Header Ads

ভালো থাকো তুমি

.
বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে
.
আমি শাওন।একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি।
হঠাৎ আমার চাচাতো ভাইয়ের বিয়ে ঠিক হয়।
ভাইয়ের বিয়েতে একটা মেয়েকে দেখে আমার
ভীষণ পছন্দ হয়।দেখতে ওতোটা সুন্দর না হলেও
চোখ দুটো ছিল অনেক মায়াবী।এক কথায় বলতে
আমি ওর প্রেমেই পড়ে যাই।যাকে হয়তো বলে
লাভ এটnফার্স্ট সাইট।তাই ওর সাথে কথা বলতে
এগিয়ে গেলাম।ওর সাথে কথা বলে বুঝতে
পারলাম যে ও চাচাত
ভাইয়ের দুঃর্স্পকের শালি।
.
প্রথম দিনই ওর সাথে বন্ধুত্ব পূর্ণ
সম্পর্ক হয়ে যায়।
কিন্তু ও কি আমাকে
ভালোবাসবে যদি অন্য কাউকে পছন্দ করে।
ও দেখি পটাতে পারি কি না।
এক ভাগ্নের মাধ্যমে ওর নাম্বার যোগার করলাম।
তারপর ফোনে ১ম কয়েক দিন পরিচয়
গোপন করে কথা বলি।কিছু দিন পর আমার একটা
কথায় আমায় চিনতে পেরে যায়।প্রথম কয়েকদিন ও
আমাকে ফোন দেয়নি আমিও দেয়নি।.
তার কিছুদিন পর ও আমাকে ফোন করে।
বন্ধুত্বটা ভালোই চলছিলো।
জবের কারনে সবসময়
রাতে বেশী কথা বলতাম ।
.
নামটাই তো বলা হল না।
ও নাম মিলা (ছদ্মনাম)
ও অনেক রাত জাগত।
এজন্য ওকে
বলি তুমি প্রেম করলেই পারো তাহলে
রাতজাগা হবে প্রেম করাও হবে।
আরো বলি আমার দুটো ফেন্ড তোমাকে পছন্দ করে
(আমার এলাকার২টা ছেলে ওকে পছন্দ করত
আমি জানতাম কারন আমাদের গ্রাম ওর গ্রাম
পাশাপাশি)
তখন ও বলে আমি একজন কে ভালোবাসি।
.
আমি বলি কে সে উওর টা শুনার পর আমি তো
ঘোরের মধ্যে পড়ে যাই।এ আমি কি শুনছি।
কারন ও আমার নাম বলেছিল ও নাকি
বিয়ের দিন থেকে আমাকে পছন্দ করে।
আমি তখন বলি এটা আসম্ভব
ভাইয়া সুনলে রাগ করবে।
ও তখন বলে রাগ করবে কেন
ভালোবাসা কি পাপ।
ওরযুক্তির কাছে আমি পরাজিত
হয়েছি কেননা আমি ওকে ভালবাসি।
তারপর শুরু হয় দুটো মনের পথচলা।
অনেক সুখেই চলছিল দিন গুলি।
অনেক রাত পর্যন্ত আমরা ফোনে
কথা বলতাম এবংপ্রতিমাসে আমরা দেখা
করতাম আমি ঢাকা থেকে
বগুড়া শুধু দেখা করার জন্য যেতাম।
চাকরির জন্য আমি ঢাকা থাকতাম।
দেখা নাকরলেও রাগ করত আমি বাড়ি
গেলে যে কয়দিন বাড়ি থাকি
প্রতিটা দিন দেখা করতে হতো কেননা
ও বলত আমার সাথে দেখা করতে এসে
অন্য কাজ করবা তা হবে না।
..
শুধু ওর সাথে দেখা
করতেই বগুড়াতে যেতাম।
বগুড়ার এমন কোন দর্শনীয়
জায়গা নেই যে যেখানে আমরা যাইনি।
খুব ভালোবাসতাম ওকে।
হঠাৎ আমাদের মাঝে কালশাপ হয়ে
দাড়ায় ওর পুলিশে এপলাই করা।
আমি নিষেধ করিকিন্তু
ও বলে বাবার খুব ইচ্ছা আমি চাকরি করি।
আর বলে লাইন দাড়ালে তো চাকরি হয় না।
তবু আমার মন শায় দেয় নি .
শুধু বলে ছিলাম তোমার যা মন চাই তাই কর।
চাকরি টা হয়ে যাই ওর কেননা ও
প্রত্যেক টা বিষয়ে ফার্স্ট হয়।
আমি বলতাম তুমি চাকরিটা করো না।
ও বলত আমার বাবার ইচ্ছা আমাকে পুরন
করতে হবে। আর যখন তোমাকে বিয়ে করব
তখন না হয় চাকরি টা ছেড়েদিব।
আমিও তখন রাজি হয়ে যাই।
কারণ ওর খুশি মানেই তো আমার খুশি।
ওকে খুশি করতেই রাজি হয়ে যাই।
.
জানুয়ারি মাসে ওর কার্ড আসে
ফ্রেবুয়ারি তে ট্রেনিংও আমাকে জানায় ।
আমি তখন বলি ট্রেনিং গিয়ে
ভুলে যাবা না তো আমায়।
তখন ও বলে তুমি কাল
বাড়ি আসো তোমার সাথে দেখা করব।
আমি বলি সাত দিন আগেই তো আসলাম।
এবং পর দিন আমি
বাড়ি যাই এবং ওর সাথে দেখা করি।
ও বলেআমাকে আজকে বিয়ে করতে হব।
আমিঃ বিয়ে মানে?
মিলা : হ্যাঁ বিয়ে আমি চলে গেলে যদি
তুমি অন্য কারো হও।
আমিঃ আমাকে বিশ্বাস কর না ।
মিলাঃ আমি জানিনা আমাকে আজকে বিয়ে করত
হবে। না করলে বুঝব তুমি আমাকে ভালবাস না।।।
ওর জেদের কাছে হার মেনে আমি সেদিন বিয়ে করি।
.
তার পর অনেক ঘুরাঘুরি করি
সব ওর পছন্দের জায়গায়।
তারপরআমি ঢাকায় আসি আর ও ট্রেনিং এ যায়।
ট্রেনিং যাবার দিন অনেক কান্না করে ।
ট্রেনিং ওদের ফোন ব্যবহার করতে দিত না
ক্যাটিন থেকে মাঝেমাঝে ফোন দিত আমাকে।
আর কান্না করত আমি বলতাম।
তুমি চলে আসো। ও বলত এসেছি যখন ট্রেনিং
করেই যাবো। আমি শুধু ওর ফোনের অপেক্ষায়
থাকতাম। ৩মাস আমাদের কথা মধ্যে কথা হত।
.
তারপরও আমাকে আর ফোন দিত না।
এদিকে বাবা আমার বিয়ে ঠিক করে।
মেয়ের মামা সরকারি চাকরি দিবে আমাকে।
আমি রাজি হইনা,আমি তো বিয়ে করছি।
কিন্তু বাবার কাছে কিছু বলতে পারিনা বাবা
খুব রাগি এবং প্রচুর ভয় পাই।
আমি শুধু বলেছিলাম চাকরি হবার পর বিয়ে হবে।
সবাই রাজি হয়। আমি চাকরির পরীক্ষাটা দেই না।
আমি জানতাম চাকরি টা আমার হবে
কেননা মেয়ের মামা
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে চাকরি করে।
আমার খাতা পাওয়া যায়নি বিধায় আমার
চাকরিটা হয়নি এবং বিয়েটা হয়নি।
বাবা অনেক রাগ হয় ও আমার সাথে
কথা বলা বন্ধ করে। কুরবানি ঈদের
২ দিন আগে শুনি
ও বাড়িতে এসেছে ঈদের ছুটিতে।
আমি ওর বাড়ির নাম্বারে ফোন দেই
ও বলে দেয় আমি তোমার
সাথে পরে কথা বলব।
আমি শুধু বললাম ঠিক আছে।
.
তার ৮ দিন পর ও আমাকে ফোন দেয় এবং যা বলে
তা শুনার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না।
বলেছিল যে আমাকে তুমি ভুলে যাও
আমি বাবা মার ইচ্ছা ছাড়া
তোমার কাছে যেতে পারবোনা
আর বাবা আমার বিয়ে
ঠিক করেছে আমার ফুফতো ভাই এর সাথে ।
আমি বললাম আমাদের বিয়ের কি হবে।
মিলাঃ আমি জানিনা।
আমি বাবা মার ইচ্ছা বিরুদ্ধে আমি
কিছু করতে পারবো না।
আমি বললাম বুঝিয়ে বল তোমার বাবাকে
ও বলে আমি বলতে পারবো না।
আমি বললাম আমি বলি ও তারপর যা
বলেছিল তা শুনে আমি অবাক হয়ে যাই
ও বলেছিল আমাদের সম্পর্ক ও বিয়ের
কথা।যদি কেউ জানতে পারে তাহলে
আমার মরা মুখ দেখবা।
.
ওকে যে খুব ভালবাসি আর মরা মুখটা দেখি
কিভাবে।ট্রেনিং শেষ করে যখন ও বাসায়
আসে।যতবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করি।
শুধু একটাই কথা বলেছে।
যদি আমাদের সর্ম্পকের কথা
কেউ যানে তাহলে
আর মরা মুখ দেখতে হবে।
এজন্য নিরবে সব সয়ে যাই আমি।
ফোন দিলে বিরক্ত হয় এজন্য আর
ফোন ও দেইনা। একদিন জানতে
পারি ও বিয়ে করেছে।
শুধু বলেছি তুমি
অনেক ভালো ও সুখে থেকো।
এখনও খোজ রাখি দূর থেকে কেননা ও
তো আমার বিয়ে করা বৌ।
এখনো বিয়ে করিনি বাড়ি
থেকে প্রচুর বিয়ের চাপ দেয়।
ভাবি জীবনে কয়টা বিয়ে করবো।
কারন মিলা তো আমার বিয়ে
করা বউ। মনে মনে ভাবি সবাই তো
প্রেম করে বিয়ে করতে পারে না আমি তবু বিয়ে
করতে পেরেছি এতেই অনেক খুশি আর কিছু চাই না।
কোনো দিনই ওকে ভুলতে পারব না।আল্লাহর কাছে
এই দোয়া করি যে ও যেনো সুখে থাকে।
গল্পটি সত্য এবং আমার কাছের এক জনের
গল্পটি বলার সময় তার চোখের পানি
দেখেছি যে সে কতটা
ভালোবেসেছিলো মেয়েটিকে।
আমি যখন বলেছিলাম আমি এই গল্পটা
লিখতে চাই ও বলেছিল ওর নামটা দিস না
ওর যদি কোন সমস্যা আমি নিজেকে
হ্মমা করতে পারবো না।।।

No comments

Powered by Blogger.