<<<<<-------স্বার্থহীন ভালোবাসা------>>>>
.
>হ্যালো!
.
>হুম বলো।
.
>কোথায় তুমি?
.
>এইতো রুমেই আছি কেন বলত??
.
>না তেমন কিছুনা। ভালো আছ?
.
>হুম ভালো আছি। তুমি ভালো আছ!!
.
>হ্যাঁ আছি। রোজা রাখছ?
.
>হুম রাখছি।
.
>ভালো। আজ বিকাল কি ফ্রি আছ!
.
> হুম বিকালে তেমন কোনো কাজ নাই। কেন বলত!
.
> ভাবছিলাম তোমায় নিয়ে বিকালে একটু নিউ মার্কেটে যাবো।
.
>তোমার না ঈদের সপিং করা হয়ে গেছে!
.
> হ্যাঁ তবে কিছু জিনিস বাকি থেকে গেছে, ওইগুলাই আজ কিনতে যাবো ঈদেরতো আর বেশিদিন বাকি নাই।
.
>ও।
.
>কি ও হুম' বিকালে আমার সাথে যেতে হবে কিন্ত।
.
>না মানে বলছিলাম কি- - - - - -।
.
>শুনো এইবার তোমার কোনো এক্সকিউজ শুনবোনা গতবারো তুমি আমার সাথে মার্কেটে যেতে চেয়েও যাওনি। এবার যদি না যাও তাহলে কিন্তু তোমার সাথে আর কোনো কাথাই বলবোনা।
.
>কি বলো এইসব!
.
>তুমি যা শুনছ তাই। আর শুনো বিকাল ঠিক ৪ টায় বর্ণালিতে চলে আসবা আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করবো বাই
.
>এই শুনো।
.
>টুট টুট টুট- - - - -
.
যাহ ফোনটা কেটে দিল। যাইহোক এই ফাকে আমাদের পরিচয়টা দেওয়া যাক আমি আবির এবার আনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। আর এতক্ষন যার সাথে ফোনে কথা বলছিলাম তার নাম নিশিতা। ও এবার ইন্টার ২য় বর্ষের ছাত্রী। হয়ত বুঝতেই পারছেন সে সম্পর্কে আমার কে হয়।
.
আমি নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের বড় ছেলে পড়ালেখার সুবাদে রাজশাহীতে থাকি। দুই একটা টিউশনি করিয়ে কোন মতে নিজের পড়ালেখার খরচ চালাই। কারণ আমার বাবার এতটা সামর্থ্য নাই যে আমাকে বাহিরে থেকে পড়া লেখা করাতে পারবে।
.
এখন নিশিতার সম্পর্কে কিছু বলা যাক। নিশিতাকে ধনী পরিবারের মেয়েই বলা চলে। তার বাবা একজন বড় মাপের ব্যাবসায়ী। রাজশাহী শহরে তাদের নিজস্ব বাড়ি গাড়ি সব আছে। এই পরিবারের একটা মেয়ে আমার মত একটা ছেলের প্রেমে কিভাবে পড়েছিল তা নাহয় আপনাদের অন্য একদিন বলব।
.
আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে কখন যে চারটা বেজে গেছে টেরি পাইনি। এখন যদি না যায় তাহলে আবার ম্যাডাম আমার সাথে কথা বলবেনা। কিন্তু পকেটের আবস্থাও খুব শোচনিয়। তবুও যেতেই হবে
.
>হ্যালো।
.
>হ্যাঁ বলো।
.
>কোথায় তুমি!
.
>এইত আসছি।
.
>আচ্ছা...
.
বর্ণালিতে পৌচে দেখি ম্যাডাম আমার জন্য অপেক্ষা করছে। তাকে সাথে নিয়ে চললাম নিউ মার্কেটের দিকে।
.
রাস্তাতে টুকটাক কথা বলতে বলতে পৌচে গেলাম মার্কেটে। কিন্তু মার্কেটে গিয়েতো আমি পরাই টসকি খেলাম। ব্যাপার হল ম্যাডামের কিনাকাটা সব আগেই কম্পিলিট হয়ে গেছে। এখন সে আমার জন্য কেনাকাটা করতে এসেছে।
.
সে আগেই জানত আমাকে প্রথমে বললে আমি কখনই রাজী হতামনা তাই আমাকে আগে বলেনি।
.
তার কথা শুনে নিজের প্রতি প্রচন্ড রাগ হলো। বেরিয়ে আসতে চাইলাম মার্কেট থেকে। নিজেকে প্রচন্ড অসহায় মনে হচ্ছিল। নিশিতার সাথে সম্পর্ক হওয়ার পর থেকে এমন কোন ঈদ বাদ নেই যে নিশিতা আমাকে সপিং করে দেয়নি।
.
কিন্তু আমি এই পর্যন্ত নিশিতাকে কয়েকটা গোলাপ আর কিছু কাচের চুড়ি ছাড়া কিছুই দিতে পারিলাম
না। তবুও মেয়েটার কোনো অভিযোগ নেই আমার কাছে । সবসময় আমাকে শুধু নিরঃস্বার্থ ভাবে ভালোবেসে গেছে। আর দেখা গেছে আমি তার এই ভালোবাসা বিনিময়ে কত কিছুই না নিয় যাচ্ছি।
.
আমি এখন বর্তমানে যে প্যান্ট শার্ট পরে আছি সেগুলো ও নিশিতার দেওয়া। প্যান্টের পকেটে যে নামিদামি ব্যান্ডের ফোনটা আছে তাও নিশিতার দেওয়া। এখন সব সময় মনে একটাই চিন্ত ঘুরপাক খাই আমি কতবড় স্বার্থপর।
.
একটা মেয়ে থেকে সবসময় নিয়েই যাচ্ছি। তাকে বিনিময়ে ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই দিতে পারছি না। আর আমার মত নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেদের ইচ্ছা থাকলেও উপায় নাই। চেয়েছিলাম এই ঈদে মেয়েটাকে কিছু কিনে দিব কিন্তু ঈদ টাও মাসের একদম শেষ দিকে। তাই ইচ্ছা থাকলেও পকেটের অবস্থার দিকে তাকিয়ে তা মন থেকে উধাও হয়ে গেছে।
.
অনেক চেষ্টা করলাম মার্কেট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কিন্তু নিশিতার জন্য পারলামনা। মেয়েটার কান্না আমি একদম সহ্য করতে পারিনা। আর এখন সে এই অস্ত্রটাই ব্যাবহার করছে।
.
.
.নিশিতা নিজে পছন্দ করে আমাকে পাঞ্জাবী, শার্ট, প্যান্ট ইত্যাদি কিনে দিল। আমি শুধু তার পিছু এ দোকান ও দোকান ঘুরলাম। সে অনেক বকবক করছিল আমি শুধু শনে যাচ্ছিলাম। মনেমনে খুব খারাপ লাগছিল এই ঈদেও মেয়েটাকে কিছু দিতে পারলাম না। সাথে বাড়িতে দুইটা ছোট ভাইবোন আছে, তাদেরকেও কিছু কিনে দিতে পারলাম না। তাদের ছেড়ে আমি ঈদে কিভাবে নতুন পোষাক পরব।
.
.
> এই আবির কি হল??
.
>না কিছু না।
.
> আচ্ছা তুমি একটু এখানে দাড়াও আমি একটু ওই দিক থেকে আসছি!
.
>আচ্ছা তারাতারি এস।
.
> ঠিক আছে
.
ভাবছি এই ঈদে আর বাড়ি যাবনা। বাড়িতে ছোট ভাই বোন গুলোর কথা খুব মনে পড়ছে। এবার বড়ি থেকে আসার সময় ছোট ভাইটা বলেছিল তার জন্য এবার একটা টি শার্ট কিনে নিয় যেতে। কিন্তু আমি এতটাই অপদার্থ যে ভাইয়ের জন্য একটা টি শার্ট ও কিনতে পারলাম না।
.
.
> আবির চল।
.
> এত দেরী হল যে আর হাতে এত সপিং ব্যাগ??
.
> বাবা মা আর দুইজন খুব আপন মানুষের সপিং বাকি ছিল ওই গুলো কিনতে একটু দেরী হয়ে গেল।
.
>আচ্ছা চল।
.
.
নিশিতা আর আমি রিকশাতে বসে আছি। আমার মনটা এখন বেশ খারাপ। নিশিতা আমার মন খারাপের ব্যাপার টা কিছুটা আঁচ করতে পেরেছে মনে হয়।
.
.
> কি হল তোমার কথা বলছ না কেন?
.
> না কিছু হয়নি।
.
>আবির আমি ভালোই বুঝতে পারছি তোমার মন খারাপ। প্লিজ বলনা কি হইসে!
.
> না তেমন কিছু না এমনি।
.
>আচ্ছা ঈদের তো বেশি দিন বাকি নাই বাড়ি কখন যাবা??
.
> মানে এই ঈদে বাড়ি যাবোনা ভাবছি।
.
>কেন??
.
>আসলে ঈদের পরেই তো পরীক্ষা আর তাছাড়া টিউশনিও বেশি দিন ছুটি দেওয়া যাবেনা। (মিথ্যা কথা বললাম)
.
>কিন্তু......
.
নিশাতা কিছু বলত কিন্তু রিকাশা আমার মেসের সামনে চলে এসেছে। আমি রিকশা থেকে নেমে সোজা মেসে চলে যাচ্ছিলাম কিন্তু পিছন থেকে নিশিতা ডাক দিল।
.
>এইযে আবির দাড়াও।
.
>কি হল।
.
>এগুলো না নিয়ে কোথায় যাচ্ছ। (তার হাতের সপিং ব্যাগ গুলো আমার দিকে বাড়িয়ে দিল)
.
>এগুলো না তোমার বাবা মার জন্য...
.
> মানে আমাদের বাবা মার জন্য তো। (চোখে মুখে লজ্জা মিশ্রিত হাসি)
.
আমার কিছু বুঝতে বাকি রইলনা। এই মেয়েটা এরকম কেন। আমার চোখ দিয়ে ফোটায় ফোটায় পানি পরছে। তবুও ব্যার্থ চেষ্টা করছি তা আটকে রাখার।
.
> কি হল আবির তুমি কাঁদছ কেন?? (কাদো কাদো কন্ঠ)
.
> নিশিতা আমি খুব স্বর্থপর না! (এবার আর চোখের পানি আটকে রাখতে পারলাম না)
.
> এই সব কি বলছ আবির তুমি স্বর্থপর হবা কেন!
.
> দেখনা সবসময় সুধু তোমার থেকে নিয়েই যাচ্ছি তোমাকে কিছু দিতে পারিনা।
.
> কে বলল তুমি আমাকে কিছু দিতে পারনা। তোমার মত এত ভালোবাসা আমাকে পৃথিবীর আর কেউ দিতে পারবেনা আবির। আমায় শুধু তোমার বুকে জড়িয়ে একটু ভালোবাসা দিও আবির তাহলে আমার আর কিছুই লাগবেনা। কি দিতে পারবানা একটু ভালবাসা।
.
>আমার সব ভালোবাসাতো শুধু তোমার জন্য নিশাতা।
.
নিশিতাকে আস্তে করে বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরলাম। এ যেন এক আন্যরকম সিহরণ যা আমার মনের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে
.
.
> আবির কালকেই কিন্তু বাড়ি যাবা বুঝছ।
.
>হুম যাবো।
.
>আর ঈদের পরের দিনই চলে আসবা। (কান্ন মিশ্রিত কন্ঠে)
.
> এই বাবা কাঁদছ কেন।
.
>খুব মিস করব তোমায়।
.
>আচ্ছা তাহলে বাড়ি যাওয়া ক্যানসেল।
.
>কি বললা!! ( রাগের ইমো)
.
>বললাম আই লাভ ইউ।
.
>মি টু।
>হ্যালো!
.
>হুম বলো।
.
>কোথায় তুমি?
.
>এইতো রুমেই আছি কেন বলত??
.
>না তেমন কিছুনা। ভালো আছ?
.
>হুম ভালো আছি। তুমি ভালো আছ!!
.
>হ্যাঁ আছি। রোজা রাখছ?
.
>হুম রাখছি।
.
>ভালো। আজ বিকাল কি ফ্রি আছ!
.
> হুম বিকালে তেমন কোনো কাজ নাই। কেন বলত!
.
> ভাবছিলাম তোমায় নিয়ে বিকালে একটু নিউ মার্কেটে যাবো।
.
>তোমার না ঈদের সপিং করা হয়ে গেছে!
.
> হ্যাঁ তবে কিছু জিনিস বাকি থেকে গেছে, ওইগুলাই আজ কিনতে যাবো ঈদেরতো আর বেশিদিন বাকি নাই।
.
>ও।
.
>কি ও হুম' বিকালে আমার সাথে যেতে হবে কিন্ত।
.
>না মানে বলছিলাম কি- - - - - -।
.
>শুনো এইবার তোমার কোনো এক্সকিউজ শুনবোনা গতবারো তুমি আমার সাথে মার্কেটে যেতে চেয়েও যাওনি। এবার যদি না যাও তাহলে কিন্তু তোমার সাথে আর কোনো কাথাই বলবোনা।
.
>কি বলো এইসব!
.
>তুমি যা শুনছ তাই। আর শুনো বিকাল ঠিক ৪ টায় বর্ণালিতে চলে আসবা আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করবো বাই
.
>এই শুনো।
.
>টুট টুট টুট- - - - -
.
যাহ ফোনটা কেটে দিল। যাইহোক এই ফাকে আমাদের পরিচয়টা দেওয়া যাক আমি আবির এবার আনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। আর এতক্ষন যার সাথে ফোনে কথা বলছিলাম তার নাম নিশিতা। ও এবার ইন্টার ২য় বর্ষের ছাত্রী। হয়ত বুঝতেই পারছেন সে সম্পর্কে আমার কে হয়।
.
আমি নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের বড় ছেলে পড়ালেখার সুবাদে রাজশাহীতে থাকি। দুই একটা টিউশনি করিয়ে কোন মতে নিজের পড়ালেখার খরচ চালাই। কারণ আমার বাবার এতটা সামর্থ্য নাই যে আমাকে বাহিরে থেকে পড়া লেখা করাতে পারবে।
.
এখন নিশিতার সম্পর্কে কিছু বলা যাক। নিশিতাকে ধনী পরিবারের মেয়েই বলা চলে। তার বাবা একজন বড় মাপের ব্যাবসায়ী। রাজশাহী শহরে তাদের নিজস্ব বাড়ি গাড়ি সব আছে। এই পরিবারের একটা মেয়ে আমার মত একটা ছেলের প্রেমে কিভাবে পড়েছিল তা নাহয় আপনাদের অন্য একদিন বলব।
.
আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে কখন যে চারটা বেজে গেছে টেরি পাইনি। এখন যদি না যায় তাহলে আবার ম্যাডাম আমার সাথে কথা বলবেনা। কিন্তু পকেটের আবস্থাও খুব শোচনিয়। তবুও যেতেই হবে
.
>হ্যালো।
.
>হ্যাঁ বলো।
.
>কোথায় তুমি!
.
>এইত আসছি।
.
>আচ্ছা...
.
বর্ণালিতে পৌচে দেখি ম্যাডাম আমার জন্য অপেক্ষা করছে। তাকে সাথে নিয়ে চললাম নিউ মার্কেটের দিকে।
.
রাস্তাতে টুকটাক কথা বলতে বলতে পৌচে গেলাম মার্কেটে। কিন্তু মার্কেটে গিয়েতো আমি পরাই টসকি খেলাম। ব্যাপার হল ম্যাডামের কিনাকাটা সব আগেই কম্পিলিট হয়ে গেছে। এখন সে আমার জন্য কেনাকাটা করতে এসেছে।
.
সে আগেই জানত আমাকে প্রথমে বললে আমি কখনই রাজী হতামনা তাই আমাকে আগে বলেনি।
.
তার কথা শুনে নিজের প্রতি প্রচন্ড রাগ হলো। বেরিয়ে আসতে চাইলাম মার্কেট থেকে। নিজেকে প্রচন্ড অসহায় মনে হচ্ছিল। নিশিতার সাথে সম্পর্ক হওয়ার পর থেকে এমন কোন ঈদ বাদ নেই যে নিশিতা আমাকে সপিং করে দেয়নি।
.
কিন্তু আমি এই পর্যন্ত নিশিতাকে কয়েকটা গোলাপ আর কিছু কাচের চুড়ি ছাড়া কিছুই দিতে পারিলাম
না। তবুও মেয়েটার কোনো অভিযোগ নেই আমার কাছে । সবসময় আমাকে শুধু নিরঃস্বার্থ ভাবে ভালোবেসে গেছে। আর দেখা গেছে আমি তার এই ভালোবাসা বিনিময়ে কত কিছুই না নিয় যাচ্ছি।
.
আমি এখন বর্তমানে যে প্যান্ট শার্ট পরে আছি সেগুলো ও নিশিতার দেওয়া। প্যান্টের পকেটে যে নামিদামি ব্যান্ডের ফোনটা আছে তাও নিশিতার দেওয়া। এখন সব সময় মনে একটাই চিন্ত ঘুরপাক খাই আমি কতবড় স্বার্থপর।
.
একটা মেয়ে থেকে সবসময় নিয়েই যাচ্ছি। তাকে বিনিময়ে ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই দিতে পারছি না। আর আমার মত নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেদের ইচ্ছা থাকলেও উপায় নাই। চেয়েছিলাম এই ঈদে মেয়েটাকে কিছু কিনে দিব কিন্তু ঈদ টাও মাসের একদম শেষ দিকে। তাই ইচ্ছা থাকলেও পকেটের অবস্থার দিকে তাকিয়ে তা মন থেকে উধাও হয়ে গেছে।
.
অনেক চেষ্টা করলাম মার্কেট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কিন্তু নিশিতার জন্য পারলামনা। মেয়েটার কান্না আমি একদম সহ্য করতে পারিনা। আর এখন সে এই অস্ত্রটাই ব্যাবহার করছে।
.
.
.নিশিতা নিজে পছন্দ করে আমাকে পাঞ্জাবী, শার্ট, প্যান্ট ইত্যাদি কিনে দিল। আমি শুধু তার পিছু এ দোকান ও দোকান ঘুরলাম। সে অনেক বকবক করছিল আমি শুধু শনে যাচ্ছিলাম। মনেমনে খুব খারাপ লাগছিল এই ঈদেও মেয়েটাকে কিছু দিতে পারলাম না। সাথে বাড়িতে দুইটা ছোট ভাইবোন আছে, তাদেরকেও কিছু কিনে দিতে পারলাম না। তাদের ছেড়ে আমি ঈদে কিভাবে নতুন পোষাক পরব।
.
.
> এই আবির কি হল??
.
>না কিছু না।
.
> আচ্ছা তুমি একটু এখানে দাড়াও আমি একটু ওই দিক থেকে আসছি!
.
>আচ্ছা তারাতারি এস।
.
> ঠিক আছে
.
ভাবছি এই ঈদে আর বাড়ি যাবনা। বাড়িতে ছোট ভাই বোন গুলোর কথা খুব মনে পড়ছে। এবার বড়ি থেকে আসার সময় ছোট ভাইটা বলেছিল তার জন্য এবার একটা টি শার্ট কিনে নিয় যেতে। কিন্তু আমি এতটাই অপদার্থ যে ভাইয়ের জন্য একটা টি শার্ট ও কিনতে পারলাম না।
.
.
> আবির চল।
.
> এত দেরী হল যে আর হাতে এত সপিং ব্যাগ??
.
> বাবা মা আর দুইজন খুব আপন মানুষের সপিং বাকি ছিল ওই গুলো কিনতে একটু দেরী হয়ে গেল।
.
>আচ্ছা চল।
.
.
নিশিতা আর আমি রিকশাতে বসে আছি। আমার মনটা এখন বেশ খারাপ। নিশিতা আমার মন খারাপের ব্যাপার টা কিছুটা আঁচ করতে পেরেছে মনে হয়।
.
.
> কি হল তোমার কথা বলছ না কেন?
.
> না কিছু হয়নি।
.
>আবির আমি ভালোই বুঝতে পারছি তোমার মন খারাপ। প্লিজ বলনা কি হইসে!
.
> না তেমন কিছু না এমনি।
.
>আচ্ছা ঈদের তো বেশি দিন বাকি নাই বাড়ি কখন যাবা??
.
> মানে এই ঈদে বাড়ি যাবোনা ভাবছি।
.
>কেন??
.
>আসলে ঈদের পরেই তো পরীক্ষা আর তাছাড়া টিউশনিও বেশি দিন ছুটি দেওয়া যাবেনা। (মিথ্যা কথা বললাম)
.
>কিন্তু......
.
নিশাতা কিছু বলত কিন্তু রিকাশা আমার মেসের সামনে চলে এসেছে। আমি রিকশা থেকে নেমে সোজা মেসে চলে যাচ্ছিলাম কিন্তু পিছন থেকে নিশিতা ডাক দিল।
.
>এইযে আবির দাড়াও।
.
>কি হল।
.
>এগুলো না নিয়ে কোথায় যাচ্ছ। (তার হাতের সপিং ব্যাগ গুলো আমার দিকে বাড়িয়ে দিল)
.
>এগুলো না তোমার বাবা মার জন্য...
.
> মানে আমাদের বাবা মার জন্য তো। (চোখে মুখে লজ্জা মিশ্রিত হাসি)
.
আমার কিছু বুঝতে বাকি রইলনা। এই মেয়েটা এরকম কেন। আমার চোখ দিয়ে ফোটায় ফোটায় পানি পরছে। তবুও ব্যার্থ চেষ্টা করছি তা আটকে রাখার।
.
> কি হল আবির তুমি কাঁদছ কেন?? (কাদো কাদো কন্ঠ)
.
> নিশিতা আমি খুব স্বর্থপর না! (এবার আর চোখের পানি আটকে রাখতে পারলাম না)
.
> এই সব কি বলছ আবির তুমি স্বর্থপর হবা কেন!
.
> দেখনা সবসময় সুধু তোমার থেকে নিয়েই যাচ্ছি তোমাকে কিছু দিতে পারিনা।
.
> কে বলল তুমি আমাকে কিছু দিতে পারনা। তোমার মত এত ভালোবাসা আমাকে পৃথিবীর আর কেউ দিতে পারবেনা আবির। আমায় শুধু তোমার বুকে জড়িয়ে একটু ভালোবাসা দিও আবির তাহলে আমার আর কিছুই লাগবেনা। কি দিতে পারবানা একটু ভালবাসা।
.
>আমার সব ভালোবাসাতো শুধু তোমার জন্য নিশাতা।
.
নিশিতাকে আস্তে করে বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরলাম। এ যেন এক আন্যরকম সিহরণ যা আমার মনের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে
.
.
> আবির কালকেই কিন্তু বাড়ি যাবা বুঝছ।
.
>হুম যাবো।
.
>আর ঈদের পরের দিনই চলে আসবা। (কান্ন মিশ্রিত কন্ঠে)
.
> এই বাবা কাঁদছ কেন।
.
>খুব মিস করব তোমায়।
.
>আচ্ছা তাহলে বাড়ি যাওয়া ক্যানসেল।
.
>কি বললা!! ( রাগের ইমো)
.
>বললাম আই লাভ ইউ।
.
>মি টু।
No comments