নিনিত নিলয়
নয় মাসের অন্তঃস্বত্তা জেনেও আমি তাকে বিয়ে করলাম। একমাত্র তার সৌন্দর্যের মোহে পড়ে। তাকে দেখার পর যেনো মনে হচ্ছিলো যে আমি এই মেয়েকে ছাড়া বাঁচবো না। আমার সংকীর্ণ এ পৃথিবীটাকে প্রশস্ত করার জন্য এমন রূপবতী একজন মেয়েকে আমার ভীষণ প্রয়োজন। কিন্তু মেয়েটির গর্ভে যে সন্তান ছিলো তা অন্য কারো। এমন রূপবতী মেয়ের এত কঠিন একটা ভুল আমার কাছে অতি নগন্য লাগলো। মেয়েটির কারো সাথে প্রেম ছিলো। তার প্রেমিক সরলতার সুযোগ যে নিয়েছে তা নয়। ওরা চাইলেই দুজনে বিয়ে করতে পারতো। কিন্তু বিশেষ এক কারণে তারা প্রেমটাকে পরিণত করতে পারে নি। কিন্তু সেই প্রেমের পবিত্রতম এক ফসল মেয়েটি দিনের পর দিন ঠিকই বহন করে বেড়াচ্ছিলো। আমিও তার রূপে মুগ্ধ হয়ে সবকিছু ভুলে গিয়েছিলাম। কোনো কিছু না ভেবেই আমি তার কঠিন কিছু শর্ত মাথায় নিয়ে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যায়।
.
আমার পরিবার বলতে কিছুই নেই। একা মানুষ। আমার দিক হতে কোনো বাঁধা ছিলো না। সামাজিক নিয়ম মেনে মেয়েটিকে বিয়ে করলাম। বিয়ের প্রথম রাতেই তাঁর নাম জানলাম। তার নাম হলো নিলুফার। নিলুফার মানে পদ্ম। সে আমার পদ্মাবতী। আমি তাকে এখনও পদ্মাবতী বলেই ডাকি। কিন্তু গল্পের বাঁকি কোথাও পদ্মাবতী নামটা ব্যবহার করবো না। এটা আমার নিজের একান্ত ব্যাপার। যা আমার সে শুধু আমার নিজস্ব হয়ে থাকবে। তাকে কখনও কারো সামনে পদ্মাবতী বলে প্রকাশ করতে আমার আগ্রহ জন্মায় নি। কিন্তু তবুও গল্পের নাম পদ্মাবতী কেনো দিলাম তার জন্যই গল্পের শুরুতে পাঠকের কাছে প্রকাশ করে দিলাম। এসব কথা থাক, গল্পে ফিরি।
.
বিয়ের কয়েকদিন যেতে না যেতেই নিলুফারের প্রসব বেদনা উঠলো। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করলাম। সমাজের লোকজন তখন আমায় দেখলেই আড় চোখে তাকিয়ে থাকতো। কিন্তু কেউ কিছু বলতো না। নিলুফার একটি বাচ্চা সন্তানের জন্ম দিলো। আমি নিলুফারকে এমন উদাস আর এমন ভীতু চেহারায় পরবর্তী জীবনে আর একবারও দেখি নি। বাচ্চাটির চেহারায় যেনো ফেরেশ্তাদের নুর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার মনে মনে আনন্দ লাগে। কিন্তু নিলুফারকে দেখে মন খারাপ হয়ে যায়।
.
কয়েকদিনের ভেতর নিলুফার আর বাচ্চাটিকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিয়ে দেওয়া হলো। ওদেরকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসলাম। বাচ্চার নাম তখনও আমরা দুজনের কেউ ঠিক করি নি।
.
কিন্তু আমরা দুজনেই বাচ্চাটিকে বাবুসোনা বলে আদর করে ডাকতাম। বাড়িতে আনার পরেই শুরু হলো আমার মস্তিস্কে রক্ত ক্ষরণ। এলাকার একেক জনের মুখে একেক রকমের কথায় প্রায় অতিষ্ঠ হতে শুরু করলাম।
.
নিলুফার কিছু বলে না। কাঁদেও না। শুধু বাচ্চাকে বুকের ভেতর আগলে রাখে। ও যেনো সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকতো। কি ভয় পেতো তা স্পষ্ট না হলেও একটা ধারণা করেছিলাম।
.
এলাকার প্রতিটি মানুষ বিভিন্ন রকমের কথা বলা শুরু করলো। কেউ কেউ বলতে লাগলো, মেয়ের সাথে তোমার বিয়ের আগে থেকেই সম্পর্ক ছিলো-টিলো নাকি?
.
কেউ কেউ আবার রব তুলে বেড়ালো, কার যে পাপের সন্তান মিলনের ঘাড়ে এসে পড়লো তা বলা মুশকিল।
.
অনেকেই উষ্কানিও দিয়েছে যে, আমার যদি মেয়ের কিংবা বউয়ের এমন হতো তাহলে হয় সন্তানের মা কে খুন করতাম। না হলে সন্তানকে গলাটিপে মেরে ফেলতাম।
.
নিলুফার হয়তো এমন একটা ভয়েই থাকতো। চারপাশের মানুষের উষ্কানিতে আমি হয়তো বাচ্চাটিকে হত্যা করেই ফেলবো। নিলুফার যদি এই কারণেই ভয় পেতো তাহলে বলা যায় যে সে সঠিক কারণেই ভয় পেতো।
.
লোকজনের নানা ধরণের কথা শুনে আমারও মনের ভেতরে অন্য রকম হতে লাগলো। মানসিকতা হঠাৎ করেই পরিবর্তন হয়ে যায়। প্রবল মায়া,স্নেহ যে সন্তানের উপর জন্মেছিলো। যে সন্তানকে জায়গা দিয়েছিলাম হ্রদয়ের গভীরে, তা যেনো মানুষ বশ করে উপড়ে ফেলতে চাইছিলো।
.
প্রায় রাতে উঠেই পরিকল্পনা করতে লাগলাম, বাচ্চাটিকে মেরে ফেলার। নানা ভাবে মেরে ফেলার ফন্দি আটতাম। কখনও গলা টিপে, কখনও মুখে চেপে আবার কখনও নদীতে ফেলে মারার পরিকল্পনা করতাম। এক রাতে বেশ গুছিয়ে এনেছিলাম পরিকল্পনা গুলো।
.
মানসিক প্রস্তুতি শেষে যখন বাচ্চাটিকে মেরে ফেলতে যাবো সেই সময় আমার যে কি হলো বুঝতে পারলাম না। আমি ড্যাবড্যাব করে বাচ্চাটির দিকে তাকিয়ে আছি। বাচ্চাটি আমাকে দেখে একবার করে হাসছে আর একবার করে তার মায়ের দুধ মুখে নিচ্ছে।
.
এমন আশ্চর্যকর ঘটনা আমার জীবনে দেখি নি। বাচ্চাটিকে আর মেরে ফেলতে পারলাম না। নিলুফারের মুখের দিকে তাকিয়ে আর নিঃষ্পাপ চেহারার বাচ্চাটিকে বাঁচিয়ে রাখা আমার তখন দায়িত্বের ভেতর পড়লো।
.
নিলুফারের সৌন্দর্য ম্লান হয়ে পড়েছিলো। বাচ্চার চিন্তায় খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়েছেলো। সরল গঠনের মেয়েটি চিকন থেকে আরো চিকন হয়ে গেলো। পুরো কঙ্কাল দেখতে মনে হতো।
.
আমার ছোট চাকরী। কোলের অমন বাচ্চা আর নিলুফারকে নিয়ে পড়তে হলো মহা দুঃশ্চিন্তায়। কি করবো ভেবে না পেয়ে নিলুফারের বড় বোনকে খবর দিয়েছিলাম।
.
নিলুফারের এমন কথা শুনে সে পনের দিন এসে থেকেছিলো। তারপর ফিরে গেছে তার সংসারে। আর আমি, নিলুফার আর বাচ্চাটি রয়ে গেলাম আমাদের কঠিন সংসার জীবনে।
.
নিলুফার আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠলো। শিশু সন্তানটি এক দিনের থেকে এক বছরের হয়ে উঠলো। তার প্রতি আমার প্রবল আকারের মায়া জন্মালো। এত সুন্দর ছিলো বাচ্চার কার্যকলাপ যা দেখে আমি অভিভুত, বিষ্মিত, আর আনন্দিত হতে লাগলাম।
.
মহান সৃষ্টিকর্তা যেনো বাচ্চাটিকে আগে থেকেই বলে দিয়েছিলো আমাকে যেনো সে কনভেন্স করে। তাই তো সে সবসময় আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতো। আর আমার কাছে আসার জন্য দুই হাত প্রশস্ত করে বাড়িয়ে দিতো।
.
আশ্চর্য হলেও সত্যি যে সব সন্তানেরই মুখের কথা ফোটে মা, দা, না করতে করতে। কিন্তু এই বাচ্চাটি সরাসরি বাবা বললো প্রথম শব্দেই? তা ভাবায় যায় না। প্রথমেই বাবা ডেকে আমার মনে সে যে আবারও এত গভীরভাবে জায়গা করে নিলো তা আজও রয়ে গেছে।
.
আমরা তার নাম ঠিক করেছিলাম না। প্রথম থেকেই তাকে বাবুসোনা বলে ডাকতাম। সেখান থেকে সোনাটা বাদ দিয়ে ডাকতে লাগলাম বাবু বলে। যা আজ পর্যন্ত বাবু বলেই রয়ে গেছে।
.
#লেখকের_কথা
প্রেমের কোনো নিশ্চয়তা নেই। বিয়ের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রেম থাকে পাতলা কাঁচের পর্দার মতো। যা অতি সূক্ষ্মভাবে আগলে না রাখতে পারলে সামান্যতম আঘাতেই ভেঙে যেতে পারে। গল্পতে যেমন উদার মানসিকতার আর তীব্র ভালোবাসার খেলা দেখানো হলো তা তো বাস্তব জীবনে সম্ভব নয়। সুতরাং প্রেম পরিণত হওয়ার আগ পর্যন্ত সতর্ক থাকা উচিত। যদিও মানুষের নিয়ম ভাঙার অভ্যাস পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকেই।
.
আমার পরিবার বলতে কিছুই নেই। একা মানুষ। আমার দিক হতে কোনো বাঁধা ছিলো না। সামাজিক নিয়ম মেনে মেয়েটিকে বিয়ে করলাম। বিয়ের প্রথম রাতেই তাঁর নাম জানলাম। তার নাম হলো নিলুফার। নিলুফার মানে পদ্ম। সে আমার পদ্মাবতী। আমি তাকে এখনও পদ্মাবতী বলেই ডাকি। কিন্তু গল্পের বাঁকি কোথাও পদ্মাবতী নামটা ব্যবহার করবো না। এটা আমার নিজের একান্ত ব্যাপার। যা আমার সে শুধু আমার নিজস্ব হয়ে থাকবে। তাকে কখনও কারো সামনে পদ্মাবতী বলে প্রকাশ করতে আমার আগ্রহ জন্মায় নি। কিন্তু তবুও গল্পের নাম পদ্মাবতী কেনো দিলাম তার জন্যই গল্পের শুরুতে পাঠকের কাছে প্রকাশ করে দিলাম। এসব কথা থাক, গল্পে ফিরি।
.
বিয়ের কয়েকদিন যেতে না যেতেই নিলুফারের প্রসব বেদনা উঠলো। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করলাম। সমাজের লোকজন তখন আমায় দেখলেই আড় চোখে তাকিয়ে থাকতো। কিন্তু কেউ কিছু বলতো না। নিলুফার একটি বাচ্চা সন্তানের জন্ম দিলো। আমি নিলুফারকে এমন উদাস আর এমন ভীতু চেহারায় পরবর্তী জীবনে আর একবারও দেখি নি। বাচ্চাটির চেহারায় যেনো ফেরেশ্তাদের নুর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার মনে মনে আনন্দ লাগে। কিন্তু নিলুফারকে দেখে মন খারাপ হয়ে যায়।
.
কয়েকদিনের ভেতর নিলুফার আর বাচ্চাটিকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিয়ে দেওয়া হলো। ওদেরকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসলাম। বাচ্চার নাম তখনও আমরা দুজনের কেউ ঠিক করি নি।
.
কিন্তু আমরা দুজনেই বাচ্চাটিকে বাবুসোনা বলে আদর করে ডাকতাম। বাড়িতে আনার পরেই শুরু হলো আমার মস্তিস্কে রক্ত ক্ষরণ। এলাকার একেক জনের মুখে একেক রকমের কথায় প্রায় অতিষ্ঠ হতে শুরু করলাম।
.
নিলুফার কিছু বলে না। কাঁদেও না। শুধু বাচ্চাকে বুকের ভেতর আগলে রাখে। ও যেনো সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকতো। কি ভয় পেতো তা স্পষ্ট না হলেও একটা ধারণা করেছিলাম।
.
এলাকার প্রতিটি মানুষ বিভিন্ন রকমের কথা বলা শুরু করলো। কেউ কেউ বলতে লাগলো, মেয়ের সাথে তোমার বিয়ের আগে থেকেই সম্পর্ক ছিলো-টিলো নাকি?
.
কেউ কেউ আবার রব তুলে বেড়ালো, কার যে পাপের সন্তান মিলনের ঘাড়ে এসে পড়লো তা বলা মুশকিল।
.
অনেকেই উষ্কানিও দিয়েছে যে, আমার যদি মেয়ের কিংবা বউয়ের এমন হতো তাহলে হয় সন্তানের মা কে খুন করতাম। না হলে সন্তানকে গলাটিপে মেরে ফেলতাম।
.
নিলুফার হয়তো এমন একটা ভয়েই থাকতো। চারপাশের মানুষের উষ্কানিতে আমি হয়তো বাচ্চাটিকে হত্যা করেই ফেলবো। নিলুফার যদি এই কারণেই ভয় পেতো তাহলে বলা যায় যে সে সঠিক কারণেই ভয় পেতো।
.
লোকজনের নানা ধরণের কথা শুনে আমারও মনের ভেতরে অন্য রকম হতে লাগলো। মানসিকতা হঠাৎ করেই পরিবর্তন হয়ে যায়। প্রবল মায়া,স্নেহ যে সন্তানের উপর জন্মেছিলো। যে সন্তানকে জায়গা দিয়েছিলাম হ্রদয়ের গভীরে, তা যেনো মানুষ বশ করে উপড়ে ফেলতে চাইছিলো।
.
প্রায় রাতে উঠেই পরিকল্পনা করতে লাগলাম, বাচ্চাটিকে মেরে ফেলার। নানা ভাবে মেরে ফেলার ফন্দি আটতাম। কখনও গলা টিপে, কখনও মুখে চেপে আবার কখনও নদীতে ফেলে মারার পরিকল্পনা করতাম। এক রাতে বেশ গুছিয়ে এনেছিলাম পরিকল্পনা গুলো।
.
মানসিক প্রস্তুতি শেষে যখন বাচ্চাটিকে মেরে ফেলতে যাবো সেই সময় আমার যে কি হলো বুঝতে পারলাম না। আমি ড্যাবড্যাব করে বাচ্চাটির দিকে তাকিয়ে আছি। বাচ্চাটি আমাকে দেখে একবার করে হাসছে আর একবার করে তার মায়ের দুধ মুখে নিচ্ছে।
.
এমন আশ্চর্যকর ঘটনা আমার জীবনে দেখি নি। বাচ্চাটিকে আর মেরে ফেলতে পারলাম না। নিলুফারের মুখের দিকে তাকিয়ে আর নিঃষ্পাপ চেহারার বাচ্চাটিকে বাঁচিয়ে রাখা আমার তখন দায়িত্বের ভেতর পড়লো।
.
নিলুফারের সৌন্দর্য ম্লান হয়ে পড়েছিলো। বাচ্চার চিন্তায় খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়েছেলো। সরল গঠনের মেয়েটি চিকন থেকে আরো চিকন হয়ে গেলো। পুরো কঙ্কাল দেখতে মনে হতো।
.
আমার ছোট চাকরী। কোলের অমন বাচ্চা আর নিলুফারকে নিয়ে পড়তে হলো মহা দুঃশ্চিন্তায়। কি করবো ভেবে না পেয়ে নিলুফারের বড় বোনকে খবর দিয়েছিলাম।
.
নিলুফারের এমন কথা শুনে সে পনের দিন এসে থেকেছিলো। তারপর ফিরে গেছে তার সংসারে। আর আমি, নিলুফার আর বাচ্চাটি রয়ে গেলাম আমাদের কঠিন সংসার জীবনে।
.
নিলুফার আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠলো। শিশু সন্তানটি এক দিনের থেকে এক বছরের হয়ে উঠলো। তার প্রতি আমার প্রবল আকারের মায়া জন্মালো। এত সুন্দর ছিলো বাচ্চার কার্যকলাপ যা দেখে আমি অভিভুত, বিষ্মিত, আর আনন্দিত হতে লাগলাম।
.
মহান সৃষ্টিকর্তা যেনো বাচ্চাটিকে আগে থেকেই বলে দিয়েছিলো আমাকে যেনো সে কনভেন্স করে। তাই তো সে সবসময় আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতো। আর আমার কাছে আসার জন্য দুই হাত প্রশস্ত করে বাড়িয়ে দিতো।
.
আশ্চর্য হলেও সত্যি যে সব সন্তানেরই মুখের কথা ফোটে মা, দা, না করতে করতে। কিন্তু এই বাচ্চাটি সরাসরি বাবা বললো প্রথম শব্দেই? তা ভাবায় যায় না। প্রথমেই বাবা ডেকে আমার মনে সে যে আবারও এত গভীরভাবে জায়গা করে নিলো তা আজও রয়ে গেছে।
.
আমরা তার নাম ঠিক করেছিলাম না। প্রথম থেকেই তাকে বাবুসোনা বলে ডাকতাম। সেখান থেকে সোনাটা বাদ দিয়ে ডাকতে লাগলাম বাবু বলে। যা আজ পর্যন্ত বাবু বলেই রয়ে গেছে।
.
#লেখকের_কথা
প্রেমের কোনো নিশ্চয়তা নেই। বিয়ের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রেম থাকে পাতলা কাঁচের পর্দার মতো। যা অতি সূক্ষ্মভাবে আগলে না রাখতে পারলে সামান্যতম আঘাতেই ভেঙে যেতে পারে। গল্পতে যেমন উদার মানসিকতার আর তীব্র ভালোবাসার খেলা দেখানো হলো তা তো বাস্তব জীবনে সম্ভব নয়। সুতরাং প্রেম পরিণত হওয়ার আগ পর্যন্ত সতর্ক থাকা উচিত। যদিও মানুষের নিয়ম ভাঙার অভ্যাস পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকেই।
No comments