মধ্যবিত্ত
আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেগুলো সবসময় অল্পতেই সুখ খুজেঁ নেয়৷ কারণ তারা জানে অল্প-স্বল্পর চাইতে বেশি কিছু আশা করলে "সুখ"নামক বস্তুটা তাদের কপালে জুটবেনা৷ আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেগুলোর কাছে যখন কোনো বন্ধু বিপদে পরলে টাকা ধার চাইতে আসে৷ তখন আমরা টাকা দিয়ে হেল্প করতে না পারলে উপদেশমূলক কিছু কথা শুনিয়ে৷ সাহস জোগানোর চেষ্টা করি৷ আর সাহায্য চাইতে আসা বন্ধুটা যদি খুব আপন হয় তাহলে সে উপদেশ নামক অখাদ্যগুলো না শুনলেও শুনার মত ভান ধরে থাকে৷
-আমাদের মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির বাবাগুলো খুব সৌখিন টাইপের হয়ে থাকে৷ বাবা বেতন পাওয়ার পর মাসের প্রথম কয়েকদিন পরিবাররের আনন্দগুলো ঈদের আনন্দ কেও হার মানায়৷ মাসের এই প্রথম ক'দিনের আনন্দগুলোই মাসের শেষে ফেলে আসা বেদনাগুলো ধুয়েঁ মুছে সাফ করে দেয়৷ মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির বাবাগুলো বেতন পাওয়ার পর মনে মনে অনেক খুশি হয় এই ভেবে যে, এই বেতন থেকেই হয়তো তার খোকার গত মাসের আবদার করা জিনিসটা কিনতে পারবে৷ কিন্তু তার এই আশাটা হয়তো আশাই থেকে যায়৷
-আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারের মা গুলো তো আরও বেশি ত্যাগী৷ মা গুলো তার স্বামীর কষ্ট আর সন্তানের আবদার মেটানোর জন্য পারলে হয়তো নিজেই একটা চাকরী করে৷ মাসের শেষে যখন টাকা নিয়ে টানাপোড়েন এ পড়ে তখনো তারা সন্তানের সামনৈ এমন ভাব করে , যেন কিছুই হয়নি৷ তারপরঐ আদরের সন্তানটাকে বলেঃবাবা, কি খাবি বল? আজকে তুই যা বলিস তাই রান্না করবো৷ নিজে না খেয়েও তারা সন্তান আর স্বামীর জন্য রাখার মধ্যেই সুখ খুজেঁ নেয়৷
-বাবা-মা থেকে দেখে সন্তানটাও একসময় ত্যাগ স্বীকার করা শিখে যায়৷ অভাব থাকা সত্তেও মা যখন বলেঃবাবা কি খাবি বল?তুই যা বলিস তাই রান্না করে খাওয়াবো তোকো! সন্তান বুঝতে পেরে বলে, আম্মু আলু বর্তা আর ডাল খেয়েছি অনেক দিন হলো ৷ আজকে আমার জন্য শুধু আলু বর্তা আর ডাল বানাবা৷ মধ্যবিত্তের সন্তানগুলো কখনো রাগ করে থাকতে পারে না৷ মাঝে মাঝে যখন মা-বাবার বকা খেয়ে ঘর থেকে না খেয়ে বেরিয়ে যায়৷ সেই যাওয়ার আগে ঘড়ির টাইম দেখে যায় যে, সে কতক্ষণ পর ফিরবে৷ কারণ তার বাবা-মা তার জন্য না খেয়ে বসে থাকবে৷ তারপর রাগ কমার পর সে যখন ফিরে আসে৷ তখন "মা" তাকে নিজ হাতে খাইয়ে দিবে৷ নয়তো খাওয়ার সময় মাথায় হাত ভুলিয়ে বলবে"আমার আব্বুটার কি লাগবে"? তখন ছেলেটা আধাপেটে খেয়ে বলবে "আম্মু পেট ভরে গেছে আর খাব না"৷ তুমি খেয়ে নাও৷ মধ্যবিত্তের ছেলেগুলোর সবকিছুর মধ্যে একটা বিশেষ কিছু থাকে৷ যেমন,তাদের একটা নতুন শার্ট থাকবে৷ যেটা সে গত ঈদে কিনেছিল৷ ঔ শার্ট বা প্যান্ট টা সে সারাবছর নতুন রাখার চেষ্টা চালাবে৷ কারণ সেই শার্ট বা প্যান্ট টা বড়কোনো উপলক্ষ্য এলে পরিধান করবে৷ মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির প্রত্যেকটা মানুষই এক একটা বড় স্যাক্রিপাইজার৷ কখনো সে পরিবারের কাছে৷ কখনো আপনজনদের কাছে৷ কখনো বন্ধুদের কাছে৷
"
-মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির ছেলেগুলোর সামনে যখন তাদের বড়লোক বাবার বন্ধুরা বড় গলা করে বলে যে, জানিস? গতরাতে আমি আব্বু-আম্মু মিলে বড় একটা রেষ্টুরেন্টে ডিনার করেছি!৷ মধ্যবিত্ত ছেলেটা ঔ কথাটা শুনে কোনো আফসোস করবেনা! বরং গর্ব করে বলবে, দোস্ত তুই যেন গতসপ্তাহে কয়দিন তোর আব্বু আম্মুর সাথে বসে রাতের খাবার খাইছিলি? জবাবে বড়লোক বাবার ধনীর দুলালটার কিছু বলার থাকবেনা৷ কারন ছুটির দিন ছাড়া তো তার মা-বাবার সাথে দেখাই হয় না৷ পক্ষান্তরে মধ্যবিত্তের ছেলেটা প্রতিদিন রাতে অন্তত ডাল ভাত হলেও একসাথে বসে খায়৷
,মধ্যবিত্ত পরিবারের আনন্দগুলো সবার চোখে পড়ে৷ কিন্তু তাদের দুঃখগুলো দেখার বা অনূভব করার মত মানুষ খুব কমই থাকে৷ মধ্যবিত্ত পরিবারের দুঃখ কষ্টের অন্যতম সাক্ষী হলো "রাতে ঘুমানোর সময় তার মাথার নিচে দেওয়া বালিশটা"৷ মধ্যবিত্তরা বড় স্বপ্ন দেখতে ভয় পাই৷ কারণ তারা জানে স্বপ্নপূরণ না হওয়ার হতাশা কি জিনিস৷
"
-একটা জিনিস সব সময় খেয়াল করে দেখবেন৷ আপনার মধ্যবিত্ত পরিবারের বন্ধুটার কাছে আপনার মনের হতাশা, আনন্দ, বেদনাগুলো সহজেই শেয়ার করতে পারবেন৷ সে ও আপনার কথাগুলো খুব মনোযোগ সহকারেই শুনবে৷ গুরুত্ত দিবে৷ আর বলবে দোস্ত মনে সাহস রাখ, একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে দেখিস?
-কিন্তু আপনি যখন আপনার বড়লোক বাবার সন্তান টাকে বলবেন , তখন সে বলবেঃ ধুর ব্যাটা এত টেনশন লাভ নেই৷ যা হওয়ার হয়ে গেছে বা হয়ে যাবে! চল পার্টিতে যায়!
"
-মধ্যবিত্তের ছেলেগুলো সবকিছুতে বাস্তবতা খোঁজে৷ তাই সে সবার কাছে "ক্ষ্যাত মার্কা পোলা"৷ মধ্যবিত্ত ছেলেটা সবসময় পয়সাওয়ালা বন্ধুগুলোর কাছ থেকে দূরে থাকতে চায়৷ কারন সে জন্মদিন উপলক্ষ্যে পয়সাওয়ালা বন্ধুদের মত বড় রেষ্টুরেন্টে ট্রিট দিতে পারবেনা৷ বড়জোর চা এর দোকানে নিয়ে গিয়ে দু'টো সিঙ্গারা আর এক কাপ চা খাওয়াতে পারবে৷
-মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেগুলোর চেহেরাসুন্দর হওয়ার পরেও তারা অন্যদের কাছে গ্ল্যামার বয় হতে পারে না৷ কারন তাদের প্রতি সপ্তাহে চুল আর দাড়িঁর নতুন কাটিং বা দামী জেল বা ফেস ওয়াস ইউস করতে পারে না৷ তাদের একটা ফোনেই যথেষ্ট৷ তাদের ফোনটাও হয়তো তাদের দুঃখ বোঝে৷ তাই ফোনটাও নষ্ট হয় না সহজে৷
"
-মধ্যবিত্তের ছেলেগুলো কখনো আবেগের ধার ধারে না৷ কারণ আবেগে পরলে তাদের সংগ্রামী বিবেকটা গোল্লায় যাবে৷
-মধ্যবিত্তের ছেলেগুলো তার আপন মানূষদেরও সতর্ক করে দেয়, যে আমার কাছ থেকে বেশি কিছু আশা করিস না, হতাশ হতে পারিস৷ কারণ আমার দেওয়ার মত কিছু নেয়৷ শুধু সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত ভালোবাসা ছাড়া৷
"
-মধ্যবিত্তের ছেলেগুলোর কোনো ভুল হলে ,খুব সহজেই সে সরি বলতে জানে৷ কারণ সে জানে, তার সূক্ষ ভুলগুলোই মানুষের কাছে অনেক বড় হয়ে যেতে পারে৷ কারন সে মধ্যবিত্ত৷
"
-মধ্যবিত্তের ছেলেগুলো কাউকে প্রতিশ্র্রুতি দেয় না৷ কারণ সে জানে, তার নুন আনতে পান্তা ফুরোই ! সে কি করে অন্যকে প্রতিশ্র্রুতি দিবে৷ মধ্যবিত্তরা কারো মন ভাঙ্গতে চাই না, কাউকে কাদাঁতে চাই না, কষ্ট দিতে চাই না৷ কারণ সে জানে কষ্ট জিনিসটার অনূভূতি কী৷
""
"""এতকিছুর পরও মধ্যবিত্তের ছেলেগুলো কি থেকে অনুপ্রেরণা নেয় জানেন?
""
-কারণ সে পাঠ্যবই বা শিক্ষিত বড় ভাই -বোন এর কাছ থেকে শুনেছে যে
"""পৃথিবীতে ইতিহাসের অনন্য অসাধারন ব্যাক্তি গুলোর বেশীর ভাগ ব্যাক্তির জন্ম খুব সাধারন ঘরেই""!
"পরিশ্রম ,সততা, নিষ্ঠা থাকলে হয়তো , একদিন আমার মত "সাধারন" ছেলেটার "সাধারন" এর সাথে "অ" টা যোগ হয়ে "অসাধারন" নামক শব্দটার পূর্ণজন্ম হবে৷!!
-বেচেঁ থাকুক আমার মত সাধারন ঘরের ছেলেদের অসাধারন হওয়ার স্বপ্নটা৷ এর জন্য শুধু শরীরের তেজ থাকলেই চলবে না, মনের তেজটাও চাই৷
-আমাদের মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির বাবাগুলো খুব সৌখিন টাইপের হয়ে থাকে৷ বাবা বেতন পাওয়ার পর মাসের প্রথম কয়েকদিন পরিবাররের আনন্দগুলো ঈদের আনন্দ কেও হার মানায়৷ মাসের এই প্রথম ক'দিনের আনন্দগুলোই মাসের শেষে ফেলে আসা বেদনাগুলো ধুয়েঁ মুছে সাফ করে দেয়৷ মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির বাবাগুলো বেতন পাওয়ার পর মনে মনে অনেক খুশি হয় এই ভেবে যে, এই বেতন থেকেই হয়তো তার খোকার গত মাসের আবদার করা জিনিসটা কিনতে পারবে৷ কিন্তু তার এই আশাটা হয়তো আশাই থেকে যায়৷
-আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারের মা গুলো তো আরও বেশি ত্যাগী৷ মা গুলো তার স্বামীর কষ্ট আর সন্তানের আবদার মেটানোর জন্য পারলে হয়তো নিজেই একটা চাকরী করে৷ মাসের শেষে যখন টাকা নিয়ে টানাপোড়েন এ পড়ে তখনো তারা সন্তানের সামনৈ এমন ভাব করে , যেন কিছুই হয়নি৷ তারপরঐ আদরের সন্তানটাকে বলেঃবাবা, কি খাবি বল? আজকে তুই যা বলিস তাই রান্না করবো৷ নিজে না খেয়েও তারা সন্তান আর স্বামীর জন্য রাখার মধ্যেই সুখ খুজেঁ নেয়৷
-বাবা-মা থেকে দেখে সন্তানটাও একসময় ত্যাগ স্বীকার করা শিখে যায়৷ অভাব থাকা সত্তেও মা যখন বলেঃবাবা কি খাবি বল?তুই যা বলিস তাই রান্না করে খাওয়াবো তোকো! সন্তান বুঝতে পেরে বলে, আম্মু আলু বর্তা আর ডাল খেয়েছি অনেক দিন হলো ৷ আজকে আমার জন্য শুধু আলু বর্তা আর ডাল বানাবা৷ মধ্যবিত্তের সন্তানগুলো কখনো রাগ করে থাকতে পারে না৷ মাঝে মাঝে যখন মা-বাবার বকা খেয়ে ঘর থেকে না খেয়ে বেরিয়ে যায়৷ সেই যাওয়ার আগে ঘড়ির টাইম দেখে যায় যে, সে কতক্ষণ পর ফিরবে৷ কারণ তার বাবা-মা তার জন্য না খেয়ে বসে থাকবে৷ তারপর রাগ কমার পর সে যখন ফিরে আসে৷ তখন "মা" তাকে নিজ হাতে খাইয়ে দিবে৷ নয়তো খাওয়ার সময় মাথায় হাত ভুলিয়ে বলবে"আমার আব্বুটার কি লাগবে"? তখন ছেলেটা আধাপেটে খেয়ে বলবে "আম্মু পেট ভরে গেছে আর খাব না"৷ তুমি খেয়ে নাও৷ মধ্যবিত্তের ছেলেগুলোর সবকিছুর মধ্যে একটা বিশেষ কিছু থাকে৷ যেমন,তাদের একটা নতুন শার্ট থাকবে৷ যেটা সে গত ঈদে কিনেছিল৷ ঔ শার্ট বা প্যান্ট টা সে সারাবছর নতুন রাখার চেষ্টা চালাবে৷ কারণ সেই শার্ট বা প্যান্ট টা বড়কোনো উপলক্ষ্য এলে পরিধান করবে৷ মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির প্রত্যেকটা মানুষই এক একটা বড় স্যাক্রিপাইজার৷ কখনো সে পরিবারের কাছে৷ কখনো আপনজনদের কাছে৷ কখনো বন্ধুদের কাছে৷
"
-মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির ছেলেগুলোর সামনে যখন তাদের বড়লোক বাবার বন্ধুরা বড় গলা করে বলে যে, জানিস? গতরাতে আমি আব্বু-আম্মু মিলে বড় একটা রেষ্টুরেন্টে ডিনার করেছি!৷ মধ্যবিত্ত ছেলেটা ঔ কথাটা শুনে কোনো আফসোস করবেনা! বরং গর্ব করে বলবে, দোস্ত তুই যেন গতসপ্তাহে কয়দিন তোর আব্বু আম্মুর সাথে বসে রাতের খাবার খাইছিলি? জবাবে বড়লোক বাবার ধনীর দুলালটার কিছু বলার থাকবেনা৷ কারন ছুটির দিন ছাড়া তো তার মা-বাবার সাথে দেখাই হয় না৷ পক্ষান্তরে মধ্যবিত্তের ছেলেটা প্রতিদিন রাতে অন্তত ডাল ভাত হলেও একসাথে বসে খায়৷
,মধ্যবিত্ত পরিবারের আনন্দগুলো সবার চোখে পড়ে৷ কিন্তু তাদের দুঃখগুলো দেখার বা অনূভব করার মত মানুষ খুব কমই থাকে৷ মধ্যবিত্ত পরিবারের দুঃখ কষ্টের অন্যতম সাক্ষী হলো "রাতে ঘুমানোর সময় তার মাথার নিচে দেওয়া বালিশটা"৷ মধ্যবিত্তরা বড় স্বপ্ন দেখতে ভয় পাই৷ কারণ তারা জানে স্বপ্নপূরণ না হওয়ার হতাশা কি জিনিস৷
"
-একটা জিনিস সব সময় খেয়াল করে দেখবেন৷ আপনার মধ্যবিত্ত পরিবারের বন্ধুটার কাছে আপনার মনের হতাশা, আনন্দ, বেদনাগুলো সহজেই শেয়ার করতে পারবেন৷ সে ও আপনার কথাগুলো খুব মনোযোগ সহকারেই শুনবে৷ গুরুত্ত দিবে৷ আর বলবে দোস্ত মনে সাহস রাখ, একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে দেখিস?
-কিন্তু আপনি যখন আপনার বড়লোক বাবার সন্তান টাকে বলবেন , তখন সে বলবেঃ ধুর ব্যাটা এত টেনশন লাভ নেই৷ যা হওয়ার হয়ে গেছে বা হয়ে যাবে! চল পার্টিতে যায়!
"
-মধ্যবিত্তের ছেলেগুলো সবকিছুতে বাস্তবতা খোঁজে৷ তাই সে সবার কাছে "ক্ষ্যাত মার্কা পোলা"৷ মধ্যবিত্ত ছেলেটা সবসময় পয়সাওয়ালা বন্ধুগুলোর কাছ থেকে দূরে থাকতে চায়৷ কারন সে জন্মদিন উপলক্ষ্যে পয়সাওয়ালা বন্ধুদের মত বড় রেষ্টুরেন্টে ট্রিট দিতে পারবেনা৷ বড়জোর চা এর দোকানে নিয়ে গিয়ে দু'টো সিঙ্গারা আর এক কাপ চা খাওয়াতে পারবে৷
-মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেগুলোর চেহেরাসুন্দর হওয়ার পরেও তারা অন্যদের কাছে গ্ল্যামার বয় হতে পারে না৷ কারন তাদের প্রতি সপ্তাহে চুল আর দাড়িঁর নতুন কাটিং বা দামী জেল বা ফেস ওয়াস ইউস করতে পারে না৷ তাদের একটা ফোনেই যথেষ্ট৷ তাদের ফোনটাও হয়তো তাদের দুঃখ বোঝে৷ তাই ফোনটাও নষ্ট হয় না সহজে৷
"
-মধ্যবিত্তের ছেলেগুলো কখনো আবেগের ধার ধারে না৷ কারণ আবেগে পরলে তাদের সংগ্রামী বিবেকটা গোল্লায় যাবে৷
-মধ্যবিত্তের ছেলেগুলো তার আপন মানূষদেরও সতর্ক করে দেয়, যে আমার কাছ থেকে বেশি কিছু আশা করিস না, হতাশ হতে পারিস৷ কারণ আমার দেওয়ার মত কিছু নেয়৷ শুধু সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত ভালোবাসা ছাড়া৷
"
-মধ্যবিত্তের ছেলেগুলোর কোনো ভুল হলে ,খুব সহজেই সে সরি বলতে জানে৷ কারণ সে জানে, তার সূক্ষ ভুলগুলোই মানুষের কাছে অনেক বড় হয়ে যেতে পারে৷ কারন সে মধ্যবিত্ত৷
"
-মধ্যবিত্তের ছেলেগুলো কাউকে প্রতিশ্র্রুতি দেয় না৷ কারণ সে জানে, তার নুন আনতে পান্তা ফুরোই ! সে কি করে অন্যকে প্রতিশ্র্রুতি দিবে৷ মধ্যবিত্তরা কারো মন ভাঙ্গতে চাই না, কাউকে কাদাঁতে চাই না, কষ্ট দিতে চাই না৷ কারণ সে জানে কষ্ট জিনিসটার অনূভূতি কী৷
""
"""এতকিছুর পরও মধ্যবিত্তের ছেলেগুলো কি থেকে অনুপ্রেরণা নেয় জানেন?
""
-কারণ সে পাঠ্যবই বা শিক্ষিত বড় ভাই -বোন এর কাছ থেকে শুনেছে যে
"""পৃথিবীতে ইতিহাসের অনন্য অসাধারন ব্যাক্তি গুলোর বেশীর ভাগ ব্যাক্তির জন্ম খুব সাধারন ঘরেই""!
"পরিশ্রম ,সততা, নিষ্ঠা থাকলে হয়তো , একদিন আমার মত "সাধারন" ছেলেটার "সাধারন" এর সাথে "অ" টা যোগ হয়ে "অসাধারন" নামক শব্দটার পূর্ণজন্ম হবে৷!!
-বেচেঁ থাকুক আমার মত সাধারন ঘরের ছেলেদের অসাধারন হওয়ার স্বপ্নটা৷ এর জন্য শুধু শরীরের তেজ থাকলেই চলবে না, মনের তেজটাও চাই৷
No comments