার সাথে পালিয়ে যেতে…কিন্তু আমি যাইনি …অথচ অন্য একটা মানুষের সাথে ঠিকই পালিয়ে যেতে পেরেছি!
অভ্র আমাকে ক্ষমা করো প্লিজ!
……
……
তোমার ভালোবাসার প্রতিদান আমি দিতে পারিনি অভ্র! দিতে পারিনি!
পাশে দাড়িয়ে থাকা রাহাতের ও চোখ টা বারবার ঝাপসা হয়ে আসছে আজ!
একটা মানুষ কতটা ভালোবাসতে পারে তা
এই অভ্রের কথা জানতে না পারলে সে বুঝতেই পারতোনা!
……
……
রাহাত আর সুমনা দুজনই বাসায় ফিরছে অশ্রু শিক্ত নয়নে!
হঠাৎই অভ্রের বাসার পিছনে একটা চিরকুট পেলো!
চিরকুটটা খুলেই বুঝতে পারলো এটা অভ্রের হাতের লেখা!
গোটা গোটা অক্ষরে লেখা চিরকুটটা!
চিরকুট এ লেখা ……
"প্রিয়তমা সুমনা,
জানি অনেক সুখে থাকবে আমাকে ছাড়া তুমি!
অনেক ভালো একজন কে পেয়েছো জীবন সাথী!
যেদিন তুমি বলেছিলে তোমার বিয়ে ঠিক তখনই আমি এই এলাকা ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে আসি!
কেননা তোমার সুখের মুহুর্তের দৃশ্যগুলো দেখার শক্তিটুকু যে আমার নেই!
জানো ?
মনটাকে কোনভাবেই বুঝাতে পারিনি তোমাকে ছাড়া…কত রাত নির্ঘুম কাটিয়েছি তোমার কথা ভেবে ভেবে আর দুচোখ মুছেছি!
কিন্তু তোমার খবরাখবর রাখতাম আমার এক বন্ধুর দ্বারা!
যেদিন ও বলেছিলো তুমি একটা ছেলের সাথে পালিয়ে গিয়েছো …
বিশ্বাস করো তখন তা মানতেই পারিনি!
তারপর যেদিন তোমার বাসার সামনে আসি …দেখি যে সবকিছু কেমন নীরব!
কারণ তুমিতো আর নেই!
তারপর আস্তে আস্তে আমি অস্বাভাবিক হয়ে যাই আর বাজে ছেলেদের সাথে নেশা করি!
আস্তে আস্তে কেমন উদ্ভুট হয়ে যাই!
মানুষজন আমাকে পাগল বলে…কিন্তু বিশ্বাস করো আমি পাগল নই!
তোমার কথাও আমি ভুলি নি!
একদিন শুনলাম তুমি বাসায় ফিরে আসছো!
সেদিন আমিও তোমার বাসার কাছাকাছি যাই কিন্তু লোকজন পাগল বলে আমায় তাড়িয়ে দেয়!
যেদিন তোমার বিয়ের অনুষ্ঠান সেদিনও তোমার বাসার সামনে যাই!
অনেক মারদোর ও খাই!
কিন্তু খুব ইচ্ছে ছিলো তোমাকে একটাবার শুধু দেখার!
কিন্তু সে ইচ্ছেটা আমার পূর্ণ হলোনা!
তাতে কি হয়েছে ?
ওপারে ঠিকই তোমার জন্য অপেক্ষা করবো!
তুমি আমাকে ছেড়ে যেতে চাইলেও ছেড়ে যেতে দিবো না!
জানি অনেক সুখে থাকবে আমাকে ছাড়া তুমি!
অনেক ভালো একজন কে পেয়েছো জীবন সাথী!
যেদিন তুমি বলেছিলে তোমার বিয়ে ঠিক তখনই আমি এই এলাকা ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে আসি!
কেননা তোমার সুখের মুহুর্তের দৃশ্যগুলো দেখার শক্তিটুকু যে আমার নেই!
জানো ?
মনটাকে কোনভাবেই বুঝাতে পারিনি তোমাকে ছাড়া…কত রাত নির্ঘুম কাটিয়েছি তোমার কথা ভেবে ভেবে আর দুচোখ মুছেছি!
কিন্তু তোমার খবরাখবর রাখতাম আমার এক বন্ধুর দ্বারা!
যেদিন ও বলেছিলো তুমি একটা ছেলের সাথে পালিয়ে গিয়েছো …
বিশ্বাস করো তখন তা মানতেই পারিনি!
তারপর যেদিন তোমার বাসার সামনে আসি …দেখি যে সবকিছু কেমন নীরব!
কারণ তুমিতো আর নেই!
তারপর আস্তে আস্তে আমি অস্বাভাবিক হয়ে যাই আর বাজে ছেলেদের সাথে নেশা করি!
আস্তে আস্তে কেমন উদ্ভুট হয়ে যাই!
মানুষজন আমাকে পাগল বলে…কিন্তু বিশ্বাস করো আমি পাগল নই!
তোমার কথাও আমি ভুলি নি!
একদিন শুনলাম তুমি বাসায় ফিরে আসছো!
সেদিন আমিও তোমার বাসার কাছাকাছি যাই কিন্তু লোকজন পাগল বলে আমায় তাড়িয়ে দেয়!
যেদিন তোমার বিয়ের অনুষ্ঠান সেদিনও তোমার বাসার সামনে যাই!
অনেক মারদোর ও খাই!
কিন্তু খুব ইচ্ছে ছিলো তোমাকে একটাবার শুধু দেখার!
কিন্তু সে ইচ্ছেটা আমার পূর্ণ হলোনা!
তাতে কি হয়েছে ?
ওপারে ঠিকই তোমার জন্য অপেক্ষা করবো!
তুমি আমাকে ছেড়ে যেতে চাইলেও ছেড়ে যেতে দিবো না!
ভালো থেকো সুমনা!
নিজের খেয়াল রেখো!
জানিনা এই চিরকুটটা তুমি পাবে কিনা!
……
……
সুমনা চিরকুটটা ভাজ করে রেখে
কান্না করতে থাকে …আজ জেনো তার কান্না করার দিন!
চোখের পানিও আজ ফুরাচ্ছে না!
……
………
আর হয়তো সুমনা …অভ্রের ছায়াটুকু দেখতে পাবেনা!
আবার হয়তো রহিত আর সুমনার জীবনে সুখের দিন গুলো ফিরে আসবে!
আর অন্যদিকে ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে অপারে অপেক্ষা করবে সুমনার জন্য অভ্র!
নিজের খেয়াল রেখো!
জানিনা এই চিরকুটটা তুমি পাবে কিনা!
……
……
সুমনা চিরকুটটা ভাজ করে রেখে
কান্না করতে থাকে …আজ জেনো তার কান্না করার দিন!
চোখের পানিও আজ ফুরাচ্ছে না!
……
………
আর হয়তো সুমনা …অভ্রের ছায়াটুকু দেখতে পাবেনা!
আবার হয়তো রহিত আর সুমনার জীবনে সুখের দিন গুলো ফিরে আসবে!
আর অন্যদিকে ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে অপারে অপেক্ষা করবে সুমনার জন্য অভ্র!
No comments